Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আমার চেহারা নিয়ে অনেক সংশয় ছিল! : সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

সম্প্রতি গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।  কর্মমুখর সময়ের মাঝেই আনন্দ আলো’র আহ্বানে একান্তে চোখ ফেরালেন ফেলে আসা জীবনের ঘাটে ঘাটে।  সেই চিত্র তুলে ধরেছেন- অপূর্ব কুমার কুণ্ডু

যার অভিনয়ে মুগ্ধ পৃথিবীর দেশে দেশে বসবাসরত কোটি কোটি বাঙ্গালী।  যাকে একনজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নেমে যায়।  যার কথা শোনার জন্য দর্শক শ্রোতারা ঘন্টার পর ঘন্টা মিলনায়তনে অপেক্ষা করেন তিনিই কিনা বললেন- আমার চেহারা খারাপ।  ছোটবেলায় নিজের চেহারা নিয়ে অনেক সংশয় ছিল।  দারুন হীনমন্যতায় ভুগতাম।

উপমহাদেশের কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টাপাধ্যায়।  ঢাকায় গঙ্গা-যমুনা নাট্য উৎসবে এসেছিলেন।  আগের রাতে মঞ্চে অভিনয় করে ঢাকার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষকে মুগ্ধ করেছেন।  পরের দিন আয়োজকদের আহ্বানেই এসেছিলেন সাংবাদিক ও সংস্কৃতিক কর্মীদের সাথে মুখোমুখি আড্ডায় কথা বলতে।  আড্ডা শুরু হলো তাঁর কথা দিয়েই।  প্রথমেই অবাক করা তথ্য।  যার চেহারা দেখার জন্যই ভক্তরা দল বেধে সিনেমা হলে যায়, টিভির সামনে বসে তিনিই কিনা বলছেন- আমার চেহারা খারাপ ছিল।  এনিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতাম।  প্রিয় পাঠক, আসুন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মুখেই কথাটি শুনি-

করব, এ অঙ্গনের মানুষের ভালোবাসা কাড়ব তা কখনই ভাবিনি।  কারণ আমার চেহারা নিয়ে একটা হীনমন্যতা ছিল।  একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার মুখে এধনের কথা শুনে অনেকে হয়তো অবাক হবেন।  হাসবেন অনেকে।  এটাই সত্যি।  এটার অবশ্য কারণ ছিল।  অল্প বয়সে আমার একবার টাইফয়েড হয়েছিল।  খুব রুগ্ন ছিলাম।  বাড়ির লোকেরা বলত-ছেলেটা কালো।  নাক চোখ মুখও তেমন একটা নেই।  এরকম একটা ছেলে কোথেকে এলো আমাদের বাড়িতে? এসব শুনে শুনে নিজের চেহারা নিয়ে সব সময় সংকুচিত থাকতাম।  খেলাধুলা খুব করতাম।  চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো ছিলাম না।  তবে ভালো খেলতাম।  খুব একটা ভালো ছাত্র ছিলাম না।  তবে ভালো অভিনয় করতাম।  আমার অভিনয় দেখে অনেকে ভালো বলত।  দেখতাম অভিনয় করে খুব সহজেই নিজেকে আড়াল করা যায়।  মূলত: নিজেকে আড়াল করার জন্যই অভিনয়ে এসেছি’।

সেমিনার হলে মুখোমুখি বৈঠক।  প্রশ্নকারীরা, বৈঠকের শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনছেন! সৌমিত্রর হাসি ভরা মুখ।  আর তার কথার জাদুতে মোহবিস্ট সকলে।  সৌমিত্র কথা বলেই চলেছেন।  তখন মনে হচ্ছিলো সেলুলয়েডের ফিতায় তাকে দেখা যাচ্ছে।  মুখের কথায় অন্তরের ছোঁয়া।  ফেলে আসা শৈশবকে রঙিন আল্পনায় অাঁকলেন এভাবে-

