Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

চলো যাই ফয়’স লেকে

ফয়’স লেক, কনকর্ড গ্রæপের উদ্যোগে গড়ে তোলা এক আনন্দময় রাজ্য। প্রকৃতি ও আধুনিকতার এক অপূর্ব সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই বিনোদন রাজ্যে নিরাপত্তা আর পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় সর্বাধিক। ফয়’স লেক বিশ্বমানের ভ্রমণ ও পারিবারিক বিনোদনের এক আকর্ষনীয় স্থান যার অপরুপ সৌন্দর্য ও চিত্তাকর্ষক বিনোদন সুবিধা বাংলাদেশের পর্যটন এবং বিনোদন ভ‚বনে একটি আদর্শ হিসেবে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছে। সেই আনন্দরাজ্য ফয়’স লেক নিয়েই প্রকাশ করা হলো এই বিশেষ প্রতিবেদন। রেজানুর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে

এতোটা বিস্ময় এবং ভালোলাগা আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো তা ভাবিনি। এর আগে বহুবার জায়গাটায় এসেছি। চট্টগ্রামে এলেই জায়গাটা টানে। এবারও টানছিলো। সে কারণে ছুটে আসা। এসেই বিস্ময় আর আনন্দের মাঝে নিজেকে আবিস্কার করলাম। পরিবেশ অনেকটাই বদলে গেছে। ভ্রমণের জায়গা বিস্তৃত হয়েছে। সর্বত্রই আধুনিকতার ছাপ। পরিবার ও বন্ধুদের জন্য বেড়ানোর ক্ষেত্রে এর চেয়ে আনন্দময় জায়গা আর হয়না। গোটা এলাকা জুড়ে আনন্দময় ব্যস্ততা। ছুটির দিন বলে ভীড়টা একটু বেশি। ভ্রমণ পিয়াসী মানুষজন আসছেন দলে দলে। টিকেট কাউটারে দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে। বাবা-মায়ের হাত ধরে এসেছে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা। ভিতরে ঢোকার সুযোগ পেয়েই দিচ্ছে ভোঁ দৌড়। যেনো সেই গানের মতোÑ এখন আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা…
প্রিয় পাঠক, বলছিলাম চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক এর কথা। সম্প্রতি বেড়াতে গিয়েছিলাম সেখানে। শুক্রবারের মনোরম বিকেল। ফয়’স লেক এর মূল প্রবেশ দিয়ে ভিতরে ঢুকতেই দেখি অসংখ্য মানুষের ভীড়। পারিবারিক ভাবে এসেছেন অনেকে। ছোটো ছোটো বাচ্চাদের বিভিন্ন রাইডে ওঠার ব্যস্ততা আর আনন্দময় ছোটাছুটি দেখে সেটাই মনে হলো। বাম্পার বোট, সার্কাস ট্রেন, বেবি কেরাওসাল, প্রাডেল বোট, ওয়াটার বী, ভিডিও গেমস, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, ড্রাই ¯øাইড, ফেরিস হুইল, বাম্পার কার সহ বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ ফ‚র্তিতে ব্যস্ত সবাই। এগিয়ে গেলাম একটু সামনে। উচু সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই চোখে পড়লো মনোরম সেই লেক। যাকে কেন্দ্র করে ফয়’স লেক নামের এই বিশাল আনন্দ রাজ্য গড়ে উঠেছে। বিশাল লেকের ঘাটে বাধা অনেক গুলো স্পীড বোট। দর্শনার্থীরা টিকেট কিনে বোটে চড়ছেন। সাথে সাথে একটার পর একটা বোট রওয়না দিচ্ছে সামনের গন্তব্যে। প্রশ্ন উঠতেই পারেÑ সেখানে কি আছে? উত্তরে বলব, সেখানেই তো আছে আরও অনেক বিস্ময় আরও আনন্দের পসরা।
