Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

জরিমানার বিষয়টি হাস্যকর

গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জ াকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা গুনতে হয়েছে। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তর্ক-বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি

হতবাক…
দর্শকের জন্যই আমরা অনেক কষ্ট করে কাজ করি। কিন্তু
তারাই যখন একটা ছোট্ট বিষয়কে নিয়ে তুমুল কা-
ঘটিয়ে ফেলেন, তখন খুব খারাপ লাগে। বিভিনড়ব
সংবাদমাধ্যমেও ভুল খবর দেখে আমি হতবাক!
বিষয়টি সম্পর্কে কেউ আমার কাছে জানতেও
চায়নি। নিজেদের মতো করে খবর প্রকাশ করেছে।
আর তা পড়ে মানুষ আমাকে নিয়ে নানা কথা
বলছে।

কেন জরিমানা হয়েছিল?
আমি দেশ টিভিতে ‘প্রিয়তমার প্রিয়মুখ’
নামে একটি নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান
উপস্থাপনা করি। দর্শকপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান
তো আর হুট করে বন্ধ করা যায় না। তাই
গত বুধবার দেশ টিভিতে গিয়েছিলাম
অনুষ্ঠানটি নিয়ে কথা বলতে। তখন
সিদ্ধান্ত হয়, দুটি নতুন এপিসোড
শ্যুটিং হবে, তা প্রচার হতে হতে
দেশের করোনা পরিস্থিতি ভালো
হলে অনুষ্ঠানটি নিয়মিত চলবে।
আর পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে
আগামী মাস থেকে আপাতত অনুষ্ঠানটি
বন্ধ থাকবে। সব কাজ শেষ হওয়ার কথা
ছিল ৪টার মধ্যে। কিন্তু টেকনিক্যাল কারণে
কাজ শেষ করতে পৌনে ৬টা বেজে যায়।
আমি বাসায় ফেরার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত
আমার গাড়ি দাঁড় করায়। কারণ, এখন
সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘরের
বাইরে বেরোনো নিষেধ। আমার কাছে
কারণ জানতে চাওয়া হয়। সব শুনে তারা
আমার ওপরেই ছেড়ে দেন বিষয়টি। শুধু
তা-ই নয়, আমাকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন
করেন তারা। আমি তাদের কার্যμম দেখে খুব
খুশি হই। বলতে পারেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি
শ্রদ্ধাবোধ আরও বেড়ে যায়। তাই নিজেই বলি, আমার এই
ভুলের জন্য আইনে যে শাস্তির বিধান আছে তা মাথা পেতে
নেব। পরে তারা আমাকে সর্বনিমড়ব জরিমানা ৫০০ টাকা
দিতে বলেন। আমি তা দিয়ে বাসায় চলে আসি।

মাস্কের জরিমানার বিষয়টি…
অনেকে নিউজ করেছে যে আমি নাকি মাস্ক না পরে
বাইরে ঘোরাঘুরির জন্য জরিমানা দিয়েছি। এটা খুব
হাস্যকর না? মাস্ক পরলাম কি না তা দেখার জন্য তো
পুলিশ, আর্মি, র‌্যাব মাঠে রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের
কাজ কি মাস্ক পরেছি কি না, তা দেখা? মানুষ কিছু না
বুঝেই কমেন্ট করতে থাকে। এটা খুব দুঃখজনক। তা
ছাড়া আমি তো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ছিলাম না। আমার
ব্যক্তিগত গাড়িতে দুজন মানুষ ছিলাম। ড্রাইভার মাস্ক
পরিহিত ছিলেন, আমার ব্যাগেও মাস্ক ছিল। কিন্তু
গাড়ির মধ্যে মাস্ক পরে থাকার তো কোনো যৌক্তিকতা
নেই। গাড়ি থেকে নামলে অবশ্যই আমি মাস্ক পরি।
গোপনে সহযোগিতা ও হোম কোয়ারেন্টাইন…
যারা সাহায্য করে ছবি তুলে ফেইসবুকে দিচ্ছেন,
তাদের আমি খারাপ বলি না। যারা সাহায্য করার
কাউকে দেখেও করতে পারে, না দেখেও করতে
পারে। আর যারা করবে না তারা কিছুতেই
এক টাকাও খরচ করবে না। আমি গোপনে
সাহায্য করতে পছন্দ করি। গত এক মাস
গুলশানের কুকুরগুলোকে খাবার দিচ্ছি।
চলচ্চিত্রের অসচ্ছল কিছু শিল্পী ও গ্রামের
বাড়ির কয়েকজনকে সাহায্য করেছি। প্রায়
এক মাস ঘরে বন্দি।