soumitroযাত্রার পাতা ওল্টালে শৈশবকে বড্ড বেশি মনে পড়ে।  সঙ্গীত আবহে কৃষ্ণনগরের গঙ্গা ছুঁয়ে আমাদের দালান বাড়ী, সবুজ ধানের ক্ষেত, মাচা ভর্তি কুমড়ো বাগান, বটবৃক্ষের শীতল ছায়া, দিগন্তে তাকিয়ে গাভীর গোয়ালে ফেরা সেসব কোথায় কিভাবে যে মিলিয়ে গেল তাও খানিকটা ঝাপসা ঝাপসা।  আশিতে পৌছালাম।  বয়সকেতো একদম ফেলে দেবার নয়।  আমার বাবা হাইকোর্টের উকিল ছিলেন।  ওকালতির কাজকর্ম শেষ করে সন্ধেবেলায় ঘরের দাওয়ায় বসে কবিতা আবৃত্তি করতেন।  শব্দ বাক্য যেন প্রাণ পেত তার সেই মধুময় কণ্ঠের উচ্চারণে।  আমরা ভাইয়েরা মিলে তা শুনতাম।  বাবাও মাঝে মাঝে আমাদেরকে কবিতা পড়তে দিতেন।  বাক্যের অনুভূতি বুঝে কিভাবে আবেগকে ঢেলে দিতে হয় তা ধরিয়ে দিতেন।  আবেগকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় সেসবও বোঝাতেন।  বাবা ওকালতি ছেড়ে চাকরি নিলেন।  চাকরিটা এক জায়গায় বসে করবার নয়, বদলির চাকরি।  আমি বাবার একনিষ্ঠ সঙ্গী।  চলতি পথে শৈশব পেরিয়ে কখন যে কৈশোরে পৌছালাম তা বুঝিনি।  বুঝতাম অধরাকে ধরবার, অদেখাকে দেখবার, অদৃশ্যকে বর্ণিল ছটায় ছুঁয়ে দেখবার এক তীব্র রোমান্টিকতা আমার দুনিয়া জুড়ে।  সেই অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশ পেল নাট্যের ভেলায়।  সান্নিধ্য পেলাম শিশির কুমার ভাদুড়ির।  গিরিশ যুগের অবসান আর নবনাট্য আন্দোলনের সেতু বন্ধনকারী শিশির কুমার ভাদুড়ি আমায় নাড়িয়ে দিলেন।  আকৃষ্ট হলাম মঞ্চাভিনয়ে।  মঞ্চ মাথায় ঘোর লাগতে লাগতেই দেখা হল সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে।  জায়গা হল বিশ্ব সংসারের মতোই ‘অপুর সংসার’ চলচ্চিত্রে।  তারপরে আমার জীবনতো শুধু আর আমার রইল না।  কিভাবে কিভাবে মানুষ আমায় সহ্য করলেন, প্রশ্রয় দিলেন, সমালোচনা করলেন, তুলনা টানলেন আবার ভালোও বাসলেন।  আমি একজন সৌমিত্র হয়ে গেলাম অনেকের।

