Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

যারা একমুখী চিন্তা করে তারা হেরে যায় : মুনমুন

চিত্রনায়িকা মুনমুন ‘অ্যাকশন হিরোইন’ নামে জনপ্রিয়তা পান। দীর্ঘ ২২ বছরের অভিনয় জীবেনে ৯০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশে তার সমসাময়িক প্রায় সকল জনপ্রিয় নায়কদের সাথে স্ক্রিন শেয়ার করছেন। আবার ফিরছেন অভিনয়ে। এই মুহূর্তে তিনটি ছবির কাজ করছেন। যদিও করোনার কারণে মুক্তি ও শুটিং পিছিয়েছে। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসামিয়ক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি…

প্রশ্ন : এখন কী নিয়ে ব্যস্ত ?
মুনমুন :
 সময়টা আমার কাছে খুব সহজেই কাটছে। কারণ এর চেয়ে কঠিন সময় আমি পার করে আসছি। আর ব্যস্ততা বলতে পরিবারকে সময় দিচ্ছি, ঘর পরিষ্কার করছি। বাচ্চাদের সময় দিচ্ছি, সিনেমা দেখছি। তবে টেনশন হয়। করোনায় যেন আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের কিছু না হয়।

প্রশ্ন : এই পরিস্থিতে আপনি কী শুটিং করবেন ?
মুনমুন : এই মুহূর্তে আমি কোনো শুটিংই করবো না। আমার মনে হয় দেশের অবস্থা আরও কঠিন হতে পারে। আবার জানি না ভালোও হতে পারে। এটা সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন। খুব সংকটের এই সময় এটা। তাই এ মুহূর্তে শুটিং করা বোকামি। কারণ সিনেমার শুটিং একজন করতে পারে না। অনেক মানুষের সমাগম হবেই। সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করাটা কঠিন হয়ে যাবে। আমরাতো আর মাস্ক পরে শুটিং করতে পারব না মাস্ক খুলাই লাগবে।

প্রশ্ন : অসমাপ্ত সিনেমাগুলোর ভবিষৎ কি ?
মুনমুন : সিনেমা হল এখন বন্ধ। আমার তিনটি ছবির কাজই শেষের পথে। হয়তো দু-এক দিন শুটিং করলে শেষ হয়ে যাবে। আর এই করোনা আজীবন থাকবে কিনা জানি না। তবে হলে বসে ছবি দেখা আর ঘরে বসে অনলাইনে ছবি দেখার সাথে অনেক ফারাক। তবে হ্যাঁ, বিকল্প পদ্ধতি তো মাথায় রাখতেই হবে।

প্রশ্ন : বিকল্প আয়ের পথ নিয়ে ভাবছেন কি?
মুনমুন : অবশ্যই অন্য কোনো আয়ের পথ আমি বেছে নেবো। যারা একমুখী চিন্তা করে তারা হেরে যায়। আর যারা নানামুখী কাজ করে নিজেকে গড়ে তোলে তারাই জীবনে হতাশাগ্রস্ত হয় না। আমিও সিনেমা ছেড়ে অনেকদিন বেকার ছিলাম। তারপরও কিন্তু আবার ফিরেছি। ফিল্ম ছাড়াও সংস্কৃতির আরও শাখা-প্রশাখা আছে সেইগুলো কিন্তু আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। আমিও প্রচুর স্টেজ শো করেছি।