Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

১০০ নাটকের নাম দিয়ে লেখা আজব চিঠি মেহজাবীনের জন্য

যাকে ভালোলাগে তার জন্য কত কীই না করে মানুষ। হাত কেটে রক্ত দিয়ে ভালোবাসার কথা লিখে। আত্মহত্যা করে। এটা হলো প্রেম বিষয়ক জটিলতা। আবার তারকাকে ভালোবেসে ভক্তরা কত কিছুই না করে। চিঠি লিখে। ফুল পাঠায়। কিন্তু জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মেহজাবীন এর একজন ভক্ত আজব এক চিঠি লিখেছেন তার কাছে। এই চিঠির বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য আছে। মেহজাবীন অভিনীত ১০০ নাটকের নাম দিয়ে লেখা হয়েছে আজব এই চিঠি। আসুন দেখি কি লেখা আছে ওই চিঠিতে…
‘বড় ছেলে’টা ‘বেকার’ হয়েও সাহস করে সে ‘কাঠগোলাপ’ ‘উপহার’ দিয়ে বলেছিল, ‘হাতটা দাও না বাড়িয়ে’, কেবল তোমার ‘এ মন আমার’। ‘এ সুইট লাভ স্টোরি’র মতো ‘প্রিয় তুমি’ শব্দটাকে ‘কেয়ার’ করে ‘সুখে দুঃখে’ ‘পাশাপাশি’ থাকার ‘মনে প্রাণে’ ‘আস্থা’ দিয়েছিল। ‘নিঃশব্দে সুর’–এ তার ‘বুকের বাঁ পাশে’ দীর্ঘদিন পর ‘আবার ভালোবাসার সাধ জাগে’। ‘শুধু তুমি’ই ‘তুমি যদি বলো’, ‘মায়ার বাঁধন’-এ রাখব ‘মহব্বত’। ‘তোমার ভালোবাসার জন্য’ কতটা ‘তোমার অপেক্ষায়’ থাকি ‘যদি তুমি জানতে’। এই তো সেদিনটায়, ‘কত দিন পর হলো দেখা’, তৎক্ষণাৎ দিনটির ‘নামকরণ’ করেছিলাম ‘অপ্রত্যাশিত একদিন’।
‘কাঠ পেন্সিলের কাহিনী’ লিখতে গিয়েই মনে হলো ‘এই শহরে ভালোবাসা নেই’ কিংবা ‘সব প্রেমের গল্প এক নয়’, নতুবা কেউ ধরার বাইরে ‘অধরা’। কখনো ভাবি, ‘শোক হোক শক্তি’; এভাবেই ‘স্বার্থপর’–এর মতো ‘ভালো থেকো তুমিও’। ‘সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তন হওয়ার আগেই ‘স্বপ্ন দেখি আবারও’। মনে পড়ে যায়, তুমি আমার জীবনের ‘ফার্স্ট লাভ’ অথবা এটা আমার জীবনের ‘একটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেমের গল্প’। ‘২২ শে এপ্রিল’ প্রথম তোমাকে দেখেছি, সেদিনই ‘তোমার জন্য মন’–এ অনুভব হলো। একটা কথা কখনো বলতে পারিনি, ‘আমার হৃদয় তোমার’, ‘তুমি আমারই’! আমার ‘লালরঙ্গা স্বপ্ন’–এ ‘হঠাৎ একদিন’ ‘তোমায় নিয়ে’ ‘মেঘের বাড়ি যাব’।
‘শিল্পী’র ‘রংতুলি ও নীল ভালোবাসা’য় আমার ‘অপরূপা’র ‘ছায়াছবি’তে ‘নীরবতা’ ‘দৃষ্টি’তে বলতে চাই, ‘ভালোবাসি আজও’। ‘আহা প্রেম’, কখনো কখনো ‘মজনু’ হয়ে তোমাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়, ‘লায়লা তুমি কি আমাকে মিস করো’? কিন্তু ‘নৈব নৈব চ’, আমার ‘অসমাপ্ত’ ‘ভালোবাসার গল্প’–এ ‘এখনো আঁধার’। এখনো তুমি আমাকে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ভাব, কিন্তু আমার কাছে তুমি ‘মায়াপুরের মায়া’ এবং ‘আমার সবুজ পরী’, আর হ্যাঁ, তোমার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো ‘মেমোরিজ’ হয়ে থাকবে। ‘প্রিয়তমেষু’, ‘বর্ষার একদিন’ না হয় টং দোকানে চা খাব আর ‘অবশেষে বৃষ্টি’তে দুজনে ভিজব। তোমার জন্য একটা ‘ইচ্ছে খাম’ রেখে দেব, তুমি সেটা পড়বে আর ‘মুক্তা ঝরা হাসি’ দিয়ে ‘গজদন্তনী’র মতো হাসবে। তোমার হাসিটুকু ‘অপেক্ষার ফটোগ্রাফি’র মতো ক্যামেরাবন্দী করব। সেটাই হবে আমার জন্য ‘পাওয়ার অব লাভ’ কিংবা ‘ম্যাজিক অব লাভ’।
তোমার জন্য লেখা ‘সবুজ চিরকুট’টি ‘রঙিন খামে ধুলোয় পড়া চিঠি’তে পরিণত হয়েছে। ঠিক তেমনি ‘শেষ চিরকুট’–এর গল্পটাও পড়ে আছে, ‘যে গল্পটা বলা হয়নি’। ‘কতটা পথ পেরোলে’ তোমাকে পাব জানি না। তবে একটা কথা, ‘গল্পটা তোমারই’, এমনকি তুমিই আমার ‘ড্রিম গার্ল’। ‘মেঘে ঢাকা আকাশ’টা যেদিন ‘মেঘলা’ ছিল অর্থাৎ ‘২৩শে শ্রাবণ’, সে সময়টা আমি ‘অবশেষে অন্য কিছু’ ভাবছিলাম, ‘চেনা অচেনা’ শহরে ‘নেই তুমি’। ভেবেছিলাম, ‘আর কোনো অপেক্ষা নেই’। ঠিক তখনই ‘সে দাঁড়িয়ে দুয়ারে’ আমার ‘ইশারার অপেক্ষায়’। বলে উঠল, আমি তোমাকে ‘ভুলতে পারি না’।
যাক, অবশেষে তার ‘মন বদল’ হলো। ‘আমার টুকরো প্রেমের টান’–এ আমাদের ‘পরিচয়’টা ‘বন্ধুত্ব ভালোবাসা কিংবা অন্য কিছু’তে ‘পরিণতি’ হলো। কী ‘আজব প্রেম’। আজ বুঝলাম, ‘ভালোবাসা এমনো হয়’। সব ‘কল্পনা’র ‘পিছুটান’ শেষে ‘শেষ পৃষ্ঠার গল্প’–এ আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পেল। এভাবেই ‘চিরদিন বেঁচে থাকুক আমাদের ভালোবাসা’। শুধু ‘ফ্রেমেবন্দী ভালোবাসা’য় নয়, বরং জীবনের ফ্রেমে তাকে ‘ফটো ফ্রেম’–এর মতো করে বাঁধাই করে রাখব।