Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ধারাবাহিক নাটকে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারকারা

অনুষ্ঠান নির্ভর প্রায় প্রতিটি চ্যানেলেই প্রতিদিন একাধিক ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। কিন্তু এসব নাটক দর্শকদের মনের খোরাক মেটাতে পারছে না। গত কয়েক বছরে কোনো ধারাবাহিক নাটকই জনপ্রিয় হয়নি। ধারাবাহিক নাটক থেকে যেমন দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তেমনই অনেক অভিনয়শিল্পীও ধারাবাহিকে অভিনয় করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অথচ এক সময় ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের জন্য অভিনয়শিল্পীরা মুখিয়ে থাকতেন। ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমেই তাদের পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ত। গেল কয়েক বছর ধরে অভিনেতা সজল ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা কোনো ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন না। মডেল-অভিনেত্রী মেহজাবিনকেও ধারাবাহিকে দেখা যায় না। স¤প্রতি ধারাবাহিকে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শবনম ফারিয়া। সাফা কবির গেল দুই বছরে কোনো ধারাবাহিকে অভিনয় করেননি। এছাড়া ধারাবাহিকে অভিনয় না করার তালিকায় আরও আছেন ইরফান সাজ্জাদ, তানজিন তিশাসহ অনেকের নাম। ধারাবাহিকে যারা নিয়মিত অভিনয় করছেন তারাও ধারাবাহিক নাটকের গল্প নিয়ে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ গল্প উপস্থাপন ও সংলাপে দুর্বলতা এবং পর্বের প্রয়োজনে কোনো কোনো চরিত্রকে নির্মাতারা লম্বা করেন। ফলে সেই সময়টুকুতে চরিত্রের প্রতি শিল্পীরও কোনো আন্তরিকতা থাকে না। দায়সারাভাবেই কাজ করেন তিনি।
বরাবরই দর্শক টানতে ব্যর্থ হচ্ছে সেই ধারাবাহিকগুলো। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা ও অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘চ্যানেল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে ধারাবাহিক নাটকগুলো থেকে দর্শক সরে গেছে। আবার অনেক সিনিয়র শিল্পী এখন নাটকে অভিনয় করাও বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ অভিনয় করার মতো কোনো চরিত্র পাওয়া যায় না। ফলে ধারাবাহিক এবং একক নাটক কোনোটিতে বৈচিত্র্য থাকছে না।’ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী মেহজাবিন বলেন, ‘ধারাবাহিকে অভিনয় করার জন্য আগ্রহ পাই না। এই সময়ে আমাদের যে ধারাবাহিকগুলো নির্মাণ হচ্ছে সেগুলো দর্শক টানতে পারছে না। অনেক ধারাবাহিকে দেখা যায় জোর করে দর্শকদের হাসানোর চেষ্টা করেন নির্মাতা। যে কাজটি আমার দর্শক পছন্দ করবে না সেটি না করাই ভালো মনে করি।’ অভিনেতা সজল বলেন, ‘সর্বশেষ কোন ধারাবাহিকে কাজ করেছিলাম তা মনে নেই। ৫-৬ বছর হবে ধারাবাহিক নাটকে একদমই অভিনয় করি না। এর বিশেষ কোনো কারণ নেই। সময় স্বল্পতার জন্য করা হয় না। এছাড়া যে নাটকটি করব তার চরিত্র নিয়ে কম করে হলেও একদিন ভাবতে হয় আমাকে। যে কারণে মাসের প্রায় সব দিনেই কোনো না কোনো সিডিউল ওয়ার্ক থাকে। তাছাড়া আজকাল ধারাবাহিক নাটক সেভাবে সাড়াও জাগাতে পারছে না। তাই শুধু অভিনয় করতে হবে বলেই করে তো লাভ নেই।’ অভিনেত্রী সাফা কবির বলেন, ‘বছর দুই ধরে আমি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি না। খন্ডনাটকেই কাজ করতে ভালো লাগছে। খন্ডনাটকে বিভিন্ন গল্পের নানা চরিত্রে নিজেকে আবিষ্কার করা যায়। কিন্তু ধারাবাহিক নাটকের বেলায় লম্বা সময় দিতে হয়। একই গল্প ও চরিত্র নিয়ে এতদিন কাজ করতে ভালো লাগে না। ধারাবাহিকের জন্য খন্ডনাটকে সময় বের করা যায় না। তাই খন্ডনাটকেই ব্যস্ত আছি।’