Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

লাল সবুজের চ্যানেল আই গর্বের একুশ বছরে

আদিত্য শাহীন
গণ আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে গেছে গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে চলেছে। মানুষের এই চিন্তা ও প্রত্যাশার সম্প্রসারণটিই ঘটেছে আদর্শ গণমাধ্যমের কাছ থেকে। মানুষ যখন দেখে টেলিভিশন তার জীবনকে সহজ করে দিচ্ছে, টেলিভিশন তাকে আত্মবিশ্বাসী করছে, টেলিভিশন তাকে স্বপ্নবান করছে তখনই মানুষ টেলিভিশনের প্রতি ঝুঁকতে থাকে। গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের এই আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টির পেছনেই নিবিড় কর্মসাধনা রয়েছে চ্যানেল আই এর। এ বছর গর্বের একুশ বছরে পা রাখছে চ্যানেল আই।
বিশ্বময় বাংলা ভাষাভাষীর স্বপ্ন আকাক্সক্ষা আর জীবনধারার প্রিয় সঙ্গী চ্যানেল আই পথচলার বিশ বছর পার করে এবার পা রাখছে একুশ বছরে। শতভাগ পেশাদারিত্ব, নতুনত্ব, সৃজনশীলতা ও তারুণ্যের জয়গান গেয়ে চ্যানেল আই এর অভিযাত্রা এগিয়ে চলেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিকাশ, খাদ্য নিরাপত্তায় শতভাগ স্বনির্ভরতা অর্জন তথা বাংলাদেশের গঠনমূলক পরিবর্তনের সরব এবং বিশ্বস্থ সঙ্গী চ্যানেল আই। মানুষ যা দেখতে চায়, যা শুনতে চায়, যা উপলব্ধি করতে চায় তা নিয়েই চ্যানেল আই-এর পথচলা। এর সঙ্গে জীবনকে এগিয়ে নেয়া, রুদ্ধ দুয়ারকে খুলে দেয়া, সত্যকে শাণিত করার পথেও থাকতে হয়েছে অবিচল। টেলিভিশন কিংবা গণমাধ্যম নিয়ে মানুষের তৃষ্ণা ও প্রত্যাশাগুলো পূরণ করে এগিয়ে চলেছে চ্যানেল আই। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ও আকাশ সংস্কৃতির নতুন নতুন অগ্রযাত্রার ভেতর চ্যানেল আই-এর পথচলা নতুন নতুন উদ্ভাবনের ভেতর দিয়ে। প্রথম দিন যে নতুনত্বের মালা গেঁথেছিল, আজও তা গেঁথে চলেছে চ্যানেল আই।
এদেশে টেলিভিশনের ইতিহাস যখন পয়ত্রিশ বছরের, তখন ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর পথচলা শুরু হয় চ্যানেল আই-এর। সেদিন বুকভরা স্বপ্ন আর দেশ ও জনগণের কল্যাণে শতভাগ দায়বদ্ধতার এক নতুন প্রত্যয় ছিল চ্যানেল আই-এর পরিচালনা পর্ষদের। একটি আধুনিক টেলিভিশন, যা মানুষের তথ্যের তৃষ্ণা মেটাবে, মানুষের মূল্যবোধ জাগ্রত করবে, তার বন্ধ চোখ খুলে দেবে, তার জীবনের প্রয়োজনের সঙ্গে মিশে যাবেÑ এই ছিল স্বপ্ন। তা পূরণ করা গেছে দিনে দিনে। পথচলার শুরু থেকে চ্যানেল আই দেশের শিল্প সংস্কৃতির সব গুণী মানুষদেরকে যুক্ত করেছে তার পথচলার বিশাল কাফেলায়। দিনে দিনে দেশের গÐি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে বিশাল বিশাল ইভেন্ট নিয়ে। পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের বাংলা ভাষাভাষীরা সব দিনে দিনে যুক্ত হয়েছেন চ্যানেল আই-এর লাল সবুজ রঙে। যুক্ত হয়েছেন হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনায়।
আজ দেশের সঙ্গীত প্রতিভার কথা উঠলেই আসে চ্যানেল আই সঙ্গীত পুরস্কারের কথা, আসে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের কথা, শিশু-শিল্পীর গান মানেই চ্যানেল আই-এর ক্ষুদে গানরাজ অনুষ্ঠান, অভিনয় প্রতিভা আর নতুন মুখ অনুসন্ধান মানেই লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারসহ চ্যানেল আই-এর বিভিন্ন ইভেন্ট, আবৃত্তি শিল্পী গড়তে আবৃত্তি ছন্দে আনন্দে, নাচের শিল্পী গড়তে চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে অনুষ্ঠানগুলো স্বনামেই খ্যাত হয়ে উঠেছে। প্রতি বছরই চ্যানেল আই এর কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোগ। সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বের করে আনা হচ্ছে গুণী মুখ। সত্যিকারেই এক কারিগরের ভূমিকায় থেকে দেশের সাংস্কৃতিক অংগনে নতুনের জয়গান ধরে রাখছে চ্যানেল আই।
