Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বিদ্যুৎ বিল দেখে তারকাদের চোখ কপালে

লকডাউনের শুরুর দিকে তারকারা সঞ্চিত অর্থ থেকে সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু টানা চার মাস কোনো কাজ না থাকায় এখন তাদের অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। অন্য পেশার মানুষরা কাজে কমবেশি নিয়োজিত হলেও, তারকারা এখনো শ্যুটিংয়ে ফিরতে পারছেন না। কারণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্যুটিং করা প্রায় দুঃসাধ্য কাজ। তা ছাড়া সরকারিভাবে শিল্পীদের কোনো প্রণোদনা ব্যবস্থাও নেই। তার মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ বিল। গেল মে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখে অনেক তারকার চোখ কপালে উঠেছে। এত বিদ্যুৎ বিল আসার কোনো কারণ নেই বলেও মনে করছেন অনেকে। কেউ আবার বলছেন, হুট করেই বিদ্যুৎ বিল এ মাসে দ্বিগুণ বা তিন গুণ হয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, শোবিজের অনেক তারকার বাসার মে মাসের বিদ্যুৎ বিলে অসামঞ্জস্য রয়েছে।

জনপ্রিয় তারকা জয়া আহসান দুদিন আগে তার ফেইবসুকে স্ট্যাটাস দিয়েই জানান দেন তার বিদ্যুৎ বিল বিড়ম্বনার কথা। এই তারকার মে মাসের বিল এসেছে ২৮ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ এপ্রিল মাসে একই ধরনের বিদ্যুৎ খরচ করায় বিল এসেছিল ১৬০০০ টাকা। তাই বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব!’

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের বাসার বিদ্যুৎ বিল নিয়েও তিনি উৎকণ্ঠিত। এই তারকা জানান, ‘আমি নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল দিই। গ্যাস বিল, পানির বিল, ফোন-ইন্টারনেট বিল সবই নিয়মিত দিই। এটা কোনো প্রশংসনীয় কাজ নয়, এটা দায়িত্ব। নিয়মিত বিল দিই মানে আমি আমার নাগরিক দায়িত্ব পালন করি। ঠিকমতো আয়কর দেওয়ার কারণে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার আমাকে পুরস্কৃত করেছে। শ্রেষ্ঠ করদাতাদের তালিকায় অনেক সম্মানী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার নামটাও ছিল। এবার বোধ হয় খেলাপিদের তালিকায় আমার নাম উঠতে যাচ্ছে! গত মে মাসের বিদ্যুৎ বিল পেয়ে আমার এমনটাই অনুভূত হলো। তিনজনের ছোট সংসারে আমার জানুয়ারি মাসের বিদ্যুৎ বিল ৪ হাজার ৬০৪ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৫ হাজার ৪৫৭ টাকা আর করোনাকালের শুরুর পর মার্চে ৯ হাজার ৭০ টাকা ও এপ্রিলে ২০ হাজার ৬৯৩ টাকা। আর মে মাসে ২৯ হাজার ৮০১ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে!’

অভিনেত্রী সাবরীন সাকা মিমের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২৭০০০ টাকা। তিনি সেটি সময়মতো পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন। বন্যা মির্জারও একই রকম বিদ্যুৎ বিল এসেছে। জনপ্রিয় অভিনেতা তৌকীর আহমেদ তো বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেও আগ্রহী নন। আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘প্রায় চার মাস ধরে ঘরেই আছি। লকডাউনের শুরুর মাসে অর্থাৎ মার্চে ও পরের মাস এপ্রিলে আমার বিল যা এসেছে মে মাসে দেখলাম তার দ্বিগুণ। বিষয়টি নিয়ে অনেক তারকাই ফেইসবুকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আমিও বিস্মিত হয়েছি।’

জনপ্রিয় তারকা মোশাররফ করিমের স্ত্রী জুই করিম বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ না এলেও দেড় গুণ এসেছে। আগের দুই মাসে ৭-৮ হাজার টাকা এলেও এবার ১০ হাজারের ওপরে বিল দিতে হয়েছে।’

সংগীতাঙ্গনের তারকা সামিনা চৌধুরীও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত। তিনি বলেন, ‘আমার বাসায় এমনিতেই খুব কম বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। করোনায় গরম আবহাওয়ায় থাকলে ভালো, এজন্য এসি একদম চালাই না। ১২০০ টাকাও বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি। গত কয়েক মাস ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা এসেছে। মেনে নিয়েছি। কিন্তু এবার তিন গুণ বিল এসেছে। এভাবে বিদ্যুৎ বিল বাড়তে থাকলে তো বিপদ! শুনলাম অনেক তারকার ক্ষেত্রে এমন অবস্থা। তাহলে কি শোবিজ তারকাদের ধরে ধরে কয়েক গুণ বেশি বিল করা হচ্ছে কি না আমি বুঝতে পারছি না। এটা নিয়ে কথা বলা দরকার। একটা সুরহা হওয়া দরকার।’

আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর বলেন, ‘আমার বাসায় ১৫ হাজারের নিচেই সব সময় বিল আসে। এবার এসেছে ২০ হাজারের বেশি। দ্বিগুণ না হলেও যে পরিমাণ বিল এসেছে তাতে উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’