Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বর্ণিল সব চরিত্র করতে একটা কারণ লাগে : কঙ্কনা

কঙ্কণা সেনশর্মার যেমন হিট ছবি আছে, তেমনি আছে ফ্লপ ছবিও। ভালো, মন্দ, বাণিজ্যিক ও বিকল্প ধারার ছবি আছে। কিন্তু এমন কোনো ছবি নেই, যেখানে তাঁর অভিনয় ভালো হয়নি। সমালোচকেরা তাঁকে ‘জিরো ব্যাড পারফরম্যান্স’ অভিনয়শিল্পী বলে প্রশংসা করেন। সম্প্রতি ধর্ষকের মনস্তত্ব নিয়ে দ্য রেপিস্ট ছবিটি বানাচ্ছেন তাঁর মা অপর্ণা সেন। সেখানে ধর্ষণের শিকার এক নারীর চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্কণাকে। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন অর্জুন রামপাল।
বড় পর্দায় বৈচিত্র্যময় সব চরিত্র হয়ে ওঠা নিয়ে কথা বলেছেন কঙ্কণা। সম্প্রতি ই–টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বর্ণিল সব চরিত্র হয়ে ওঠার জন্যও একটা কারণ লাগে। তা হতে পারে চিত্রনাট্য, পরিচালক বা অন্য কিছু। অভিনয়শিল্পী হিসেবে বড় পর্দার একেকটা ছবিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন একেকজন হয়ে উঠতে চাই আমি। চাই আমার চরিত্রটা হবে ভঙ্গুর, যে ক্রমাগত বদলে যায়। মানে চরিত্রটা চেহারা বা গ্ল্যামারসর্বস্ব নয়। চরিত্রটা দেখলে যেন তাঁর চেহারা বা শরীর নয়, গল্পটা দেখা যায়, অভিনয়টা চোখের সামনে ভেসে ওঠে।’ পেইজ থ্রি সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে নাম লেখান কঙ্কণা। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত! সাংবাদিকের চরিত্রটি তাঁকে এনে দেয় আইফার সেরা অভিনেত্রীসহ বেশ কিছু পুরস্কার। এর আগে ২০০৩ সালে মায়ের ইংরেজি ছবি মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার-এ মীনাক্ষী আইয়ারের ভূমিকার জন্য পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। আর বড় পর্দায় তাঁর যাত্রা শুরু হয় ২০০২ সালে, বাংলা ছবি এক যে ছিল কন্যা দিয়ে। ট্র্যাফিক সিগন্যাল, লাইফ ইন আ মেট্রো, লাগা চুনারি মে দাগ, আজা নাচলে, ফ্যাশন, ওয়েক আপ সিড, সাত খুন মাফ, দোসর, গয়নার বাক্স, এক থি ডায়ান ছবিগুলো তাঁর সফলতার একেকটি সোপান। ডেথ ইন দ্য গঞ্জ পরিচালনা করে পরিচালক হিসেবেও তিনি কুড়িয়েছেন প্রশংসা ও পুরস্কার।