চ্যানেল আই বরাবরই তার পথচলার ভেতর দিয়েই শিক্ষা গ্রহণ করে। তাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে টেলিভিশন মানে শুধু বিনোদন নয়। টেলিভিশন মানে জনকল্যাণ, টেলিভিশন মানে মানব সেবা, টেলিভিশন মানে জাতির উন্নয়ন ও ক্রমবিকাশের অনন্য বাহন। চ্যানেল আই এদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহুসংখ্যক গুণী শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে। একইসঙ্গে তাদেরকে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতাও অব্যাহত রেখেছে।
একটি টেলিভিশন হতে পারে সমাজের অনেক ভালো ও শুভ ঘটনার নেপথ্য শক্তি। টেলিভিশন মানুষকে আরো সক্রিয় করতে পারে দেশপ্রেম তৈরি করতে। এই বিশ্বাস থেকে প্রতি বছরের মতো গত বছরটিতেও চ্যানেল আই নিয়মিত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করেছে নতুন নতুন কিছু কর্মসূচি ও ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। যেগুলো এক ধরনের সামাজিক আন্দোলনও বটে।

চ্যানেল আই অনলাইন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চ্যানেল আই এর ক্রমবিকাশ
এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। এদিকেও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে চ্যানেল আই এর কর্মপরিধি। ইতোমধ্যে বিশ^ব্যাপী বাঙালি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে চ্যানেল আই-এর ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফাইড একটি চ্যানেল এবং সেখানে প্রতিদিন কোটি দর্শক সুযোগ পাচ্ছেন চ্যানেল আইয়ের সব অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকার। চ্যানেল আছে আই এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের সমর্থক সংখ্যাও ইতোমধ্যে ৩৬ লাখ ছাড়িয়েছে। সবসময় বিপুল সংখ্যক দর্শক ও অনুসারি চ্যানেল আই এর সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে থাকতে পারছেন।
২০১৫ সাল থেকে যাত্রা করেছে ‘চ্যানেল আই অনলাইন’ নামে এর পৃথক একটি নিউজ পোর্টাল। অনলাইন সংবাদের একটি সমৃদ্ধ প্লাটফরম হিসেবে পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এই পোর্টাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যুক্ত থেকে এই মাধ্যমটি প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছে। ত্বরিৎ সংবাদ প্রবাহে এই পোর্টাল রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
ইস্পাহানি বাংলাবিদ
চ্যানেল আই এর নতুনত্বের অভিযাত্রায় সর্বশেষ সংযুক্তি ‘ইস্পাহানি বাংলাবিদ’। বাংলা ভাষা নিয়ে বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো মনোজ্ঞ ও অপরিহার্য একটি আয়োজন। শিশু কিশোরদের বাংলা ভাষা বিষয়ক জ্ঞান ও জানাশোনা নিয়ে এই আয়োজন হলেও এর মধ্য দিয়ে বিশ^ময় ছড়িয়ে থাকা বাংলাভাষীদের মধ্যে নতুন এক জাগরণ তৈরি হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইস্পাহানি বাংলাবিদের মহোৎসব। চ্যানেল আই-এর ইতিবাচক কর্মপ্রয়াসের অন্যতম অংশ হিসেবে এই আয়োজনও প্রতিবছরই নতুন নতুন বিষয়বৈচিত্র নিয়ে আসবে।
জিপিএস ‘এসো রোবট বানাই’
রোবট তৈরিতে দেশের মেধাবী তরুণদের উৎসাহ দিতে চ্যানেল আই এর রিয়েলিটি শো ‘জিপিএইচ ইস্পাত-এসো রোবট বানাই’ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এ অনুষ্ঠানের প্রথম সিজেন।
গানে গানে সকাল শুরু : সঙ্গীতের শুদ্ধধারা ও উৎকর্ষতা