একটা বোটে উঠে পড়লাম। একটু এগুতেই অপরূপ প্রকৃতি স্বাগত জানাতে শুরু করলো। দুইপাশে পাহাড় সদৃশ ঘন বন জঙ্গল। মাঝ খান দিয়ে একে বেঁকে এগিয়ে গেছে মনোরম ফয়’স লেক। দুই পাশের বন জঙ্গল থেকে নাম জানা-অজানা পাখিদের ওড়াওড়ি দেখে আর নির্মল বাতাসের ছোয়া পেয়ে মন আনন্দে ভরে গেল। লেকের পানি কেটে যেতে যেতেই নজরে এলো মনোরম কয়েকটি রিসোর্ট। বোট থামিয়ে রিসোর্ট দেখতে নেমে পড়লাম। রিসোর্টে থাকার রুমগুলো অত্যন্ত চমৎকার। বারান্দায় দাঁড়ালেই নীচে লেকের স্বচ্ছ জলে নিজের ছায়াও দেখা যাবে এমনই পরিবেশ। প্রতিটি রুমে আছে টিভি সহ অন্যান্য সব আধুনিক সুযোগ সুবিধাও।
রিসোর্ট দেখে আবার বোটে উঠলাম। যাচ্ছি সামনের দিকে। সেখানে রয়েছে ওয়াটার পার্ক সী ওয়ার্ল্ড নামের আরও একটি বিস্ময়কর আনন্দরাজ্য। কয়েক মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গেলাম সেখানে। সত্যি সত্যি সেখানে অন্যরকম এক বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো। ওয়াটার পার্ক সী ওয়ার্ল্ডের প্রবেশ মুখেই দাঁড়িয়ে আছে আরও একটি আধুনিক মানের রিসোর্ট। জানা গেল এই রিসোর্টে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন ৪৮টি রুম আছে। লেকে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা নির্ধারিত ভাড়ায় এইসব রুম ব্যবহার করতে পারেন। ওয়াটার পার্ক সী ওয়ার্ল্ডেও রয়েছে একাধিক আনন্দ রাইড। যার মধ্যে ¯øাইড ওয়ার্ল্ড, টানেল ¯øাইড, ডান্সিং জোন, টিউব ¯øাইড, ওয়েব পুল অন্যতম। ওয়াটার পার্ক সী ওয়ার্ল্ডের আধুনিক রিসোর্টটির রুম গুলো দেখে মন আনন্দে ভরে গেল। চমৎকার ইন্টেরিয়রের ছোঁয়া রয়েছে প্রতিটি রুমে। রয়েছে টিভি সহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাও। এই রিসোর্টটিকে ঘিরে নীচতলায় একটি আধুনিক মানের রেস্টুরেন্টও আছে। এই রেস্টুরেন্ট থেকেই রিসোর্টে থাকা দর্শনার্থীদের খাবার সরবরাহ করা হয়। রিসোর্টটির নীচতলায় রয়েছে আধুনিক মানের একটি অডিটোরিয়াম। সেখানে দুইশরও আধিক লোককে বসিয়ে যে কোনে অনুষ্ঠান অথবা সভা, সেমিনার করা যায়।
সী ওয়ার্ল্ডের প্রতিটি রাইড বেশ আনন্দের। তারমধ্যে ওয়েবপুল’ এর প্রতি দর্শনার্থীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখলাম। হঠাৎ বাজনা শুরু হলো। সাথে সাথে রাইডে জমে থাকা পানিতে সমুদ্রের ঢেউ খেলতে শুরু করলো। দেখে মনে হচ্ছিলো কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে আছি। সমুদ্রের বিশাল-বিশাল ঢেউ উড়ে এসে পা ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। শব্দ যন্ত্রে সমুদ্রের সেই শো শো শব্দও প্রচার করা হচ্ছিলো। সত্যি এ এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা।