আসার গল্পের ঝাপিটা খুলে ধরলেন এভাবে- আশি বছরের এই চলমান জীবনে পঞ্চান্ন বছর ধরে অভিনয় চালিয়ে নেওয়ার পথটা আমার জীবনে সুগম যেমন তেমনি অনেক ছাড় দিতে পারার মানসিকতাও একরকমের ক্ষমতায়ন।  বাবা আমার অভিনয় বড় ভালোবাসতেন কিন্তু পেশাদারিত্বের অভাব তাকে সেই অর্থে এগিয়ে দেয়নি।  কিন্তু পুত্রতো পিতার অসম্পূর্ণ কাজকে সম্মুখে এগিয়ে নেয়।  আমার অভিনয় জীবন সেই অর্থে আমাকে সবই পাইয়ে দিয়েছে।  নাম যশ অর্থ এবং প্রতিপত্তি।  আমার অভিনীত চরিত্রের বাক অসংখ্য, ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে অভিনয় করতে পারাটা বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং সময়কালের বিবেচনায় সফলতা কিংবা ব্যর্থতার পরিমাপ নির্ধারণ অনুরাগীদের বিবেচনা।  কিন্তু আমার বিবেচনায় অভিনয় জীবনের সূত্রপাতে আমার এক কঠিন ব্যাধি।  তখন চিকিৎসা বিজ্ঞান আজকের সময়ের মতো এতোটা উন্নত হয়নি।  ফলে শৈশবে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে আমি ৬৩ দিন উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর নিয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী।  আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও ডাক্তার শেষ পর্যন্ত আশা ছাড়লেন।  পরিবার পরিজন ভেঙ্গে পড়লেন।  তবু সৃষ্টিকর্তার ইশারায় আমি কিভাবে কিভাবে যেন টাইফয়েডের হাত থেকে রক্ষা পেলাম।  সুস্হ স্বাভাবিক জ্ঞান ফিরে দেখলাম আমার স্বাস্হ্য ভেঙ্গে একাকার।  চেহারা কুৎসিত।  দেহ শক্তিহীন।  মনের সাথে লড়তে লাগলাম।  যা এখন আছি তার উপর আমি নতুন চরিত্র আরোপ করব।  কুৎসিত আমি সুশ্রী হব।  ভগ্ন স্বাস্হ্যের বিপরীতে স্বাস্হ্যবান হব।  কর্মহীনের বিপরীতে কর্মে সক্ষম হবো।  আমি ব্যক্তি চরিত্রের উপর আরাধ্য চরিত্র উপস্হাপন করবো।  আর তার জন্য আমাকে কর্মক্ষম হতে হবে।  লড়তে হবে।  প্রতিকূল পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই, অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে লড়াই।  লড়াইতে বিবর্তন আমার হতে থাকলো।  বুঝে গেলাম খেলাধুলায় আমি একদম গোহারা নয় কিন্তু একদম ছক্কা হাকাবারও লোক নই।  লেখাপড়ায় মেধাবী কিন্তু একদম ফাস্টবয় নই।  কিন্তু পাড়ার অনুষ্ঠানে যখন আমি অভিনয় করি তখন দর্শক মুগ্ধ হয়।  আমাকে বাহাবা জানিয়ে উৎসাহিত করে আবার পুনঃঅভিনয় দেখার আগ্রহ জানায়।  মানুষের মুগ্ধতা আমাকে ভাবালো।  ভাবলাম অভিনয়ে যখন তৃপ্তি পাচ্ছি, সুনাম পাচ্ছি, মানুষের হাসি কান্নার স্বাক্ষি হচ্ছি তখন অভিনয় করা নয় কেন? অভিনয় দিয়ে যখন দৈহিক সীমাবদ্ধতাকে উতরাতে পারলাম তখন অভিনয় দিয়ে জীবনের সত্য অনুধাবন তুলে ধরা নয় কেন? সংশয় কিছুমাত্র থাকলে তার সমাধান এল শিশির কুমার ভাদুড়ির সান্নিধ্যে এসে।  অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে তিনি দৃপ্ত কণ্ঠস্বরে সুমধুর উচ্চারণে নাটকীয় অভিনয়ে মাইকেল, আলমগীর, ষোড়শী প্রভৃতি নাটকে অনবদ্য অভিনয় করে নাট্যাভিনয়কে আভিজাত্য ও মার্জিত তথা শিক্ষিত মহলে গ্রহণযোগ্য ও ও সমাদৃত করে তুলছেন।  এ বড় আনন্দের প্রেরণা।  মঞ্চাভিনয় যে করবোই সে সিদ্ধান্ত তখন আমার নেওয়া হয়েই গেল।  এরপর চলচ্চিত্র।  সত্যজিৎ রায়ের সাথে পরিচয়ের সাথে সাথেই কিন্তু আমার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের শুরু না।  কারণ তখন তিনি পথের পাচালির সিক্যুয়ালের দ্বিতীয় পর্ব ‘অপরাজিতা’ বানাচ্ছেন।  তার ভাবনায় তখন যে অপু তার বয়সের থেকে আমার বয়স বছর দুয়েক বেশি।  কিন্তু তিনি প্রায়শই তার শুটিং দেখতে যেতে বলতেন।  অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কিভাবে অভিনয়টা করে তা দেখতে বলতেন।  আমি মাঝে মধ্যেই যেতাম এবং দেখতাম।  বড় ভালো লাগত।  সেসব সময় সত্যজিৎ রায় ‘পরশপাথর’ আর ‘জলসাঘর’ চলচ্চিত্রের কাজ করছেন।  সেখানে অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের সাথে পরিচয় করিয়ে যেমন দিলেন তেমনি তাকে বললেন তার পরবতর্ী ছবি অপুর সংসার এ আমাকে নির্বাচিত করার কথা।  তার পরতো একে একে তার সাথে চৌদ্দটি কি পনেরটি ছবিতে কাজ করা হল।  মঞ্চাভিনয়ের পাশাপাশি আমি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সে সময়টায় কাজ করতাম তখন দশ সেকেন্ডের একটা কণ্ঠ প্রদান করতে যেয়ে ধৈর্য, মাইক্রোফোনের ব্যবহার, দমের নিয়ন্ত্রণ, গুছিয়ে পুরো কথাটা বলা, বিষয়ের গভীরতাকে অনুধাবন করা সেসবই আমি বুঝতে শেখা শুরু করেছিলাম।  মাত্র ২৩ বছর বয়সের সে প্রস্তুতি আমার সত্যিই কাজে এল সত্যজিৎ রায়ের সংস্পর্শে এসে।  কারণ তিনি নবাগত অভিনেতাকে পেলে তাকে দিয়ে কথা বলিয়ে যাচাই করতেন।  তার সক্ষমতা কোথায়? বোধ কি রকম? কল্পিত চরিত্রের সাথে আগত মানুষটির মিল অমিল প্রভৃতি বুঝে নিতেন।  এটা অনেকটা মেথড অফ প্রসেসিং অ্যাক্টর।  লোকের বলা কথা তিনি হয়তো শুনতেন কিন্তু সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার আস্হা তার নিজের উপরেই।  নইলে অপুর সংসার বানাবার আগে অনেকেই তাকে বলেছিলো বসন্ত রোগের দাগে আমার মুখে অনেক ছাপ পড়েছে।  সেসব শোনা সত্ত্বেও আমাকে দেখে বললেন, সবাই বলছে অনেক দাগ টাগ হয়েছে কৈ কিছুইতো হয়নি।

