Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

তরুণদের জন্য ফারুকী ও তিশার কিছু পরামর্শ!

বাড়িতে থাকা সহজ কাজ না। এই কথাটা দুই মাস আগেও যদি কেউ আমাদেরকে বলতো আমরা হয়তো হেসে উড়িয়ে দিতাম। কিন্তু এখন যখন দিনের পর দিন আমাদেরকে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে, এখন আমরা বুঝতে পারছি। বাড়িতে থাকা আসলেই সহজ কাজ না। কিন্তু বাড়িতে থাকা মরে যাওয়ার চেয়েও তো সহজ। চীন, ইতালী, স্পেন, আমেরিকার দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারব করোনার আক্রমন কতোটা ভয়ংকর। আমরা আজকে ১৫ দিন হল ঘরে। কিছুক্ষণ পর পর হাত ধুচ্ছি, চোখে-মুখে হাত দিচ্ছি না। দু’জন দিলে ঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছি। শুরুর দিকে ঘরে থাকা কষ্টের না হলেও একট সময়ে এসে চাপ লাগতে শুরু করলো। ফারুকী সময়টাকে ভাগ করে নিল ৩ ভাগে। ওর নতুন ছবির এডিটিং, ঘরের কাজ, আর বিশ্রাম। শেষের দুইটা আমিও করলাম আনন্দের সাথে।
কিন্তু আমার ক্রিয়েটিভ আনন্দ পাবার উপায় কী? আমার তো শুটিং করতে বাইরে যাবার কোনো উপায় নেই। একটা কথা আছে না। কঠিন সময় মানুষের ভিতর থেকে তার সেরা দিকটা বের করে আনে। হয়তো বাজে দিকটা আনে। সিদ্ধান্ত নিলাম হতাশ বা দায়িত্ব জ্ঞান-হীন না হয়ে আমি আমার ভেতরের সেরা আমিটাকে খুঁজে বের করবো। আমি তাকলাম আমার পুরনো কাপড়-চোপড় আর পরিত্যক্ত জিনিসপত্রের দিকে। তারপর কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই বসে গেলাম কিছু একটা করতে। খেলতে খেলতে এক সময় তৈরি করে ফেললাম টিস্যুবক্স, নানান রকম শো-পিচ। পরিত্যক্ত টিশার্ট ও কার্পেট দিয়ে বানালাম কুশন কভার।
দুই দিন আগেও আমি জানতাম না যে, আমি এই কাজ গুলো করতে পারি। কিন্তু পারলাম তো! আপনারাও চাইলে নিজেদেরকে নতুন ভাবে আবিস্কার করতে পারেন। নতুন কিছু শিখতে পারেন। অনেক আগে বই কিনে রেখেছেন সেগুলো পড়তে পারেন। এইভাবে সময়টাকে উপভোগ্য করে তুলুন। এই দুর্যোগের দিনে তরুণদের দায়িত্ব হচ্ছে ঘরে থাকা এবং অন্যকে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করা।
করোনার সাথে আমাদের এই লড়াই হয়তো দীর্ঘ সময়ের জন্য হতে যাচ্ছে। কাজেই ধৈর্য্য ধরে আমাদেরকে সময়টা পার করতে হবে। পরিবারের সবাই মিলে কাজ ভাগাভাগি করে নিন। বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। আর প্রার্থনা করতে হবে যেন এই ঝড়টা আমরা খুব তাড়াতাড়ি পার হয়ে যেতে পারি। নিশ্চয়ই পারব। কী পারব না?
কৃতজ্ঞতা : ইউনিসেফ