Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতে আপত্তি নেই

রিয়াজ। অভিনেতা। প্রায় আড়াই দশক ধরে সুঅভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে যাচ্ছেন তিনি। চলচ্চিত্র, ছোটপর্দা সব মাধ্যমেই তার উপস্থিতি। এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
আনন্দ আলো: অভিনয় ক্যারিয়ারের দুই যুগ পার করেছেন। এ দীর্ঘ পথচলা কেমন ছিল বলে মনে করেন?
রিয়াজ: কতশত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বছরগুলো কেটেছে, তা অল্প কথায় বলে বোঝানো যাবে না। মনে হয় এই তো সেদিনের কথা। ‘বাংলার নায়ক’ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। মনে ভয় থাকলেও অনেক কাছের মানুষের উৎসাহে বেশ সাহসের সঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। এখনও সেই সময়ের স্মৃতি চোখে জ্বল জ্বল করছে। সাফল্যের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে দিনের পর দিন। দর্শকের ভালোবাসর ডানায় ভর করে পথ চলছি। বিশ্বাস ভাঙিনি কখনও। এখন কিছু মানুষ আমাকে চেনেন। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছি। তবে অভিনয় করে এতকিছু পাব, কখনও ভাবিনি।
আনন্দ আলো: জনপ্রিয়তা থাকার পরও ছবিতে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?
রিয়াজ: সর্বশেষ ‘কৃষ্ণপক্ষ’র পর আর নতুন ছবিতে অভিনয় করা হয়নি। বলা যেতে পারে, চলচ্চিত্রে আমার বিরতি চলছে। একসময় অভিমান করে চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলাম। অশ্নীলতা, পাইরেসি, নকল- এসব চলচ্চিত্রের মৌলিকত্ব নষ্ট করে দিয়েছিল। ভালো পরিচালকরা বেকার হয়ে পড়ছিলেন। বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছিল। তাই সরে না গিয়ে উপায় ছিল না। মাঝে অভিমান ভেঙে পুরোদমে কাজ শুরু করেছিলাম। ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
আনন্দ আলো: দিন দিন ছবি মুক্তির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে…
রিয়াজ: শুধু ছবি মুক্তি কমছে তা নয়, ভালো ছবির সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। অনেকদিন হলো ব্যবসাসফল ছবি নেই। আমরা নিজেরাই চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করেছি। একের পর এক তামিল ছবির নকল করতে গিয়ে নিজেদের মৌলিক গল্প ভুলে গেছি। ফলে দর্শক হলবিমুখ হচ্ছে। ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রযোজকরা। তাই তারা দূরে সরে যাচ্ছেন।
আনন্দ আলো: নাটকেও আপনাকে দেখা যাচ্ছে না…
রিয়াজ: আসলে ভালো গল্প আর স্ক্রিপ্ট পেলে আমি অবশ্যই কাজ করবো। টেলিভিশন নাটক আমি কখনোই নিয়মিত করিনি। বিশেষ দিবসের নাটকেই আমাকে বেশি দেখা গেছে। আর এখন কাজের জায়গাটা অনেক বেড়েছে বলতে হবে। ওয়েব সিরিজ আর ইউটিউব ভিত্তিক কাজ বেশি হচ্ছে। এতে অনেক কাজের বাজেটও বেড়েছে। তাই ভালো কাজ হচ্ছে।