সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
ইমদাদুল হক মিলন। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার। এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই জায়গাতেই তিনি তুমুল জনপ্রিয়। ৮ সেপ্টেম্বর তিনি ষাট বছরে পদার্পন করবেন। ষাট বছরের জীবনে ৪২ বছরই তিনি লেখালেখির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। এক বিকেলে আনন্দ আলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন নন্দিত এই লেখক। আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমানের সাথে এক আড্ডায় বলেছেন অনেক কথা। তারই চুম্বক অংশ পাঠকের জন্য…
আনন্দ আলো: ষাট বছরে পা দিচ্ছেন অনুভূতি কেমন?
ইমদাদুল হক মিলন: ভাবতে গেলেই মনটা একটু খারাপ হচ্ছে। কারন আমার বয়স ৬০ হয়ে যাচ্ছে একথা ভাবতে ইচ্ছে করে না। তবুও এটাই বাস্তব। তবে ভাবতে ভালো লাগছে ৬০ বছরের মধ্যে আমার লেখালেখির বয়স ৪২ বছর। আমি ভাবতে চাই না আমার বয়স ৬০ বছর হয়ে গেছে। আমি আমার বয়স সব সময় ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে রাখতে চাই। হা… হা… হা…
আনন্দ আলো: ছোটবেলার কথা মনে পড়ে?
ইমদাদুল হক মিলন: ছোটবেলার কথাই বেশি মনে পড়ে। আমার ধারনা ৪০ বছর বয়সের পর থেকে মানুষ স্মৃতিকাতর হতে থাকে। ফেলে আসা জীবনের কথা খুউব মনে পড়ে। তার ভুলভ্রান্তির কথা কমবেশি মনে হতে থাকে। আমি এই কাজটা করেছি… যদিও অন্যভাবে করতাম তাহলে হয়তো আরো ভালো হতো। আমি একজন লেখক তাই লেখালেখির কথাই বেশি মনে পড়ছে। অনেক লেখা অযতেœ লিখেছি। পয়সার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে লিখে দিয়েছি। একটি চমৎকার গল্প… হয়তো সময় নিয়ে লিখলে আরো অনেক ভালো করা যেতো। কিন্তু সেটা করিনি। ঈদ সংখ্যার চাপে অথবা প্রকাশকের তাড়ায় চট করে কোন উপন্যাস লিখে দিয়েছি। অথচ একটু সময় নিয়ে লিখলে লেখাটা আরো ভালো করা যেতো… এই ধরনের লেখাগুলোর জন্য আমার খুব মায়া হয়। এজন্য নিজেকে অপরাধীও মনে হয়। মনে মনে ভাবি এটা করা আমার উচিৎ হয়নি। আবার ভাবিÐ এটা করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। আমার পাঠক ভক্তরা নিশ্চয়ই জানেন, আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর আগে আমি লেখালেখি করেই জীবন ধারনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখনকার দিনে এটা এক ধরনের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত ছিল। কারন তখন হাতেগোনা কিছু পত্রিকা ছিল। লেখা ছাপার মাধ্যম ছিল খুবই কম। টিভি চ্যানেল ছিল মাত্র একটি। প্রকাশনা ব্যবস্থাও আজকের মতো এতো উন্নত ছিল না। যাও কিছু প্রকাশনা সংস্থা ছিল তারা সহজে বই ছাপতে চাইত না। ছাপলেও রয়্যালিটি ঠিকমতো পাওয়া যেত না। এমন বাস্তবতায় একজন তরুণ লেখক যখন সিদ্ধান্ত নেন যে শুধুমাত্র লেখালেখি করে জীবন ধারণ করবেন এর