একথা মানতেই হবে, ফয়’স লেক মানেই পুর্নাঙ্গ একটি ভ্রমণ প্যাকেজ সমৃদ্ধ বিনোদন কেন্দ্র। ভ্রমণ এবং ভ্রমণকে কেন্দ্র করে যাবতীয় অনুষঙ্গ রয়েছে এই বিনোদন কেন্দ্রে। যারা বেড়াতে এসে বিভিন্ন রাইড ব্যবহার করে বোটে ঘুরে ঘুরে লেকের সৌন্দর্য দেখতে চান। তাদের জন্য তো সকল সুযোগ-সুবিধাই অবারিত। আর যারা বেড়াতে এসে দুই একদিন থাকতেও চান এখানে তাদের জন্যও রয়েছে প্রয়োজনীয় আধুনিক ব্যবস্থা। অর্থাৎ বেড়াতে এসে কর্তৃপক্ষকে শুধু বলুন আপনার চাহিদার কথা। নিমিষেই সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেল বছরের সকল সময় জুড়ে ফয়’স লেক দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখর থাকে। তবে শীতকালটা হয়ে ওঠে আরও বেশি ব্যস্ত। ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ এবং ১লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের বিশেষ দিনগুলোতে ফয়’স লেকে জায়গা দেওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে।
Foy's-Lake-1ফেনী থেকে একটি পরিবার সেদিন ফয়’স লেকে বেড়াতে এসেছিল। এক প্রশ্নের জবাবে পরিবারের কর্তা জসীম উদ্দিন বললেন, আমি ফেনীতে থাকি। কিন্তু সময় পেলেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ফয়’স লেকে বেড়াতে আসি। এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত ভালো। বোটে বসে লেকে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে।
চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক কাজে এসেছিলেন ময়মনসিংহ এর ব্যবসায়ী সাজেদুর রহমান। প্রসঙ্গ তুলতেই বললেন, চট্টগ্রামে এলেই আমি ফয়’স লেকে আসি। এখানকার পরিবেশ আমার খুব ভালো লাগে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে ফয়’স লেকে বেড়াতে এসেছিলেন ৫ সদস্যের একটি পরিবার। স্বামী-স্ত্রী সাথে তিন সন্তান। বোটে করে লেকে ভ্রমণ করছিলো তারা। ছেলে-মেয়েরা খুব খুশি। ৯ বছরের আসমা বলল, আমি আগেও এখানে এসেছি। এখানকার রাইডগুলো অনেক আনন্দের। সব চেয়ে আনন্দের হলো বোটে করে লেকে ভ্রমণ।
একথা সত্য ফয়’স লেকের আনন্দ রাজ্যে একবার যিনি ঢুকবেন তিনি বার-বার আসতে চাইবেন। শীত তো এসেই গেল। সময় থাকতেই পরিকল্পনাটা সাজিয়ে ফেলুন। দিনে বেড়াতে এসে দিনেই চলে না গিয়ে এখানে এক রাত থাকার আনন্দও উপভোগ করতে পারেন অনায়াসে। ভাবুন তো একবার মনোরম লেকের ধারে আধুনিক মানের কটেজের রুমে রাত কাটানোর মজাটা কেমন হবে? রুমের বারান্দায় দাঁড়ালেই দেখতে পাবেন লেকের স্বচ্ছ জলের ঢেউ। চারপাশে বাতাসের কোমল স্পর্শ। দূর থেকে হয়তো ডাক শুনবেন নাম না জানা কোনো পাখির ডাক। আর যদি রাতটি হয় জোছনায় ভরা… চাঁদের ছায়া পড়েছে লেকের স্বচ্ছ জলেÑ আহ! কী অপরুপ! এমন সুযোগ কী কেউ কখনও হাত ছাড়া করে!
