Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আমাদের ‘তারা’ নারীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়

মেহরুবা রেজা, সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার, উইমেন ব্যাংকিং সেগমেন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক
নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি তথা নারী জাগরণে নিরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক। গত কয়েক বছরে শুধুমাত্র নারীদের নানান সুযোগ-সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘তারা’ নামের সেবাটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে একঝাঁক নিবেদিত প্রাণ কর্মী। যারা দেশের নারী জাগরণ তথা নারীকে সাবলম্বী করার জন্য ‘তারা’র মাধ্যমে নানানভাবে সহায়তা করেন। এই সেবার মাধ্যমে শুধু যে অর্থনৈতিক সহায়তাই পেয়ে থাকছে নারীরা তা নয়- একজন নারীর কমিউনিকেশন, স্কেল ডেভলপমেন্ট থেকে শুরু করে নানান ধরনের নেটওয়ার্কিংও করে থাকে ‘তারা’। সামনে আরো নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়ে হাজির হচ্ছে ‘তারা’। সার্বিক বিষয়ে আনন্দ আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্র্যাক ব্যাংকের উইমেন ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘তারা’র সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার মেহরুবা রেজা। লিখেছেন সৈয়দ ইকবাল
আনন্দ আলো: প্রথমেই ‘তারা’ সম্পর্কে জানতে চাই।
মেহরুবা রেজা: ‘তারা’ হচ্ছে আমাদের একটা প্রো পজিশন সেগমেন্ট। ২০১৭ সালে লঞ্চ করা হয়। এতো অল্প সময়ে ‘তারা’ নারীদের কাছে এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে… আসলেই অবাক করার বিষয়। এই ‘তারা’ উইমেন ব্যাংকিং এর আওতায় আছে হোম ফাইন্যান্সিং, পারসোনাল লোন, স্পেশাল ডিপোজিট একাউন্ট, স্পেশাল সেভিংস স্কিম, ক্রেডিট কার্ড সহ আরো নানান সেবা। আমরা এগুলোকে স্পেশাল বলছি এই কারনে যে, শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য রিচার্স করে এমনভাবে ফিচার্সগুলো যোগ করেছি যেনো মহিলারা সহজভাবে ব্যাংকিং এ আসতে পারে এবং ব্যাংকিং সেক্টরের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ হয়। সারাদেশে ব্র্যাংক ব্যাংকের ১৮৬টি ব্রাঞ্চ রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটি ব্র্যাঞ্চে একটা ‘তারা’ হেল্প ডেস্ক রয়েছে। ‘তারা’র সেবার জন্য আমাদের প্রত্যেকটা ব্র্যাঞ্চে আলাদা কাউন্টার রাখায় অন্য নারীরাও এই সেবা সম্পর্কে জানতে পারছে। বিষয়টা আবার এমন নয় যে ‘তারা’ খোলার আগে ব্র্যাংক ব্যাংক নারীদের বিষয়ে সহযোগিতাপূর্ণ ছিলো না। কিন্তু সেগমেন্ট আকারে খোলায় একজন নারী সহজেই বিষয়টার আগ্রহী হচ্ছে।
আমাদের ব্যাংক থেকে শুধুমাত্র নারী ক্লায়েন্টদের কিভাবে সার্ভিস দিতে হবে সেই বিষয়ে আলাদাভাবে ট্রেনিং করানো হয়েছে। গেøাবাল ব্যাংকিং এলাইন্স ফর উইমেন এব্যাপারে সহায়তা করেছে। এটি একটি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন। পৃথিবীর ৪০টি দেশের ব্যাংক এই অর্গানাইজেশনের মেম্বার। আমাদের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এই অর্গানাজেশনের বোর্ড মেম্বার। ব্র্যাক ব্যাংকের উইমেন ব্যাংকিংয়ের প্রো পজিশন ভালো হওয়ায় মাত্র এক বছরের মাথায় আমাদের এমডি সাহেব বোর্ড মেম্বার হয়ে যান।
আনন্দ আলো: ‘তারা’তে সম্পৃক্ত হলে একজন নারীর জন্য কি কি সুবিধা থাকে?
