সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
যুক্তি নানা ধরনের থাকতে পারে। একে তো করোনাকাল তার উপর কঠোর লক ডাউন চলছে। উপরন্তু ঝুম বৃষ্টির মধ্যে বাইরে যাই কি করে? কিন্তু যারা বাড়ির বাইরে বের হয়েছিল, বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংগীত যোদ্ধা ফকির আলমগীরকে শেষ দেখা দেখতে এসেছিল তাদের কেউই তো লক ডাউন, বৃষ্টি বা অন্য কোন প্রতিবন্ধকতার কথা ভাবেননি। বরং ভিজতে ভিজতে শহীদ মিনারে এসেছেন অনেকে। শোকাতুর অসংখ্য মুখ। শুধু দূর্ভাগ্য শোকের মিছিলে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পীদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। অথচ শহীদ মিনারে মহান এই শিল্পীকে শেষ দেখা দেখতে এসেছিলেন তাঁর অগণিত ভক্ত অনুরাগী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, শুভাকাঙ্ক্ষী, স্বজন ও কিছু বন্ধু। এই তালিকায় কোন সংগীত শিল্পী বা সাংস্কৃতিক তারকাদের তেমন একটা দেখা যায়নি।
অবশ্য এটা কোন বিতর্কের বিষয় হতে পারে না। একজন কিংবদন্তি শিল্পীর শেষ বিদায় কে দেখতে এলো, কে এলো না এটা কোন বিষয় নয়। শুধু একটি বিষয় জরুরি আমরা এই মহান শিল্পীকে যেন ভুলে না যাই। সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন প্রয়াত শিল্পী ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর। তিনি বলেছেন, ফকির আলমগীর ছিলেন গণ মানুষের শিল্পী। তিনি যেমন সাধারন মানুষের জন্য শতশত গান করেছেন, তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর গান মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছে। শোষণ, অন্যায়, অবিচারের কথা তিনি গানে গানে বলেছেন। তাঁর মতো এমন বলিষ্ঠ কন্ঠযোদ্ধাকে যেন পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্ম যেন তাঁর মতো একজন আদর্শ শিল্পীকে চিনতে পারে।