তো, আজই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন কবে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের ফয়’স লেকে।

সম্পর্কিত

বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিকমানের রাইডস্: সার্কাস টেন, ফ্যামিলি কোস্টার, কেরাওসাল, ফেরিস হুইল, রেড ড্রাই ¯øাইড, ইয়েলো ড্রাই ¯øাইড, বাম্পার কার, সার্কাস সুইং, প্যাডেল বোট, বাম্পার বোট, স্পীড বোট, সাম্পান, বিগ বোট, স্মল বোট, ওয়াটার বী, রেসিং বোট ও ভিডিও গেমস্।
বাম্পার বোট: নৌকায় নৌকায় ঠোকাঠুকি, পানিতে দোলা। তাই এর নাম বাম্পার বোট। নৌকায় নৌকায় ইচ্ছেমতো ধাক্কাধাক্কি করুন এই রাইডে চড়ে।
সার্কাস ট্রেন: কু-ঝিকঝিক, কু-ঝিকঝিক চলছে রেলগাড়ি। মজাদার ট্রেন ভ্রমণ-তাও আবার পাহাড় ঘেরা লেকের পাশে এমন অভিজ্ঞতা সত্যিই বিরল।
বেবি কেরাওসাল: ঘোড়ায় চড়া খুবই মজার। আর এই মজার ঘোড়াগুলি দেখতেও দারুণÑ লাল, নীল, সবুজ ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে ঘুরতে উপভোগ করুন ফয়’স লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
প্যাডেল বোট: বৈঠাবিহীন নৌকা, চালাতে হয় পা দিয়ে প্যাডেল করে। প্যাডেল করুন আর নৌকা নিয়ে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ান পানির উপর দিয়ে। পানির উপর দিয়ে সাইকেল চালানোর মতো অভিজ্ঞতা লাভ করুন।
Foy's-Lake-2ওয়াটার বী: মৌমাছির ব্যস্ততার কথা কে না জানে? আর এই ব্যস্ততাই যদি আপনার পছন্দের বিষয় হয়, তবে আপনার উপভোগ্য রাইডটি হবে এই ওয়াটার বী। দূরে আরো দূরেÑ পানির উপর দিয়ে দ্রæত ছুটে চলার আনন্দ উপভোগ করুন।
ভিডিও গেমস্: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেসিং কার চালান, বন্দুকের সঠিক নিশানায় যুদ্ধ করুন কিংবা রিং-এ উঠে রেসলিং করুন- সবই হবে অপনার ইচ্ছেমতো। আর এজন্য উপভোগ করুন জমজমাট ও শ্বাসরুদ্ধকর সব ভিডিও গেমস্ যা আপনাকে দেবে এক ভিন্নমাত্রার অনুভ‚তি।
ফ্যামিলি রোলার কোস্টার: রোমাঞ্চকর ভ্রমণ! পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপভোগ করুন এই ফ্যামিলি কোস্টার যেখানে প্রতিটি বাঁকে আপনি পাবেন নতুন রোমাঞ্চকর অনুভ‚তি যা আপনাকে দেবে শিহরিত আনন্দ।
ড্রাই ¯øাইড: টিউব নিয়ে রাইডটিতে উঠে পড়–ন। অনেক উঁচু থেকে উচ্ছল পানির সাথে সাথে আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে নেমে আসুন সুন্দর এই ধুরণীর বুকে। না, হাঁটা-হাঁটি নয়, এই রাইডটিই আপনাকে দেখিয়ে দেবে কিভাবে এই আনন্দ উপভোগ করতে হবে।
