Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ক্রেতা দর্শকের উপচে পরা ভীড়, বই বিক্রিও ভালো

বিশেষ প্রতিনিধি

এতো মানুষ কোথায় থাকে? দলে দলে আসছিল মানুষ। ছেলে, বুড়ো, জোয়ান, মা-বাবা, সাথে ছেলে মেয়ে, দল বেধে এসেছে প্রিয় বন্ধুরা। সবার গন্তব্য ছিল একুশে বইমেলা। সকাল গড়িয়ে দুপুর, আবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল, সন্ধ্যার পর রাত-একুশে বইমেলা ছিল লোকে লোকারন্য। সকালের দিকে ভীড় একটু কম থাকলেও দুপুরের পর বইমেলা অভিমুখি জনস্রোত ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বইমেলায় ঢুকেছেন। এজন্য দীর্ঘ সময়ও ব্যয় হয়েছে। তাই বলে অভিযোগ ছিল না কারও। বরং দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বইমেলায় ঢোকার পর অনেকেই আনন্দে উল্লাস করেছেন। মোবাইলে সেলফি তুলে বন্ধুদের পাঠিয়েছেন- বন্ধুরা আমি এখন বইমেলায় আছি।
বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশাপাশি বাংলা একাডেমি অংশেও গতকাল বেশ ভীড় ছিল। বিকেলে বইমেলার মূল মঞ্চে একুশে বক্তৃতা প্রদান অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শ্রোতা-দর্শকের সমাগম ঘটে। অনুষ্ঠানে কবি আসাদ চৌধুরী একুশে বক্তৃতা পাঠ করেন। স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার স্টল ও প্যাভিলিয়নে দায়িত্ব পালনকারী বিক্রয়কর্মীদের মন্তব্য গতকাল বইমেলায় বইয়ের বিক্রি ছিল বেশ ভালো। উপন্যাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ রয়েছে বিক্রির শীর্ষে।