চেয়ে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। যেহেতু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম তাই অনেকটা উন্মাদের মতো আমাকে লিখতে হয়েছে। এখন যেমন আমি একটা চাকরি করি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কর্মস্থলে সময় দিতে হয়। আমার লেখালেখির সেই সময় এমনও হয়েছে দিনে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা আমি একনাগাড়ে লেখালেখি করেছি। লেখা আদৌ লেখা হচ্ছে কিনা… ভালো হচ্ছে কিনা… সাহিত্যের বোদ্ধারা বিষয়টা কিভাবে নিবেন… পাঠকরা ভালোভাবে নিবেন কিনা… কতটা গ্রহণযোগ্য হবে? এগুলো না ভেবে আমি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখেছি। পয়সার জন্য। জীবন ধারনের জন্য। তখন একটাই চিন্তা ছিলÐ আমাকে যে করেই হোক একটা লেখা দাঁড় করতে হবে। সেটা কোনো না কোনো পত্রিকায় ছাপা হবে। সেখান থেকে আমি কিছু টাকা পাব। ঐ টাকা দিয়ে আমার সংসার চলবে। তবে এমন বাস্তবতায় মাঝে মাঝে আমি খুব মর্মপীড়ায় ভুগতাম। নিজেকে প্রশ্ন করতাম এটা কি ঠিক হচ্ছে? আমি যা করছি তা কি ঠিক করছি? এই যে শুধুমাত্র একটা শ্রেণীর জন্য সস্তা প্রেমের উপন্যাস লিখে যাচ্ছি এটা কি ঠিক হচ্ছে? এই চিন্তা-চেতনার ফাঁকে ফাঁকে আমি অন্যরকম কিছু লেখা লেখার চেষ্টা শুরু করলাম…
আনন্দ আলো: আমরা এই প্রসঙ্গে আসব। আপনার লেখালেখির শুরুর গল্পটা শুনতে চাই।
ইমদাদুল হক মিলন: (মৃদু হেসে) জীবনে বহুবার এই গল্পটা বলতে হয়েছে। আজ আবারও ছোট্ট করে বলি। ১৯৭৩ সালে আমার এক বন্ধুর সাথে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে আমি মূলত লেখালেখি শুরু করি।
আনন্দ আলো: আপনার প্রথম উপন্যাস সম্পর্কে কিছু বলুন।
ইমদাদুল হক মিলন: আমার প্রথম উপন্যাসের নাম ‘যাবজ্জীবন’। বাংলা একাডেমীর ‘উত্তরাধিকার’ পত্রিকায় লেখাটি ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। বিশিষ্ট কবি রফিক আজাদ আমাকে ডেকে নিয়ে উপন্যাসটি উত্তরাধিকারে ছাপা শুরু করেন। প্রসঙ্গক্রমে একটা কথা বলা দরকার যে সময়ে রফিক আজাদের মতো একজন জনপ্রিয় কবি, বাংলা একাডেমীর উপ-পরিচালক এবং উত্তরাধিকার পত্রিকার সম্পাদক, তিনি অখ্যাত, অচেনা একজন লেখককে ডেকে এনে তার লেখার একটি চ্যাপ্টার শুনেই বলে দেন তোমার এই লেখা লিখতে থাক। লেখা যতই বড় হোক আমি উত্তরাধিকারে ছাপব। এই যে একজন তরুণ লেখকের প্রতি তিনি ভরসা করলেন, একনাগাড়ে দেড় বছর উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে ছাপলেন এটি আমার লেখক জীবনে আশির্বাদ হয়ে দেখা দেয়। উত্তরাধিকার পত্রিকায় আমার উপন্যাস ছাপা হওয়ার ফলে সুশীল সমাজ ও বোদ্ধা পাঠকের কাছে আমি যেনো একটু সমাদর পেতে শুরু করি। ফলে লেখক হিসেবে আমার পায়ের তলায় মাটিটাকে আমি শক্ত ভাবতে প্রেরণা পাই।
আনন্দ আলো: লেখক হিসেবে আপনি তখন মোটামুটি জনপ্রিয়। তখন হঠাৎ দেশ ছাড়লেন কেন?