মেহরুবা রেজা: এ ব্যাংকিং সল্যুশন্স চাকুরীজীবী, উদ্যোক্তা, গৃহিনীসহ সকল নারীদের যেকোন ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করছে। ‘তারা’ উৎকৃষ্ট সঞ্চয় পরিকল্পনা, সহজ ঋণ দান প্রক্রিয়া এবং পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। এটি নারীদের সঠিক অর্থায়ন পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন ও জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করছে। ‘তারা’ কেবল একটি সল্যুশন্স নয়, এটি নারীর অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার একটি কার্যকর সমাধান। ‘তারা’ সবসময় নারীর স্বপ্ন পূরণের পথে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। ‘তারা’ সঞ্চয়ী হিসাবের ক্ষেত্রে উচ্চ মুনাফা প্রদান, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য চলতি হিসাব, স্বল্পসুদে ব্যবসায় ও রিটেইল লোন প্রদান এবং প্রসেসিং ফি’র উপর ছাড়সহ গ্রাহকদের নানাসুবিধা প্রদান করছে। তাছাড়া তারা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন নামে একটি ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশনও চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
আনন্দ আলো: ‘তারা’র স্পেশাল কোনো প্যাকেজ থাকলে সেটা বলবেন-
মেহরুবা রেজা: আগেই বলেছি ‘তারা’তে একজন নারীর জন্য অনেক ধরনের সেবা রয়েছে। ‘তারা’তে একজন নারীর জন্য অনেক সুবিধামূলক লোনের জায়গা রয়েছে। যা অন্য অনেক ব্যাংকেই নেই। যেমন ‘তারা’র লোনের সাথে আমরা একজন নারীকে ইন্সুরেন্সের প্যাকেজ দিয়ে থাকি। যেটাতে প্রথম বারো মাস ক্লায়েন্টকে পেমেন্ট দিতে হয় না। নারীদের জন্য এই ধরনের সেবা বাংলাদেশের ব্র্যাক ব্যাংকই চালু আছে। আমরা এটা নিয়েছি ‘টেলিনর’ হেলথ থেকে। এটা একটা ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা। এখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাওয়ার কারন হচ্ছে একজন নারীকে যেনো ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর পেছনে ঘোরাঘুরি করতে না হয়। সহজেই বাসা থেকে মহিলারা সেবাটি নিতে পারেন। আজকের সময়ে একটি পরিবারে চিকিৎসা ব্যয় থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যয় যেভাবে বাড়ছে তাতে অনেক পরিবারেরই হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা। একজন নারী তথা মা হিসেবে তাকে পরিবারে নানান ভূমিকা পালন করতে হয়। আজকের যে নারী একজন উদ্যোক্ত হিসেবে কাজ করছেন তার ভূমিকা হবে পরিবারকে সুরক্ষা করা। এব্যাপারেই ‘তারা’ ভ‚মিকা রাখছে। আমাদের ‘তারা’ লঞ্চের পর থেকে ‘তারা’র পোর্টফোলিও গ্রোথ করছে টু হান্ড্রেড প্লাস। এটা দিন দিন কিন্তু বাড়ছে। আমাদের ‘তারা’য় একজন নারী ৫ বছরে তার সেভিংস একাউন্টে যে পরিমাণ ইন্টারেস্ট পাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে দেখা গেছে একজন পুরুষ ১০ বছরে সেই পরিমাণ ইন্টারেস্ট পেয়ে থাকেন। এমনিভাবে শুধুমাত্র নারীদের স্পেশাল নানান সেবা নিয়ে ‘তারা’ আজকের নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আনন্দ আলো: ঋণ দানের ক্ষেত্রে কেমন সুবিধা দিয়ে থাকে ‘তারা’?
মেহরুবা রেজা: অনেক ধরনের সুবিধাই রয়েছে। যেমন একজন নারী উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে এসএমই লোনের সময় কোনো প্রকার ফি নেয়া হয় না। এমনকি ইন্টারেস্ট লেভেল অনেক কম থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই আমাদেরকে এসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া আছে যেনো নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাংকগুলো ভালোভাবে সহায়তাপূর্ণ আচরণ করে। তাই আমরা ব্র্যাক ব্যাংক এই সুবিধাগুলো বেশি দিয়ে থাকি। কারন বাংলাদেশে উইমেন ব্যাংকিং এ ব্র্যাক ব্যাংক একটা বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে। বাংলাদেশে হ্যান্ডিক্র্যাফট এর বিজনেস মেয়েদের দ্বারাই সবচেয়ে বেশি পরিচালিত হয়। আমাদের ব্যাংকেই মেয়েদের হ্যান্ডিক্র্যাফট এর পোর্টফোলিও সবচেয়ে বড়। প্রতিনিয়ত নতুন নারী উদ্যোক্তা যুক্ত হচ্ছেন আমাদের ‘তারা’ এসএমই লোনে।
আনন্দ আলো: ঋণ দেয়ার পাশাপাশি একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী করার জন্য আপনারা কেমন সহযোগিতা করে থাকেন?
