Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এই জগতে সবাই দু’মুখো মানুষ!-মৌসুমী হামিদ

মোহাম্মদ তারেক
আনন্দ আলো: আপনি কোন মৌসুমী?
মৌসুমী হামিদ: আমি মৌসুমী হামিদ।
আনন্দ আলো: এত কাজ থাকতে অভিনয়ে এলেন কেন?
মৌসুমী হামিদ: ছোটবেলা থেকেই আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমি নাটকে অভিনয় করব। অভিনয়ের প্রতি আমার ভালোবাসা ছিল বলেই অভিনয়ে আসা।
আনন্দ আলো: জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় যে কাজটি…
মৌসুমী হামিদ: চ্যানেল আই-এর ‘রসনী’ ধারাবাহিক নাটকটি আমার অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলতে পারেন।
আনন্দ আলো: ক্যামেরার সামনে প্রথম দিন…
মৌসুমী হামিদ: ২০১০ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অডিশনের জন্য যেদিন প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই।
আনন্দ আলো: যে নাটক দেখে প্রচন্ড কেঁদেছেন….
মৌসুমী হামিদ: অনেক নাটক দেখে কেঁদেছি। তবে সরদার রোকনের ‘গন্তব্য’ নাটকটি দেখে আমি প্রচন্ড কেঁদেছি। আমি ইমোশনাল মানুষ। নাটকে যে কেউ কাঁদলে আমিও কাঁদি।
আনন্দ আলো: যে চরিত্রের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলাম…
মৌসুমী হামিদ: সুমন আনোয়ারের ‘বাধাবনের রানী’ টেলিফিল্মটির রানীর চরিত্রের ভেতর ঢুকে পড়েছিলাম।
আনন্দ আলো: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত, রাজু আলীমের পরিচালনায় ‘ভালোবাসার রাজকন্য’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। একদিন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনি রাজকন্যা হয়ে গেলেন। তখন কী করবেন?
মৌসুমী হামিদ: আমি রাজকন্যা হতে চাই না। কারণ রাজকন্যাদের অনেক টেনশন থাকে। দেশ নিয়ে টেনশন, দেশের মানুষ নিয়ে টেনশন। এত টেনশন করতে পারব না। তাই রাজকন্যা হওয়ার ইচ্ছা নাই।

আনন্দ আলো: বন্ধুরা আমাকে যা বলে খ্যাপায়….
মৌসুমী হামিদ: বন্ধুরা আমাকে পাগলি বলে খ্যাপায়।
আনন্দ আলো: সিনেমায় কার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চান?
মৌসুমী হামিদ: আরেফিন শুভর ভক্ত আমি। তার সঙ্গে নিজেকে পর্দায় দেখতে চাই।
আনন্দ আলো: যে সিনেমাটা আপনার হৃদয়ে এখনো গেঁথে আছে?
মৌসুমী হামিদ: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত, আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত ‘জালালের গল্প’ সিনেমাটি এখনো আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে।
আনন্দ আলো: কোন ধরনের চরিত্রের খোঁজে আছেন?
মৌসুমী হামিদ: যদি কেউ ‘সাতকাহন’ বইটির ওপর সিনেমা বানায়, সেখানে আমি দীপাবলি হতে চাই।
আনন্দ আলো: কোনো গ্রামে আপনি শুটিং করতে গেলেন। ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশন বলার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে একটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার এসে পড়ল। তখন কী করবেন?
মৌসুমী হামিদ: হা: হা: হা:! রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকব। চোখে চোখে কথা বলব। তারপর স্বাগতম জানাব শুটিং দেখার জন্য।
আনন্দ আলো: আপনার যে সংলাপটি মানুষের মুখে মুখে…
মৌসুমী হামিদ: ‘বোবা মাস্তান’ নাটকে আমার একটা সংলাপ মানুষের মুখে মুখে ছিল। সংলাপটা হচ্ছেÑ আমার হাত কিন্তু অনেক লম্বা। আমি যদি চটকানা মারি। তাহলে চামচার সামনে আপনার পেসটিস প্যাংচার হয়ে যাবে।
আনন্দ আলো: যে প্রশ্ন শুনতে শুনতে ক্লান্ত…
মৌসুমী হামিদ: বিয়ে করবেন কবে।
আনন্দ আলো: বিনোদন অঙ্গনে আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধুকে?
মৌসুমী হামিদ: এই জগতে সবাই দু মুখো মানুষ। সামনে এক কথা, পেছনে একই মানুষকে নিয়ে উল্টো কথা বলা স্বভাবের মানুষ বেশি। আমার মনে হয় এখানে আসলে বন্ধুত্ব বলতে কিছু নেই।
আনন্দ আলো: রেগে গেলে যা করেন…
মৌসুমী হামিদ: রেগে গেলে রীতিমতো কান্নাকাটি করি।
আনন্দ আলো: শিল্পী হিসেবে নিজেকে দশে…?
মৌসুমী হামিদ: শিল্পী হিসেবে নিজেকে আমি দশে পাঁচ দেব।
আনন্দ আলো: পৃথিবী থেকে ব্যাংক উঠে গেলে নিজের টাকা গুলো কোথায় রাখবেন?
মৌসুমী হামিদ: টাকা গুলো কোথায় রাখবো এটাতো বলা যাবে না। কারণ বললে তো সব টাকা ডাকাতি হয়ে যাবে।
আনন্দ আলো: প্রেমপত্র… দিয়েছি বা পেয়েছি?
মৌসুমী হামিদ: পেয়েছি অনেক। দেওয়া হয়নি কখনো। কারণ আমার হাতের লেখা খুবই খারাপ ছিল তাই প্রেমপত্র দিতে ডরাইতাম।
আনন্দ আলো: মৌসুমীর সবচেয়ে বাজে অভ্যাস…
মৌসুমী হামিদ: আমি খুবই ইমোশনাল। এটা আমার সবচেয়ে বাজে একটা অভ্যাস।