দিনের শুরু মানেই চ্যানেল আই-এর গানের আয়োজন। ‘গানে গানে সকাল শুরু’ নামের সরাসরি অনুষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা প্রতিদিন সকালে অংশ নেন সরাসরি স¤প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে। ২০১২ সালের ২৯ মে যাত্রা শুরু করে এই অনুষ্ঠানটি। পাঁচজন যন্ত্রশিল্পীর সঙ্গে এক অথবা একাধিক শিল্পীর গানের এই অনুষ্ঠানটি ইতোমধ্যে দেশের সকল দর্শকশ্রোতার কাছে টেলিভিশনে অন্যতম প্রিয় একটি গানের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে এ অনুষ্ঠানে অসংখ্য খ্যাতনামা ও নবীন শিল্পী অংশ নিয়েছেন।
দেশীয় সংগীতের বিকাশ এবং শিল্পী ও কলাকুশলীদের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে চালু রয়েছে চ্যানেল আই-এর বেশ কিছু গানের অনুষ্ঠান। এছাড়া চলচ্চিত্রের গান নিয়ে ‘এবং সিনেমার গান’।

চ্যানেল আই সংবাদের আঠারো বছর
এবার আঠারো বছরে পদার্পণ করছে চ্যানেল আই সংবাদ। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর চ্যানেল আই’র তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের শুভমুহূর্তে যাত্রা শুরু করে চ্যানেল আই সংবাদ। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বহু ঘটনা, সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন প্রতিকূল ও সংকটময় পরিস্থিতি এসেছে। সবক্ষেত্রেই সঠিক ও তাৎক্ষণিক তথ্যের জন্য দর্শকদের সবচেয়ে কাছাকাছি থেকেছে চ্যানেল আই। সবচেয়ে দ্রæত পূরণ করেছে দর্শকদের প্রতিমুহূর্তের তথ্যের ক্ষুধা। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন লাইভ স¤প্রচার এবং এ সংক্রান্ত পেশাদারিত্ব ও কারিগরী উৎকর্ষে চ্যানেল আই সংবাদ বস্তুনিষ্ঠতায় এক স্বতন্ত্র অবস্থান গড়েছে। সংবাদ পরিবেশনে চ্যানেল আই বরাবরই থেকেছে গণমুখি অবস্থানে। প্রতিদিন চ্যানেল আই সংবাদে ১০টি পূর্ণাঙ্গ সরাসরি বুলেটিন ছাড়াও প্রতি ঘন্টায় শীর্ষ সংবাদ প্রচারিত হয়। পথচলার শুরু থেকেই চ্যানেল আই কৃষি ও গ্রামীণ জনপদকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আসছে। সংবাদ চালুর দেড় বছরের মধ্যে চ্যানেল আই বাংলাদেশে প্রথম ‘জনপদের খবর’ চালু করে। গণমাধ্যমগুলোতে অনুসৃত হতে থাকে কৃষি ও গ্রামীণ জনপদকে গুরুত্ব দেয়ার এই রেওয়াজ। এর ধারাবাহিকতায় চ্যানেল আই ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে প্রতিদিনের জাতীয় সংবাদের সঙ্গে যুক্ত করে কৃষি সংবাদ। যা পরবর্তীতে সব টেলিভিশনেই চালু হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বিশেষায়িত পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংবাদ প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করে চ্যানেল আই। ২০১০ সালের প্রথম দিন থেকে শুরু হয় এ সংবাদ।
চ্যানেল আই-ই দেশে প্রথম প্রতিদিনের সংবাদপত্রের খবর নিয়ে ‘সংবাদপত্রে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে। প্রতিদিনের প্রথম প্রহরে অর্থাৎ রাত বারোটায় মতিউর রহমান চৌধুরীর উপস্থাপনায় শুরু হয় গ্রামীণ ফোন আজকের সংবাদপত্র। এটি এখন বাংলা ভাষাভাষী দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য একটি অনুষ্ঠান।
টু দ্য পয়েন্ট
এ বছর থেকে শুরু হয়েছে সংবাদভিত্তিক নতুন অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’। সমকালীন আলোচিত সংবাদভিত্তিক আলোচনার এ অনুষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই দর্শকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে।
চলচ্চিত্রের বিশাল দুনিয়া
