সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
মাহীর আফসোস!
বৃহস্পতি সবার কপালে আসে না আর আসলে সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানতে হয়। তাহলেই কিস্তিমাত। চলচ্চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহী পরোক্ষভাবে তার কোন এক বন্ধুর উদ্দেশ্যে (নাকি নিজের উদ্দেশ্যে?) টাইমলাইনে লিখেছেন…
‘‘ সবার জীবনেই একবার দুবার “বৃহস্পতি তুঙ্গে” (উত্তম সময়) জিনিসটা আসে। আমার মনে হয় তোর জীবনের প্রথম এই সময়টা তুই খুব যত্ন করে হেলাফেলা করে পায়ে ঠেলে দিলি বন্ধু। আফসোস। । ’’
সাকিবের দাদার ভবিষ্যৎ বাণী!
শিশুদের নাকি সবসময় ইতিবাচক গল্প শোনাতে হয় তাহলে সেই শিশু প্রখর মেধাসম্পন্ন একজন মানুষ হিসেবে বড় হবে। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দাদা তার ছোটবেলায় কি বলতেন সেটা টাইমলাইনে শেয়ার করেছেন সাকিব …‘‘আমার দাদা আমাকে গল্প শোনাতেন। তিনি বলতেন, ”যখন তুমি বেড়ে উঠবে, তুমি এতটাই বড় হবে যে বিশ্বের সবাই তোমাকে চিনবে। যখন তুমি দেশের বাড়ি ফিরে আসবে তখন মানুষ তোমাকে দাঁড়িয়ে আর তালি দিয়ে সংবর্ধনা জানাবে। ”
একটি হৃদয় বিদারক গল্প
জুয়েল আইচ
সৃজনশীল মানুষ শিল্প সৃষ্টি করেন। প্রত্যেকটা সৃষ্টির পেছনেই থাকে কোন না কোন গল্প। তেমনি অসাধারণ গান সৃষ্টির পেছনের গল্প ফেসবুক বন্ধুদের জন্য শেয়ার করেছেন প্রখ্যাত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ… ‘‘গল্পটি নিদারুণ হৃদয়বিদারক। শচীনদেব বর্মণ নিজ বাড়ি কুমিল্লা যাচ্ছেন। স্টীমার চাঁদপুরে ভিড়েছে। স্টীমার ঘাটের সমস্ত কোলাহল ছাপিয়ে একটি মেয়ের কচি কণ্ঠের চিৎকার তাঁর কানে এলো। তিনি একটু সামনে এগিয়ে গেলেন । মেয়েটি নৌকা দেখলেই নদীর তীরে ছুটতে থাকে। মাঝিকে প্রাণপণে চেঁচিয়ে ডাকে–ও মাঝি ভাই, আমারে আমার ভাইর কাছে লইয়া যাও। তোমার বাড়ি কোন গেরামে ? আমি পাগল হইয়া গেছিতো। গেরামের নাম ভুইলা গেছি। গেরামের নাম কইতে না পারলে যাবা ক্যামনে মাঝিরা কেউ তাকে নেয়না। কিন্তু তার চিৎকার আর ছোটাছুটি কিছুতেই থামেনা। কেউ যখন তাকে নৌকায় নিলনা তখন মরিয়া হয়ে সে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বলতে লাগল, তাইলে আমার ভাইরে জানাইয়া দিও, আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলা ভালোনা। আমারে মাইরা ফ্যালাইবে। আমার ভাই তাড়াতাড়ি আইসা যেন আমারে লইয়া যায়। শচীনদেব বর্মণ অস্হির হয়ে পড়লেন। সৃষ্টি হল হৃদয় চেরা অমর গান,
“কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া
আমার ভাইধনরে কইও নাইওর নিতো বইলা। .. .. ..”
কী অসাধারণ গান! সঙ্গীতের বরপুত্র শচীনদেব বর্মণের একশো নয়তম জন্মবার্ষিকীতে আমার বিনীত শ্রদ্ধার্ঘ্য। গল্পটি নিদারুণ হৃদয়বিদারক।
স্বর্গের বাগান
শিশুর সান্নিধ্য প্রতিটা মানুষকেই স্বর্গ সুখের অনুভূতি এনে দেয়। প্রতিটা শিশু একেকজন সাক্ষাৎ দেবশিশু। অভিনেত্রী আরজুমান্দ আরা বকুল কোন এক দেবশিশুর জন্মদিনে গিয়ে স্বর্গসুখের অনুভূতি পেয়েছেন। টাইমলাইনে লিখেছেন…
‘‘স্বর্গের বাগানে এক সন্ধ্যায়। । ।
শিশু ছাড়া স্বর্গ আমি ভাবতেই পারিনা।
যে স্বর্গে শিশু নাই সে স্বর্গে আমি যেতেও চাইনা।
আমার পরে যে ভাই মারা গেছে তার বয়স ছিল মাত্র চল্লিশ দিন। ওকে আমি ওভাবেই দেখতে চাই। কোলে নিতে চাই। আমার দাদা-দাদী নানা-নানী তাদের আমি বৃদ্ধা দেখতে চাই। পান খাওয়া মুখের আদর চাই।
বেহেস্তে শুধুই ফুল থাকবে নদী থাকবে ঝরনা ফল আর অনন্ত যৌবন। সেই সুখের আশায় এত কিছু! ফুল ছাড়া বই ছাড়া আমার চলেনা। তেমনি শিশু ছাড়াও না। আমার গুরুজন ছাড়াও না। হে আল্লাহ তুমি আমাকে আমার স্বর্গ এমনি করে দিও খোদা।
পুর্ণিমার উপলব্দি!