Soumitra_Chatterjচট্টোপাধ্যয় কবিতা লেখেন।  এনিয়ে প্রশ্ন তুলতেই সহজ সরল উত্তরটাই দিলেন।  বাঙ্গালী তরুণদের বেলায় এটা ঘটেই থাকে।  কাউকে ভালো লেগে গেল তাকে নিয়ে কবিতা লেখে।  আমারও সেরকম একটা ব্যাপার হয়েছিল।  তখনকার দিনে প্রেমিকার হাত ধরতেও অনেক দিন অপেক্ষা করতে হোত।  প্রেমিকার মন পাবার জন্য কবিতা লেখা শুরু করি।  হ্যা, শেষ পর্যন্ত যাপিত জীবনে তাকেই সঙ্গী হিসেবে পেয়েছি।

নাটক নিয়ে কথা উঠলো।  কলকাতার মঞ্চ নাটক নিয়ে সৌমিত্র বেশ মুগ্ধ।  বললেন- কলকাতার মঞ্চ নাটকের অবনতি হয়েছে।  বলতে গেলে সিনেমার ক্ষেত্রেও একই অবস্হা।  সব কিছু যেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  রাজনীতিতে নোংরা জৌলুস ঢুকেছে।  তরুণেরা বাংলা বলতে ভুলে যাচ্ছে।  তারা মিশ্র ভাষায় কথা বলছে।  লগ্নটা শুভ নয়।  এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রশংসা করলেন।  বললেন- বাংলাদেশের প্রতি আমার অনেক ভরসা।  বাংলা ও বাঙ্গালী জাতিকে টিকিয়ে রাখবে বাংলাদেশই।

অভিনেতার গুনাবলী নিয়ে।  সহাস্যে সৌমিত্র বললেন- আত্মপ্রদর্শন বড় অভিনেতার কাজ নয়।  অনেকে প্রশ্ন করেন, টিভি চলচ্চিত্র ও মঞ্চে অভিনয় করতে গিয়ে কি নিজেকে আলাদা করে তৈরি করা জরুরি।  আমি বলি- না।  তবে পরিবেশ বুঝে অভিনয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।  যিনি ছবি অাঁকেন তার কাছে ক্যানভাসই আসল।

আবার সেই পুরনো অভিযোগটাই প্রিয় শিল্পীর কাছে তুলে ধরা হয়।  ঢাকায় বসে আপনি কলকাতার সব টিভি চ্যানেলই দেখতে পাচ্ছেন।  কলকাতায় কেন বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখা যায় না? এই প্রশ্নের জবাবে সৌমিত্র যেন একটু বিব্রত হলেন।  বললেন- এটাতো আমারও প্রশ্ন।  দুই বাংলার মধ্যে কমিউনিকেশনটা জরুরি।  সেটা বাংলাদেশের জন্য যতটা না জরুরি তার চেয়ে বেশী জরুরি পশ্চিমবঙ্গের জন্য।

সিরিয়ালের প্রসঙ্গ ওঠে।  তখন সৌমিত্র কিছুটা ক্ষুব্দ হয়েই বলেন, কলকাতায় ভালো ‘বাঙাল’ অভিনেতা নেই।  যারা অভিনয় করেন তাদের অনেকেই ভালো বাংলা বলতে পারেন না।  আমাদের ওখানে টিভিতে যে সব সিরিয়াল দেখায় তাকে আমি নাটক বলি না।  ওগুলো থিয়েটারের অংশ তো নয়ই।  নাটকের পরিচয়ও না।  সব থেকে খারাপ যা কাজ, এগুলো তা-ই।