মেহরুবা রেজা: এই বিষয়ে আমরা প্রচুর কাজ করে থাকি। আমরা শুধু একজন নারীকে টাকা-পয়সা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করিনা। একজন নারীর নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে মোটিভেশনাল দিক নির্দেশনাও আমরা নানান সময়ে নানান ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিয়ে থাকি। ‘তারা’নারী গ্রাহকদের পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। ‘তারা’র নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম মহিলাদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি নারীদের জন্য ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস এ সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকে। কিছুদিন আগে আমরা একটা বড় কাজ করেছি যা কেউ এর আগে করেনি। আমেরিকান ব্যাবসন কলেজের সহযোগিতায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রোগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাবসন কলেজের সহযোগিতায় এক দল দক্ষ প্রশিক্ষক ৩৫ জন নারী ব্যবসায়ীদের জন্য চারদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছে। ব্যাবসন কলেজ, উদ্যোক্তাদের পাওয়ারহাউজ নামে পরিচিত, যা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উদ্যোক্তা কলেজ হিসাবে পরিচিত, অন্যদিকে এফএমও একটি স্বনামধন্য ডাচ বিনিয়োগ সংস্থা। আন্তর্জাতিক এই প্রশিক্ষণ নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞান বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে সার্টিফিকেটও বিতরণ করা হয়।
আনন্দ আলো: নারীদের সামাজিক ও পরিবারিকভাবে তৈরি হওয়ার জন্যও কি আপনারা কাজ করেন?
মেহরুবা রেজা: হ্যাঁ। আমরা শুধু একজন নারীকে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যই কাজ করি না। একজন নারী সামাজিক এবং পারিবারিকভাবে যাতে মর্যাদা সম্পন্ন হয়ে ওঠে সে জন্যও আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। যেমন বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে আমরা টেলিনর হেলথ ও সুপারমমের সহযোগিতায় ‘হ্যাপি প্যারেন্টিং’ শীর্ষক একটি বিশেষ ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছিলাম। লাইফস্প্রিং লিমিটেডের (একটি মেন্টাল হেলথ কেয়ার ইনস্টিটিউট) চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট এন্ড প্যারেন্ট এডুকেশন বিভাগের প্রধান ডাঃ সুষমা রেজা ‘হ্যাপি প্যারেন্টিং’ বিষয়ক এই ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেন। ব্র্যাক ব্যাংকের নারী গ্রাহকবৃন্দ এ ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। শিশুর সাথে মায়ের সঠিক উপায়ে যোগাযোগ করা, ইতিবাচক শৃঙ্খলার মাধ্যমে শিশুদের সাহায্য করা, শিশুদের সম্মানের সাথে বড় করা ও মায়ের মানসিক চাপ মুক্তির উদ্দেশ্যে মেডিটেশন সেশনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওয়ার্কশপটি ডিজাইন করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে এই প্রথমবার ব্র্যাক ব্যাংক এসিআই মোটরস ইয়ামাহা রাইডিং একাডেমির (ওয়াইআরএ) সাথে অংশীদারিত্বে নারীদের জন্য বিনামূল্যে বাইক চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। এখনকার কর্মব্যস্ত ও নগর জীবনে, নারীদের মধ্যে মোটরসাইকেল চালানোর প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। যা নারীদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে উৎসাহিত করবে। শুধু তাই নয়, সময়ের সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি নারীদের আত্মসম্মান বৃদ্ধিতে অনুপ্রাণিত করবে।
আনন্দ আলো: কিছুদিন আগে ব্র্যাক ব্যাংক উইমেন’স মার্কেট চ্যাম্পিয়ন এনগেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ড জয়লাভ করেছে। এই বিষয়ে কিছু জানতে চাই-
মেহরুবা রেজা: হ্যাঁ। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই বেশ আনন্দের সংবাদ। ব্র্যাক ব্যাংককে উইমেন’স মার্কেট চ্যাম্পিয়ন এনগেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান করেছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন। পরপর তিন বছর ব্র্যাক ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন থেকে অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। গেøাবাল অ্যালায়েন্সের সদস্য হিসাবে প্রথম বাংলাদেশী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক উইমেন মার্কেট চ্যাম্পিয়ন হিসাবে এনগেজমেন্ট-এশিয়া ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। এটি ব্যাংকের সমন্বিত নারী ব্যাংকিং সমাধান ‘তারা’র স্বীকৃতি হিসাবে এসেছে, যা নারীর উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে। এই এনগেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ডটি জিবিএ সদস্যদের দেয়া হয়েছে যারা গ্রাহকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নলেজ শেয়ারিং ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে।
আনন্দ আলো: নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা থাকলে বলবেন-
মেহরুবা রেজা: আমরা প্রতিনিয়তই নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে নতুন নতুন কিছু বিষয় সংযুক্ত করছি। যেমন সামনে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটা মেলা করার ইচ্ছা আছে। এটা নিয়ে আমাদের কাজও হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের নেটওয়ার্কে আগামীতে যেনো আরো বেশি নারী উদ্যোক্তা যুক্ত হোন। এর পাশাপাশি আমরা এটাও চাই যেনো সবাই সবার সাথে একটা নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকে। তাই তো এই মেলাটার আয়োজন করতে যাচ্ছি। আরো কিছু প্ল্যান আছে- সেটা হয়তো সামনে দেখতে পাবেন।
ছবি : রাকিবুল হক