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড-এর প্রযোজনায় মুক্তিপ্রাপ্ত মোট চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১৭০ এরও অধিক। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরো বেশকিছু চলচ্চিত্র। সুস্থধারার ও বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ ও দর্শকপ্রিয়তায় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এখন শুধু বাংলাদেশের দর্শকদেরই মন জয় করেনি, বিশ্ব চলচ্চিত্রেও অর্জন করেছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছরই এ ইমপ্রেসের সিনেমা অস্কার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত ইমপ্রেস-এর চলচ্চিত্র ৪৮টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ১৪০টি। যা বেসরকারি কোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার।
ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. নির্মিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয়েছে। লন্ডন, ফ্রান্স ও জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসব। এছাড়া অ্যামিরাটস্ ও ওমান এয়ারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান বহরে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। সিঙ্গাপুর ও ফ্রান্সসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. এর চলচ্চিত্র। ব্রিটেনের চ্যানেল ফোরসহ বিভিন্ন টেলিভিশন এবং জাপানের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চলচ্চিত্র সম্প্রচার করছে এবং তাদের চলচ্চিত্র আর্কাইভে সংরক্ষণ করেছে। দেশবিদেশে সাড়া জাগানোর পাশাপাশি দিনের পর দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড এর চলচ্চিত্র আর্কাইভ।
পরিবেশ \ প্রকৃতি ও জীবন
চ্যানেল আই এর ব্যাপক সমাদৃত কয়েকটি অনুষ্ঠানের একটি হচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন। মুকিত মজুমদার বাবু উপস্থাপিত ও পরিচালিত বাংলাদেশের জীববৈচিত্র নিয়ে প্রথম ধারাবাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রকৃতি ও জীবন। বাংলাদেশকে বলা হয় প্রকৃতি ও জীববৈচিত্রের এক সম্ভার। এখানে যেমন রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা, একইভাবে প্রাকৃতিক ও মানুষসৃষ্ট নানা কারণেই জীববৈচিত্রের অনেক কিছুই আজ বিপর্যস্ত। যা অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র এবং সংলাপের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে এ অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্রের নিয়মিত অনুষ্ঠান হিসেবে এটি প্রথম উদ্যোগ। নয় বছর ধরে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন প্রকৃতি সুরক্ষায় দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিবেশ বিষয়ক টেলিভিশন অনুষ্ঠান হিসেবে প্রকৃতি ও জীবন পেয়েছে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার জাতীয় পরিবেশ পদকসহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এই কার্যক্রমের পক্ষ থেকে পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ দ্বিজেন শর্মা, ড. আলী রেজা খান, পাখিপ্রেমী ইনাম আল হক, ড. নূরজাহান সরকার, ড. আইনুন নিশাত ও ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদকে আজীবন সম্মাননায় ভ‚ষিত করা হয়।
রাজনীতি ও গণতন্ত্র বিকাশে তৃতীয় মাত্রা
চ্যানেল আই-ই দেশে প্রথম গণমাধ্যমে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা চর্চার উদ্যোগ হিসেবে শুরু করে টক শো তৃতীয় মাত্রা। এটিই দেশের প্রথম অনুষ্ঠান যা পরস্পরবিরোধী দুটি রাজনৈতিক দলের নেতার মুখোমুখি সংলাপের আয়োজন। যা খ্যাতি পায় মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে। জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি পার করেছে পথচলার এগারো বছর। এ অনুষ্ঠানগুলো শুধু গণমানুষেরই চোখ খুলে দেয়নি, দেশের সকল গণমাধ্যমেও অনুসৃত হয়েছে এই তৎপরতা।
ছোটকাকু ও ছোটকাকু ক্লাব
