Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

পেশার দায়বদ্ধতায় মিজানুর রহমান

অধ্যাপক ড. মো: মিজানুর রহমান। বাংলাদেশের খ্যাতিমান একজন শিক্ষাবিদ, দূর্ঘটনা, পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘ দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে শিক্ষাবিদ হিসেবে পাঠদান ও গবেষণার পাশাপাশি সড়ক ও রানওয়ে নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনে এবং সড়ক দূর্ঘটনা রোধকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ করে চলেছেন। ১৯৯৬ সালে বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পাস করার পর পরই তিনি লেকচারার হিসেবে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে যোগ দেন। ২০০০ সালে তিনি বুয়েট থেকে ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২০০৪ সালে তিনি জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর গবেষনা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করছেন। জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে ভ্রমণ করেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের তিনি আজীবন ফেলো এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল মেম্বার। এছাড়াও বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট (অজও) এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (উগঞঈখ) এর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের গত মেয়াদে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার শাহ্ সিমেন্ট নির্মাণে আমি তে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন। লিখেছেন মোহাম্মদ তারেক

অধ্যাপক ড. মো: মিজানুর রহমানের জন্ম ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ফরিদপুর জেলার নগর কান্দা উপজেলার তালমা গ্রামে। বাবার নাম মো: নূরুল হক। তিনি স্বাধীনতা উত্তরকালে ফরিদপুর শহরের একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার অপরাধে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাক হানাদার বাহিনী আগুনে পুড়িয়ে দেয়। মা শিরীন হক গৃহিনী। তিন ভাই বোনের মধ্যে ড. মিজানুর ছোট। বড় বোন সাবিনা বেগম ও ছোট বোন রেশমা বেগম গৃহিনী। ছোটবেলা থেকেই ড. মিজানুর প্রকৌশলী হবার স্বপ্ন দেখতেন। হয়েছেনও সফল। নিজের আগ্রহ থেকেই প্রকৌশলী হওয়া তার। ফরিদপুর হাইস্কুল থেকে স্টার মার্কসহ এসএসসি পাস করেন ১৯৮৭ সালে। ১৯৮৯ সালে ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। বুয়েটে অধ্যায়নকালে শহীদ স্মৃতি হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরোপকারী ড. মিজানুর ছাত্র অবস্থায় তার সহপাঠীদের লেখাপড়া সহ নানান ভাবে সহায়তা করে সকলের প্রিয় ভাজন হয়ে ওঠেন।
১৯৯৬ সালে তিনি বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সম্মানসহ প্রথম বিভাগে চতুর্থ স্থান অধিকার করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পাস করেই লেকচারার হিসেবে যোগ দেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ২০০০ সালে বুয়েট থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে পাড়ি দেন জাপানে। ২০০৪ সালে জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর গবেষনা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিদেশের নিরাপদ ও সুনিশ্চিত জীবনের মোহ ঝেড়ে ফেলে দেশে ফিরে আসেন দেশের জন্য কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে। দেশে ফিরে এসে তিনি আবার শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নানা বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দিচ্ছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করছেন। ২০০৯ সালে তিনি জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে ভ্রমন করেন। কংক্রিট মিক্স ডিজাইন, সড়ক মহাসড়কে কংক্রিটের ব্যবহার, পুরাতন সড়ক নির্মাণে কংক্রিট এর ব্যবহার, টেকসই সড়ক নির্মাণ কৌশল, দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানও প্রতিকার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, ট্রাফিক সিগনাল ডিজাইন এবং আধুনিক রেলওয়ে নির্মাণ কৌশল ইত্যাদির বিষয়ে তিনি তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় ধরনের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘ দুই দশকের কর্মজীবনে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সড়ক দূর্ঘটনা, সড়ক ও রানওয়ে সম্পর্কিত পচাত্তরটির বেশী বিভিন্ন গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। যার মধ্যে কয়েকটি কনফারেন্সে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেন। তিনি পনেরটিরও অধিক স্নাতকোত্তর থিসিস তদারকি করেছেন যার মাধ্যমে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে তিনি অত্যন্ত সক্রিয়। তার উদ্যোগ ও সক্রিয়তায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ট্রান্সপোর্টেশন ডিভিশনের কোর্স ক্যারিকুরাম আধুনিকরণ করা হয়। ট্রান্সপোর্টেশন ডিভিশনের ল্যাবরেটরির আধুনিকীকরণ ও নিরাপদ করার ক্ষেত্রে তিনি কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। এ যুগের প্রথিত যশা প্রবীণ প্রকৌশলীবৃন্দের মধ্যে অধ্যাপক মরহুম আলমগীর মুজিবুল হক, জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক মাজহারুল হক, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যাপক শামীম জেড বসুনিয়া প্রমুখ তার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। মিজানুর বলেন, পেশাগত জীবনে আমি তাদের কাছাকাছি যেতে পারায় তাদের দর্শন গুলো আমি নিতে পেরেছি। উদার নৈতিক মানসিকতা, পরমত, সহিষ্ণুতা পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা এই জীবন দর্শনগুলো ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে প্রয়োগের চেষ্টা করি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, দেশের যে কোনো প্রয়োজনে আমি আমার সাধ্যের মধ্যে কাজ করতে চাই। সেটা প্রকৌশলীর অবস্থান থেকে হোক বা শিক্ষকতার অবস্থান থেকে হোক। আমি দেশের জন্য গবেষণা, প্রকৌশল পেশা এবং প্রকৌশল শিক্ষার নীতি নির্ধারনী কাজে সহযোগিতা করতে চাই। আমি বাংলাদেশকে একটা সুখী, সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক ও নিরাপদ দেশ হিসেবে দেখতে চাই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের পূর্ব পুরুষরা ত্যাগ স্বীকার করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। যার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। জাতি গঠনে আমাদেরকেও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্ম অবশ্যই এর সুফল ভোগ করবে।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যান পরিদপ্তরের পরিচালক এর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে ২৪ কিলো মিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও পরামর্শক হিসেবে ছোট বড় ১০০টির মতো প্রকল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ঢাকার শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সহ কক্সবাজার বিমান বন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ ও মজবুতী করণ প্রকল্পে একজন পরামর্শক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের গ্রামীন সড়কের মান উন্নয়নের সড়ক নির্মাণ ডিজাইন ম্যানুয়াল আধুনিকীকরন প্রকল্পের পরামর্শক দলের দল নেতা হিসেবে কাজ করা তার পেশা জীবনে একটি অন্যতম উজ্জ্বল অধ্যায়। এই ডিজাইন ম্যানুয়াল অনুমোদিত হওয়ায় গ্রামীন সড়কের নির্মাণ অনেক টেকসই হবে এবং সড়ক রক্ষনাবেক্ষন খরচ অনেক কমে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল সংগ্রহের এডিট, লালন শাহ্ সেতুর পোস্ট ইভ্যালুয়েশন, মুন্সীগঞ্জের এপিআই পার্কের আভ্যন্তরীন সড়ক নেটওয়ার্ক, ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প, ৮ কিলো মিটার দীর্ঘ পঞ্চবটী-মুক্তারপুর সেতু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ভবনের টিআইএ, পটুয়াখালিতে লোহালিয়া সেতু, পায়রাপোর্ট সংযোগ সড়ক, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে ও ক্যানেল, মিরপুর ও গুলশান করিডোর এর যানজট নিরসন, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সাথে গবেষণা, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন বোর্ড এর ঢাকা শহরের দূর্ঘটনা হ্রাস, বিশ্ব ব্যাংকের পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ আরো অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
একজন দেশপ্রেমিক প্রকৌশলী হিসেবে ড. মিজানুর মনে করেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য এ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এর পরিচালনে অধিকতর শৃঙ্খলা আনা আবশ্যক। কেননা এ কারণে প্রতিবছর দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। তবে আশার কথা আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২০২২ সালে যখন পুরোপুরি চালু হবে তখন যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর পজিটিভ ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ যে উন্নত দেশ হবে, সে ক্ষেত্রেও এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, স্বপ্নের এই সেতুকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে বিরাজমান সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি রেল যোগাযোগও অনেক উন্নয়ন আবশ্যক। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হবে। তিনি মনে করেন, সরকারের এই বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। কাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি রেলযাত্রী সেবার মান উন্নয়নেও আরো বেশী নজর দেয়া দরকার। তিনি বিশ্বাস করেন, এ ব্যাপারে যথাযথ পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করলে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাতাল রেলে আধা ঘণ্টার মধ্যেই নিশ্চিত ভাবে পৌছে যাওয়া যাবে, দ্রুত গতির ট্রেনে ঢাকা থেকে দেশের যে কোনো দূর প্রান্তে তিন/চার ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছানো সম্ভব হবে। অনুন্নত দেশের তকমা ঝেড়ে ফেলে বাংলাদেশ এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশের পথে আছে। তার দৃঢ়বিশ্বাস, অদূর ভবিষ্যতে সেটাও পার হয়ে এক সময় বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে। তবে এ জন্য প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থায় শৃংখলা ফিরিয়ে আনা ও সড়ক দূর্ঘটনা কাংখিত মাত্রায় কমিয়ে আনা।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান ২০০০ সালে বিয়ে করেন। স্ত্রীর নাম ফারহানা নুর। তিনি ইডেন কলেজ থেকে ভূগোলে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এই দম্পতি এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক-জননী। বড় মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলে ৯ম শ্রেণীতে ও দুই ছেলে ৭ম এবং ৩য় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। এই শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী ও দেশের অন্যতম একজন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ। তার কাজ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করতে ভালোবাসেন। নিজের পেশায় দায়বদ্ধ থেকে সেটাকে সততার সঙ্গে শেষ করতে চান।