Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪০ বছর পূর্তি

আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪০ দশক পূর্তি উদযাপন করা হল গতকাল। এ উপলক্ষে রাজধানীতে ছিল নানা আয়োজন। সকালে শাহবাগে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার থেকে বের হয় বর্ণিল শোভাযাত্রা। বাংলার ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে নানান সাজে সজ্জিত শোভাযাত্রাটি শাহবাগ, বাংলামোটর হয়ে শেষ হয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নিজস্ব ভবনে। যেখানেঅংশ নেন সমাজের বিশিষ্টজন আর প্রতিষ্ঠানটির অসংখ্য শুভাকাঙ্খী।
দিনভর গুণীজনদের শুভেচ্ছা আর বইপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর ছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিজন থেকে শুরু করে সবার কণ্ঠেই ওঠে আসে, মননশীল মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির সক্রিয় ভ‚মিকার কথা।
শিল্পী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোস্তফা মনোয়ার বলেন, মানুষের সদিচ্ছা থাকলে যে কতটা যেতে পারে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তা প্রমাণ করেছেন। এই আলোর পথে সুন্দরকে দেখা যাচ্ছে, এই আলোতে পবিত্রকে দেখা যাচ্ছে, এই আলোতে মনুষ্যত্বের পথ দেখা যাচ্ছে।
লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী যদি এ প্রতিষ্ঠানের স্পর্শ পেয়ে থাকে তাহলে তার মধ্যে পরিবর্তন হতে বাধ্য। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার ৪০ বছর আগেই বুঝতে পেরেছিলেন ছেলেমেয়েদের বই পড়া শিখাতে হবে।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের কণ্ঠেও ছিল আরো অনেক বড় স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, চিরদিন অন্ধকার এসে আমাদের আক্রমণ করবে, গ্রাস করে নিতে চাইবে এবং চিরদিনই আমরা তার সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হবো। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে ছোট পরিসরে গড়ে ওঠে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাতে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ পাঠকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বই।