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের রচনা ও আফজাল হোসেন এর পরিচালনায় শিশু-কিশোরদের বিনোদনধর্মী সাহিত্য ও টেলিভিশন কার্যক্রম ‘ছোটকাকু’ সাড়া জাগিয়েছে দেশব্যাপী। ছোটকাকু একটি রহস্য নাটকের চরিত্র। বিশেষ করে দেশের শিশু-কিশোরদের মাঝে অল্পদিনেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে এই ছোটকাকু। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ছোটকাকু ফ্যান ক্লাব। ওই ফ্যান ক্লাবের সঙ্গে শিশু কিশোরসহ সকল বয়সী ব্যক্তিদেরকে যুক্ত করা হচ্ছে। যারা সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম অসঙ্গতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখবে। এই ছোটকাকু ক্লাবের মধ্য দিয়েই চ্যানেল আই স্বপ্ন দেখছে শান্ত-সুশৃংখল এক সুন্দর সমাজ। প্রতি ঈদের সাতদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন জুড়েই থাকে ধারাবাহিক ছোটকাকু সিরিজ। শিশু-কিশোরদের রহস্য গল্পের যুগ নতুন করে ফিরিয়ে আনতে শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের অনবদ্য এই আয়োজন সাড়া জাগিয়েছে সারাদেশে। এখন এটি ঈদের কিশোর কিশোরীদের অন্য অনন্য এক টেলিভিশন ধারাবাহিক।
কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন : হৃদয়ে মাটি ও মানুষ
শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, ও পরিচালনায় নিয়মিত অনুষ্ঠান হৃদয়ে মাটি ও মানুষ দেশের কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখছে নানামুখি ভূমিকা। পথচলার তের বছর অতিক্রম করেছে এ অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশে সাফল্য ও প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন বহুসংখ্যক সফল কৃষক ও খামারি। কৃষক তথা গ্রামীণ জনগোষ্ঠি ও সরকারের মধ্যে গড়ে উঠেছে একটি সেতুবন্ধন। প্রতি বছরের জাতীয় বাজেটের আগে তৃণমূল কৃষকদের সঙ্গে প্রাকবাজেট আলোচনা ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ এ অনুষ্ঠানে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। ওই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতি বছর চ্যানেল আই- এর মাধ্যমে কৃষকচাহিদার আলোকে প্রস্তুত করা সুপারিশমালা প্রদান করা হয় সরকারের কাছে। প্রতি বছর জাতীয় বাজেটে এই সুপারিশমালার অনেকাংশ বাস্তবায়িত হচ্ছে। চ্যানেল আই-এর তুমুল দর্শকপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে শাইখ সিরাজের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় প্রতি বছরের ঈদ আয়োজন ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেশের কৃতি ও সফল কৃষকদেরকে চ্যানেল আই কৃষি পুরস্কাকে ভূষিত করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশের ৮ জন সফল কৃষক পেয়েছেন চ্যানেল আই কৃষি পদক। এছাড়া ২০১০ সাল থেকে চলছে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে নাগরিক শিক্ষার্থীদের কৃষি উৎপাদন থেকে বাণিজ্য পর্যন্ত ব্যবহারিক শিক্ষার কার্যক্রম ‘ফিরে চল মাটির টানে’। যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

কেকা ফেরদৌসীর রান্না

কেকা ফেরদৌসীর রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান
এদেশে টেলিভিশনে প্রতিদিন রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান চালু করে চ্যানেল আই। রন্ধন বিশেষজ্ঞ কেকা ফেরদৌসীর পরিকল্পনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনায় রান্নাবিষয়ক নিয়মিত অনুষ্ঠানের বাইরেও ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন ইভেন্ট। দেশী বিদেশী বৈচিত্র্যময় খাদ্য-সামগ্রী ও পাক প্রণালী নিয়ে কেকা ফেরদৌসীর নিয়মিত রান্নাবান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দেশ বিদেশের রান্না’। প্রতিবছর ইফতারি আয়োজন নিয়ে কেকা ফেরদৌসী’র মনোহর ইফতারি অনুষ্ঠান ব্যাপক সাড়া জাগায়। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নতুন নতুন খাদ্য ও রেসিপির সঙ্গে পরিচিত হতে পারছেন দর্শক।
