Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

পরীমনির কান্না পরীমনির হাসি জীবনটা কী এতই সহজ!

মন্তব্য প্রতিবেদন

ভালো কাজের প্রশংসা করা জরুরি। এতে অন্যেরও ভালো কাজে উৎসাহিত হয়। চিত্র নায়িকা পরীমনি বরাবারের মতো এবারও এফডিসিতে পশু কুরবানী দিয়েছেন। হাসি হাসি মুখে মিডিয়ার সাথে কথা বলেছেন। তার এই হাসি ভরা মুখের ভিডিও চিত্র এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশংসার চেয়ে নিন্দাই যেন বেশী।
পরীমনি দুস্থদের জন্য পশু কুরবানী দিলেন। এতে তো প্রশংসার ঝড় ওঠার কথা। কিন্তু নিন্দার ঝড় উঠেছে কেন? এজন্য কী পরীমনির একটুও দায় নেই। একদিন রাতে পরীমনি হঠাৎ সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, একটি ক্লাবে তার ওপর একজন ব্যবসায়ী হামলা করেছে। ওই ব্যবসায়ী নাকি ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ করলেন। প্রশ্ন উঠলো তার ব্যক্তিগত জীবনাচারণ নিয়ে। রাত দুপুরে তিনি কেন নির্জন একটি ক্লাবে গিয়েছিলেন? এভাবে প্রায়ই তিনি অনেক ক্লাবে যান। অশোভন আচরণ করেন। দামী গাড়িতে চরেন পরীমনি। তার বিলাসী জীবন নিয়ে অনেক অভিযোগ শোনা গেল।
কিন্তু হঠাৎ যেন সব অভিযোগই থেমে গেল! অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জেল থেকে মুক্ত হলেন। এরপর কোথাও কোনো খবর নাই। সবকিছুই যেন মিটমাট হয়ে গেছে এমন অবস্থা। প্রচার মাধ্যমে দেখা গেল পরীমনি তার অভিনয় জীবনে ফেরার ঘোষনা দিয়েছেন। এটা শুভ সংবাদ। কিন্তু একই সাথে অনেকে জানতে চায় এই যে পরীমনি হঠাৎ মিডিয়ার মানুষকে ডেকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এত কথা বললেন, চলচ্চিত্র পরিবারকে একটা প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করালেন এর সন্তোষজনক জবাব কি তার কাছে পাওয়া গেছে? সম্মানীত ওই ব্যবসায়ীর সাথে তার সব ঝামেলা কি মিটে গেছে? পরীমনি কি সেদিনের অর্থাৎ সেই রাতের ঘটনার ব্যাপারে সত্য বলেছিলেন? নাকি মিথ্যা বলেছিলেন? কোনো প্রশ্নেরই উত্তর পায়নি দেশের মানুষ। ফলে কুরবানীর মতো একটি মহৎ কাজের ব্যাপারে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন অনেকে। এজন্য কী পরীমনির কোনো দায় নেই?