Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

সেবা নিয়ে আছি পাশে

বইমেলাকে ঘিরে রয়েছে কতো না আয়োজন! শুধু কী বই কেনা বেচাই হয়ে থাকে এই মেলায়? অবশ্যই না। বইমেলাকে ঘিরে রয়েছে আরো নানান আয়োজন। পুরো মাস জুড়ে বইমেলায় থাকবেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা। বইমেলায় হঠাৎ আগুন লেগে গেলে কিংবা জরুরী কোন উদ্ধার কাজের প্রয়োজন হলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সেবার হাত বাড়িয়ে রয়েছে। পুরো মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করছেন এক ঝাঁক নিবেদিত প্রাণ নিরাপত্তাকর্মী। পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি সহ সাদা পোশাকাধারী আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মী রয়েছেন। যারা মেলার নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করছেন। আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেকর দিয়ে মেলায় প্রবেশমুখে তল্লাশী চালিয়ে দর্শনার্থীদের মেলায় প্রবেশ করাচ্ছেন তারা। বইমেলার দুটি অংশ একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রয়েছে দুটি তথ্যকেন্দ্র। যার মাধ্যমে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নানান তথ্য দিয়ে সেবা প্রদান করছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। মেলায় আসা নতুন বইয়ের খবর, কোন স্টল কোনখানে কিংবা নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের খারও এই তথ্যকেন্দ্র থেকেই প্রচার করা হচ্ছে।
বইমেলায় বয়স্ক কোনো মানুষ এলে তাদের জন্য রয়েছে হুইল চেয়ার সার্ভিস। মেলার দুই প্রবেশমুখ টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে একঝাঁক তরুণ হুইল চেয়ার নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন। যারা প্রতিবন্ধী কিংবা বয়স্ক মানুষ তাদেরকে এই হুইল চেয়ারে করে বইমেলায় ঘুরিয়ে থাকেন তারা। বইমেলায় রয়েছে রক্তদান কর্মসূচীও। রেড ক্রিসেন্ট, বাংলাদেশ পুলিশ সহ কয়েকটি সংগঠনের রয়েছে এব্যাপারে বিশেষ কর্মসূচি। বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচী বইমেলায় অনন্য এক সেবাই বলা যায়। মেলার একাডেমি অংশে রয়েছে স্পর্শ ব্রেইল-এর একটি স্টল। যেখান থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছরই মেলায় নতুন নতুন বই ব্রেইল পদ্ধতিতে নিয়ে আসে তারা। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের একটি স্টল বইমেলার একাডেমি অংশে রয়েছে। যেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রকাশ করা বই রাখা যায়। যারা কোনো প্রকাশনা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে বই প্রকাশ করে থাকেন এবং সেই বই কোথাও রাখতে পারেন না, তারা জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে বই রাখতে পারেন।