ফেরিস হুইল: আকাশ ছোঁযার ইচ্ছে কার না জাগে? এ রাইডটি আপনাকে নিয়ে যাবে সেখানে যেখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে আকাশের স্পর্শ, দেখা যাবে গোটা ফয়’স লেক এবং শহরের বিশাল অংশ।
বাম্পার কার: মজার এই রাইডটিতে উঠে পড়–ন আর মেতে উঠুন অন্যের গাড়িতে ধাক্কা মারার খেলায়। অন্যরাও আপনার গাড়িতে অনুরূপ ধাক্কা মারতে পিছপা হবে না। তাই নিয়ন্ত্রণ করুন শক্ত হাতে। আর হ্যাঁ, সিট বেল্ট বেঁধে নিতে অবশ্যই ভুলবেন না।
রাইড টিকেট: বাম্পার কার-১০০ টাকা, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার-৮০ টাকা, পাইরেট শীপ-৫০ টাকা, কফি কাপ-৫০ টাকা, রেড ড্রাই ¯øাইড-৫০ টাকা, ইয়েলো ড্রাই ¯øাইড-৫০ টাকা, ফেরিস হুইল-৮০ টাকা, পনি অ্যাডভেঞ্চার-৪০ টাকা, বেবি ড্রাগন-৪০ টাকা, বেবি কেরাওসাল-৪০ টাকা, কিডস্ বাম্পার কার-৪০ টাকা, সার্কাস ট্রেন-৪০ টাকা, সার্কাস স্যুইং-৪০ টাকা, দূরবীন-৩০ টাকা, অ্যাপোলো ফ্লাইট-৩০ টাকা, বড় বোট (ভিআইপি)-৯০০ টাকা, বড় বোট (১০ সিট রিজার্ভ)-৭০০ টাকা, স্পীড বোট (৪ সিট)-৪০০ টাকা, রোয়িং/ব্যাটারি বোট (২ সিট)-১৫০ টাকা, প্যাডেল বোট (৪ সিট)-২০০ টাকা, প্যাডেল বোট (২ সিট)-১৫০ টাকা, রেসিং বোট (২ সিট)-৫০ টাকা, ডাক/অ্যাংকর প্যাডেল বোট-২০০ টাকা, সাম্পান (৫ জন)-২৫০ টাকা, রিডেম্পশন গেমস্-৫০ টাকা।

রেগুলার ও প্যাকেজ টিকেট
প্রবেশ+১টি রাইড= ২৫০ (বড়দের)। শুধুমাত্র প্রবেশ= ১৫০ টাকা (ছোটদের)। প্রবেশ+৩টি রাইড (বোট ব্যতীত)= ৩০০ টাকা (বড়দের) ও ২০০ টাকা (ছোটদের)। প্রবেশ+সব রাইড (বাম্পার কার এবং বোট রাইডস্ ব্যতীত)+ পেপসি/আইসক্রীম= ৩৫০ টাকা (বড়দের) ও ২৫০ টাকা (ছোটদের)। প্রবেশ+সব রাইড (বোট ব্যতীত)+দুপুর/রাতের খাবার= ৫৫০ টাকা। প্রবেশ+লেক ক্রুজ+গ্রিল চিকেন= ৩৭০ টাকা।যোগাযোগের জন্যÑ চট্টগ্রাম অফিস: ফোন: ০৩১-২৫৬৬০৮০, মোবাইল: ০১৯৭৩ ১২০৬২৩, ০১৯৭৭ ৮৮৫৫০৮, ০১৯৭৩ ৩১৬৩০২, ০১৯৭৭ ৮৮৫৫০৪।
ঢাকা অফিস: ফোন: ৮৮৩৩৭৮৬, ৯৮৯৬৪৮২, মোবাইল: ০১৯১৩ ৫৩১৩৮১, ০১৯১৩ ৫৩১৫২৭।
মেম্বারশীপ কার্ড
স্টুডেন্ট/প্রিভিলেজ কার্ড- ২৫০০/১২০০/৭০০ টাকা (মেয়াদ- ১২/৬/৩ মাস)। গোল্ড কার্ড- ৬০০০/৩০০০/১৬০০ টাকা (মেয়াদ- ১২/৬/৩ মাস)। প্লাটিনাম কার্ড- ৬৫০০/৩৫০০/১৮০০ টাকা (মেয়াদ- ১২/৬/৩ মাস)। ফয়’স লেক রিসোর্ট কার্ড- ২৫০০০/১৪০০০ টাকা (মেয়াদ- ৬/৩ মাস)।
পার্কের সময়সূচী
শনিবার-বৃহস্পতিবার: সকাল ১০টা-রাত ৮টা। শুক্রবার/ছুটির দিন: সকাল ১০টা-রাত ৯টা।