ইমদাদুল হক মিলন: এখানে একটি ভুল হচ্ছে। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় আমি দেশ ছাড়ি নাই। দেশ ছাড়লাম ১৯৭৯ সালে। তখনও দেশে বইয়ের পাঠক তেমন একটা বাড়েনি। লেখক হিসেবে আমার নামটা পাঠকের কাছে মোটামুটি পরিচিত হয়েছে। মাত্র দুটো বই বেরিয়েছে। কিন্তু বিক্রি তেমন সুবিধের নয়। হুমায়ূন আহমেদ তখনো লেখালেখি সিরিয়াসলি শুরু করেননি। যদিও তখন তার দুটো উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার ও নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তখন তিনি আমেরিকায়। সেই সময় বাংলাদেশে লেখালেখির অবস্থা এতো রমরমা ছিল না। তবুও লেখক হিসেবে আমি নিজেকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করছি। কিন্তু সংসার আমাকে টেনে ধরল। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময় মারা গেছেন। পরিবারে অনেকগুলো ভাইবোন। সংসারে ভালোভাবে আমরা দাঁড়াতে পারছি না। স্ট্রাগল করছি। এমন বাস্তবতায় পশ্চিম জার্মানীতে যাবার সুযোগ পেয়ে ভাবলাম সুযোগটা নিয়েই নেই। এতে করে সংসারে স্বচ্ছলতা আসবে। মা-বাবা, ভাইবোনকে ভালো রাখতে পারব। এই বোধটাই আমার মধ্যে জরুরি হয়ে দাঁড়ায় এবং এই কারনেই বিদেশে যাই। কিন্তু বিদেশে গিয়ে যখন আমি জীবনটাকে অন্যভাবে আবিস্কার করলাম, কষ্টের একটা জীবন পেলাম তখন মর্মপীড়ায় ভুগতে শুরু করলাম। তখন মনে হলো এই জীবন আমার না। শ্রমিকের মতো জীবনযাপন করার জন্য আমি জন্মাইনি। আমি দেশে ফিরে যাব এবং লেখক হিসেবেই নিজেকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করব।
আনন্দ আলো: পশ্চিম জার্মানী থেকে দেশে ফিরে আসার পর কী স্ট্রাগল করতে হয়েছে?
ইমদাদুল হক মিলন: হ্যা… ব্যাপক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। দেশে ফিরে আসার পরই কঠিন স্ট্রাগল করতে হয়েছে। দেশে ফিরে বিয়ে করলাম। সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকায় চাকরি নিলাম। একসময় সেই চাকরিটা চলে গেল। যা করতে চাই সবখানেই অবিরাম ব্যর্থতা। ব্যবসা করতে গিয়েও টিকতে পারলাম না। যখন দেখলাম আয়-রোজগারের সব রাস্তা বন্ধ তখন একদিন দুপুরে সিদ্ধান্ত নিলাম আর কিছুই করব না। লেখালেখি করেই জীবন চালাব। লিখে টাকা আয় করব। যত কষ্টই হোক লিখেই নিজেকে দাঁড় করাব। হ্যাঁ এরপর দীর্ঘ ৮/৯ বছর ব্যাপক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ১৯৯২ সালের জন্য আমি সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাই। সেটা ঘোষণা হয় ১৯৯৩ সালের ফেব্র“য়রি মাসে বইমেলায়। ঐ বছর আমার একটি উপন্যাস বেরিয়েছিল। নাম ‘ভালোবাসার সুখ দুঃখ’। সেই বইমেলায় বইটির ৬৫ হাজার কপি বিক্রি হয়ে যায়। এই বইটি আমাকে আর্থিকভাবে সাহসী করে তোলে। এরপর থেকে আমি আর আর্থিক দৈন্যতায় ভুগিনি। তবে পেছনের ৮/৯ বছরের সংগ্রামমুখর সময়গুলোর কথা ভেবে আমি এখনো শিউরে উঠি। কখনো কখনো চোখ ভিজে আসে। তবে হ্যাঁ, আমার এই দুর্দিনে আমার স্ত্রীর ভ‚মিকা ছিল বিশেষভাবে উলেখ করার মতো। তিনি আমাকে সর্বদাই সাহস যুগিয়েছেন। মনে পড়ে আমার লেখার কঠিন সংগ্রাম দেখে আমার স্ত্রী একদিন সামনে এসে দাঁড়ায়। আমার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে বলেÐ তোমার কষ্ট দেখে আমি ঠিক থাকতে পারি না। মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার লেখালেখির কিছুটা যদি আমি করে দিতে পারতাম। তার কথা শুনে সেদিন আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।
আনন্দ আলো: টিভি নাটক লেখার গল্পটা কেমন?