যাপিত জীবনে ঠেকতে ঠেকতে একসময় মানুষ ঋদ্ধ হয়। তখন মুখ থেকে বের হয়ে আসে গুঢ় বাণী। চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা তার টাইমলাইনে লিখেছেন…
‘‘ বিশ্বাস এর দৃষ্টি দিয়ে যতবারই দেখি অবিশ্বাস এর ছানি পরে নয়নে ….’’।
ডিপ্রেশনে পড়েছে প্রকৃতি!
মানুষ প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলে নাকি প্রকৃতি মানুষের নিয়মে চলে? হবে হয়ত কোন একটা। তবে মন ভারাক্রান্ত হলে মানুষ ও প্রকৃতি দুটোই এক নিয়ম মেনে চলে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব গাউসুল আলম শাওন তার টাইমলাইনে লিখেছেন…
‘‘ আমার স্ত্রী বলছিল, এতো গরম পরেছে মনে হয় ডিপ্রেশন হয়েছে, বৃষ্টি হবে। শুনে আমার মা বললেন, মানুষের ডিপ্রেশন হয় শুনেছি, কিন্তু প্রকৃতি’তে হয় এই প্রথম শুনলাম, কি নদী’তে না কি?- মা’র প্রশ্ন।
আমি বললাম না নদী’তে হবে কেন, সাগরে। ডিপ্রেশন শুধু নোনা জলের, সেটা মানুষই হোক কিংবা সাগর…। ’’
সোহানা সাবার মামনি টুম্পা!
ভালোলাগার জায়গা থেকে খানিকটা দূরে থাকলেও ভুলে কী থাকা যায়! অনেকদিন পর কিশোরবেলার প্রেম র্যাম্প লাইফ উপভোগ করলেন সোহানা সাবা। র্যাম্প মডেল বুলবুল টুম্পাকে মামনি সম্মোধন করে সোহানা সাবা তার টাইমলাইনে লিখেছেন.. ‘‘রাম্প লাইফটা শুরু হয়েছিল মাত্র যখন ক্লাশ এইটে পড়ি..
মাস্তি আর পাগলামি ছিল লাইফটা.. মজার ব্যাপার হলো যে মামনিও ছিল আমাদের ফুলটাইম সংগি অনেকদিন পর আবার রাম্পের দিনে ফিরে গিয়েছিলাম!!’’
দুরবীনের পাওয়ার প্রসঙ্গ!
সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রীর একটি আশ্বাসবাণী শুনে খুশি হয়েছেন সাংবাদিক ও লেখক মঈনুল আহসান সাবের। খুশি হওয়ার পাশাপাশি তিনি একটা কিন্তু ছুঁড়ে দিয়েছেন। টাইমলাইনে লিখেছেন… ‘‘পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, ২০৩০ সালের পর দুরবিন দিয়েও দরিদ্র মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুনে খুবই ভালো লাগল, স্যার। কিন্তু দুরবিনের পাওয়ার কেমন হবে, এটা জানতে না পেরে একটু অস্বস্তি থেকে গেল। ’’
ব্যাপারটা ফাইন লাগতেছে!
ঋতু বৈচিত্র এতটাই এলোমেলো দিন যাপণ করছে যে আমরা তাদের ধরতে গিয়েও ধরতে পারছিনা। কখন কোন ঋতু এসে আবার চলে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছি না। এক ঋতু আরেক ঋতুতে গিয়ে জায়গা দখল করছে। বিষয়টি নিয়ে মজায় আছেন অভিনেতা ইরেশ যাকের। তিনি তার টাইমলাইনে লিখেছেন..
‘‘বর্ষা আর শীত কাইজ্জা লাগায়া হেমন্তরে ফেলসে ফাপরে! ব্যাপারটা কিন্তু ফাইন লাগতেসে আমার। ’’
ওরা তোমার কী ক্ষতি করেছে!
সন্তানদের কিছু বিষয়ে ছোট থেকেই শিক্ষা দেয়া উচিত। বিশেষ করে মানুষের নিজ নিজ অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা। তাহলে একটা প্রজন্ম তৈরি হবে মানবিক অনুভূতি নিয়ে। অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া তার টাইমলাইনে লিখেছেন…
‘‘ কেন ভাই, তোমার কেন প্রতিমা ভাঙ্গা লাগবে, তোমার কেন শিয়াদের উপর ককটেল ফেলা লাগবে? ওরা তোমার কোন সমস্যা করছে? নিজের কাজটা ঠিক মত করো না, নামাজ পড় ৫ ওয়াক্ত? রোজা রাখো? যাকাত দাও? দিন দিন মানুষ এমন বিকৃত হয়ে যাচ্ছে কেন বুঝি না!
মা বাবারা আপনার ছেলে মেয়েকে সঠিক ধর্মিয় শিক্ষা দেন। যাদের জিন্স পরা মেয়ে দেখলে একটা কটুুক্তি করতে মন চায়, যাদের অন্যদের ধর্মিয় আচার অনুষ্ঠানে আকাম করতে মন চায় এই ঈমান নিয়ে তারা পুলসিরাত কিভাবে পার করবে এইটাই ভাবি। ’’