ভাগ্যলক্ষী এসএমই বাংলাদেশ
দেশের বেকার তরুণদের কর্মমুখি করতে এবং নতুন উদ্যোক্তাদের উজ্জীবিত করতে চ্যানেল আইয়ের অনন্য আয়োজন ভাগ্যলক্ষ্যী এসএমই বাংলাদেশ অনুষ্ঠান। অপু মাহফুজের উপস্থাপনা পরিচালনা ও গ্রন্থনায় নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই পথচলার চার বছর পার করেছে। এরই মধ্যে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই দেশের বিপুল সংখ্যক উদ্যোক্তার বিপনন প্লাটফরম সুলতান বিডিওয়ার্ল্ড ডট কম এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রাম ইন বিজনেস
বহির্বিশ্বের ব্যবসা বাণিজ্যের ধরণ ও ধারণা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মাঝে সহজভাবে তুলে ধরে ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চ্যানেল আই শুরু করে ব্যবসায় প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রাম ইন বিজনেস। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানটি সাফল্যের সঙ্গে চতুর্থ বছরের কার্যক্রম শেষে বেশকিছু ফিউচার লিডার পৃথিবীর স্বনামখ্যাত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বৃত্তি পেয়েছেন।
অমর একুশে বইমেলা সরাসরি
বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সবচেয়ে গুরুত্বর্পূ প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার সঙ্গে চ্যানেল আই-এর গভীর যোগসূত্র গড়ে উঠেছে। গত একযুগ ধরে চ্যানেল আই মাসব্যাপী বইমেলা সরাসরি সম্প্রচার করছে। শুধু তা-ই নয়, এই বইমেলাকে প্রাণবন্তও অর্থবহ করে তুলতে প্রতিদিন প্রতিটি সংবাদ বুলেটিনে বইমেলাভিত্তিক একাধিক রিপোর্ট, বই ও মেলা নিয়ে বিভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এছাড়া চ্যানেল আই এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিনোদন পাক্ষিক আনন্দ আলো মাসব্যাপী বইমেলাকে ঘিরে প্রতিদিন বইমেলা নামে একটি নিয়মিত বুলেটিন প্রকাশ করে থাকে। এছাড়া বইমেলায় প্রকাশিত বই নিয়ে সিটি গ্রæপ ও আনন্দ আলো যৌথভাবে প্রদান করে সাহিত্য পুরস্কার।
বাঙালি ঐতিহ্য ও মেলা
পরিবর্তিত সময়ে আবহমান বাংলার অনেক ঐতিহ্যই যখন হারাতে বসেছে তখন চ্যানেল আই নিজস্ব প্রাঙ্গণে বাঙালি জীবনের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে মেলার আয়োজন করে আসছে। বৈশাখী মেলা, রবীন্দ্র মেলা, নজরুল মেলা, পৌষ মেলা, বিজয় মেলা, বাংলা বর্ষবরণ এগুলোর অন্যতম। আমীরুল ইসলাম ও শহিদুল আলম সাচ্চুর পরিচালনা ও তত্ত¡াবধানে দিনে দিনে ব্যাপকসাড়া জাগাচ্ছে এসব মেলা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা। প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র রক্ষার তাগিদ থেকেই প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। এছাড়া প্রতিবছর দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশে আবদুর রহমানের পরিচালনায় দিনব্যাপী চলচ্চিত্র মেলা এবং সারাদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের বর্ণাঢ্য জীবন ও সংস্কৃতিকে বিশ্বময় তুলে ধরার জন্য আয়োজন করা হয় ‘আদিবাসী মেলা’। বর্ষা উৎসব, শরৎ উৎসব, শীত উৎসব, বসন্ত উৎসব এর আয়োজন সরাসরি স¤প্রচারের সুবাদে সারাবিশ্বের বাঙালি দর্শক এতে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পান। চ্যানেল আই ও সুরের ধারার যৌথ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার কণ্ঠশিল্পীর গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন বর্ষবরণ। বাংলা বর্ষের সূচনায় এ এক বিশাল আয়োজন।