ইমদাদুল হক মিলন: এ কথাও বহুবার বলেছি। আমার বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে অধিকাংশরাই একসময় টিভি নাটকে অভিনয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। আমিও তাদের সাথে টেলিভিশন অর্থাৎ বিটিভি ভবনে যেতাম। এভাবেই একদিন টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখে ফেলি। টিভি নাটকের সংখ্যা বোধকরি দেড় শতাধিক হবে। উলেখযোগ্য নাটকের মধ্যে ‘কোন কাননের ফুল’, ‘বারো রকম মানুষ’, ‘রূপনগর’, ‘যুবরাজ’, ‘কোথায় সেজন’, ‘আলতা’, ‘একজন নীলু’, ‘খুঁজে বেড়াই তারে’, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ এবং সাম্প্রতিক সময়ের দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘নূরজাহান’।
আনন্দ আলো: তখন আপনি অত্যন্ত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আপনার একটা বই কিনে অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন। সেই স্মৃতি মনে পড়ে?
ইমদাদুল হক মিলন: (মৃদু হেসে) হ্যাঁ সেই স্মৃতি মাঝে মাঝেই মনে পড়ে। বাংলা একাডেমিতে একুশে বইমেলায় একটি স্টলে বসে আছি। ভক্ত পাঠকদেরকে অটোগ্রাফ দিচ্ছি। হঠাৎ এক ভদ্রলোক আমার একটা বই কিনে অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেনÐ মিলন আমাকে একটা অটোগ্রাফ দেন তো! আমি মুহ‚র্তের মধ্যে লোকটিকে চিনে ফেললাম। আরে এতো আমাদের হুমায়ূন আহমেদ। বিনীতভাবে তাঁকে বললামÐ আপনি আমার বই কিনেছেন কেন? আমি আপনাকে অটোগ্রাফ দিব? কি যে বলেন… সেদিন মেলা থেকেই রাতে হুমায়ূন ভাইয়ের শ্যামলীর বাসায় গিয়েছিলাম। এটি আমার লেখক জীবনের অনন্য এক স্মৃতি!
আনন্দ আলো: হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি!
ইমদাদুল হক মিলন: আমি আজ সোজাসুজি একটা কথা বলতে চাই। হুমায়ূন আহমেদ আমাদের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক। হুমায়ূনের তুলনা হুমায়ূনই। আমি তার একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত।
আনন্দ আলো: শুরুর দিকে আপনার অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল প্রেম আর ভালোবাসা। প্রেম আপনার কাছে কি!
ইমদাদুল হক মিলন: এই পৃথিবীতে প্রেম আর ভালোবাসাই তো আসল। প্রেম, ভালোবাসার নানা রূপ আছে। প্রকৃতি প্রেম, মানব প্রেম, প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেম, বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের প্রেম, স্বামী-স্ত্রীর প্রেম। পজিটিভ অর্থে প্রেমই মানুষকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নেয়। যার হৃদয়ে প্রেম আর ভালোবাসা নেই তার পক্ষে মহৎ কিছু করা আদৌ সম্ভব নয়।
আনন্দ আলো: প্রেমে পড়েছেন?
ইমদাদুল হক মিলন: বহুবার…।
আনন্দ আলো: ফেসবুক, ইন্টারনেটের এই যুগে ছাপা অক্ষর অর্থাৎ বইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আপনার অভিমত কি?
ইমদাদুল হক মিলন: যারা বইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন আমি তাদের সাথে একমত নেই। একসময় যখন ভিসিআর-এর আবির্ভাব ঘটলো তখন অনেকে বলা শুরু করলো এবার সিনেমা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সিনেমা শেষ হয়নি। বরং ভিসিআর হারিয়ে গেছে। এখন বলা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের প্রভাবে বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাবে। এটাও ভুল ধারনা। আমি মনে করি আগামীতে বইয়ের পাঠক আরো বাড়বে। এক্ষেত্রে সময়কে গুরুত্ব দিয়ে কবি লেখদেরকেও আরও আধুনিক হতে হবে। ইমদাদুল হক মিলনের প্রকাশিত গ্রনেন্থর সংখ্যা ২ শতাধিক। এর মধ্যে যাবজ্জীবন, অধিবাস, পরাধীনতা, কালাকাল, বাঁকাজল, ভালোবাসার সুখ দুঃখ, ও রাধা ও কৃষ্ণ, নিরন্নের কাল, পরবাস, কালোঘোড়া, মাটি ও মানুষের উপাখ্যান, পর, কেমন আছ সবুজপাতা, জীবনপুর, সাড়ে তিনহাত ভ‚মি, নূরজাহান।