সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
কার গান কে গায়? কার গল্প কে বলে? কার হাসি কে হাসে? এমনই অস্থিরতা চলছে আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে সঙ্গীতের ক্ষেত্রে চলছে চরম অস্থিরতা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে জনপ্রিয় গীতিকারের জনপ্রিয় গান গাইছেন অনেক শিল্পী। নাম মাত্র সম্মানী পাচ্ছেন ওই শিল্পী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেল গান গুলো ইউটিউব চ্যানেলে ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করছেন। এমনই অভিযোগ তুলেছেন দেশের জনপ্রিয় গীতিকার হাসান মতিউর রহমান। প্রকৃত স্বত্বাধিকারীর অনুশতি ছাড়া ইউটিউব চ্যানেল গুলোয় যে সব গান প্রকাশ করা হয়েছে সে সব গান ১০ দিনের মধ্যে ইউটিউব থেকে মুছে ফেলার সময় বেধে দিয়ে তিনি বলেছেন, অন্যথায় তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
সামাজিক মাধ্যমে হাসান মতিউর রহমান লিখেছেন, শিল্পীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কিছু টিভি চ্যানেল তাদের দিয়ে লাইভ অনুষ্ঠনের নামে জনপ্রিয় গান গুলো করিয়ে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে দিব্বি ব্যবসা করে খাচ্ছে। এটা অন্যায় এবং অবৈধ জেনেও তারা এসব করছে। অনেক গায়ক গায়িকাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন তারা এ ধরনের অন্যায় করে যাচ্ছেন। উত্তরে তারা বলেছেন, এসবের কিছুই জানেন না। চ্যানেল গুলো লাইভ’এর নামে গান করিয়ে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে গান গুলো ইউটিউব চ্যানেল আপলোড করে। শিল্পীদের অনুমতিও নেয় না।
হাসান মতিউর রহমান বলেন, উকিল নোটিশ না পাঠিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছি। ৮ আগস্টের মধ্যে অনুমতি না নেওয়া গান ইউটিউব সহ বিভিন্ন প্লাটফরম থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। হাসান মতিউর রহমানের লেখা জনপ্রিয় কিছু গান ‘আমি বন্দী কারাগারে’, ‘কলমে নাই কালি’, ‘যদি রাত পোহারে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’, ‘আমার লাইন হইয়া যায় আঁকা বাঁকা’ ইত্যাদি।