তারকার সঙ্গে দর্শকদের সরাসরি আলাপন : তারকাকথন
চ্যানেল আই এর প্রতিদিনের সরাসরি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘তারকাকথন’। বিভিন্ন মাধ্যমের খ্যাতিমান তারকাদের সঙ্গে সরাসরি ফোন আলাপে অংশ নিতে পারেন এই অনুষ্ঠানে। দেশের খ্যাতিমান তারকাদের জন্মদিনে বিশেষ শুভেচ্ছা জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে এনে। উল্লেখ্য, যে দেশের খ্যাতিমান শিল্পী ও গুণী ব্যক্তিত্বদের জন্মদিনে বিশেষ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও সংবাদে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তা প্রচার করার ক্ষেত্রে চ্যানেল আই-তে পথচলার শুরু থেকেই একটি রেওয়াজ চালু রয়েছে।
ফেয়ার এন্ড লাভলী আলটিমেট ম্যান চ্যানেল আই হিরো
দেশের প্রথম সুন্দর পুরুষ অনুসন্ধানমূলক রিয়েলিটি শো এর আয়োজন করে। কয়েক বছর ধরে এ অনুষ্ঠান চলছে। এর মধ্য দিয়ে বেরিয়েছে দেশের অনেক পুরুষ অভিনয়শিল্পী। এ বছর এ অনুষ্ঠানটির নাম ফেয়ার এন্ড লাভলী ম্যান চ্যানেল আই হিরো। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সারাদেশ থেকে খুঁজে বের করে আনা হয় সত্যিকারের হ্যান্ডসামদের। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার দফায় নতুন নায়ক বের হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা অংশ নিচ্ছেন টেলিভিশনের বিভিন্ন ইভেন্ট ও নাটকে। শুরু হয়েছে ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম আলটিমেট ম্যানের নতুন সিজন।
চ্যানেল আই-এর দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠান
চ্যানেল আই-এর অনুষ্ঠান ভান্ডার সবসময়ের জন্যই পূর্ণ। গত বিশ অবিরাম পথচলায় প্রচারিত হয়েছে অগণিত নতুন নতুন অনুষ্ঠান। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে রমজান মাসের নিয়মিত ও তুমুল জনপ্রিয় অনুষ্ঠান কাফেলা, সপ্তাহের আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠান গ্রামীণ ফোন টেলিসময়, প্রতিদিনের সংবাদপত্রের গণপ্রতিক্রিয়াধর্মী অনুষ্ঠান পাবলিক রিঅ্যাকশন, নিয়মিতভিত্তিক স্বাস্থ্য বিষয়ক দুটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে। একটি আপনার সুস্বাস্থ্য ও অন্যটি সরাসরি অনুষ্ঠান টেলি প্রেসক্রিপশন, আবদুর রহমানের উপস্থাপনায় বিনোদন বিষয়ক নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘সাময়িকী’, নিয়মিত খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠান স্পোর্টস টাইম, নিয়মিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান কামরুজ্জামান সোহেলের পরিচালনায় ‘সত্যের সন্ধানে’সহ দর্শকদের সরাসরি অংশগ্রহণমূলক বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। দেশের যেকোন জরুরি অবস্থায় চ্যানেল আই তাৎক্ষণিক দর্শক চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ আয়োজন করে থাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা
একে একে বিশটি বছর পেরিয়ে এসেছে চ্যানেল আই। এটি বহু মানুষের শ্রম, নিষ্ঠা, স্বপ্ন আর তৎপরতার যোগফল। সেই সঙ্গে ছয়টি মহাদেশের বাঙালিরা তো আছেনই। যারা সবসময়ই শক্তি ও সাহস যুগিয়ে চলেছেন চ্যানেল আইকে, তার যুগপোযাগী প্রতিটি উদ্যোগকে। যে দায়বদ্ধতা নিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা, সেখান থেকে এক চুলও সরেননি চ্যানেল আই কর্তপক্ষ থেকে শুরু করে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিষ্ঠাবান কর্মীরা। যাদের প্রতিদিনের চিন্তা-শ্রম ও নিষ্ঠায় সূচনা হয় একেকটি নতুন অধ্যায়ের, নতুন ধারার। ঊনিশ বছরে পদার্পণের শুভলগ্নে চ্যানেল আই এর সকল দর্শক, কর্মকুশলী, বিজ্ঞাপনদাতা, কেবল অপারেটরসহ সবাইকে অফুরান শুভেচ্ছা।