Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

প্রেম পত্র পেয়েছি অনেক তবে দেওয়া হয়নি কাউকেই—পড়শী

মোহাম্মদ তারেক
আনন্দ আলো: আপনি কোন জায়গার পড়শী?
পড়শী: আমি গানের সাবরিনা পড়শী।
আনন্দ আলো: এত কাজ থাকতে গানে এলেন কেন?
পড়শী: বুঝে উঠার আগেই গানে ঢুকে গেছি তাই অন্য কাজে ঢোকার সুযোগ পাইনি।
আনন্দ আলো: জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় যে কাজটি…
পড়শী: ২০১০ সালে মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতাটির মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে আমি পরিচিতি পাই। এই প্রতিযোগিতাটি আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলতে পারেন।
আনন্দ আলো: জীবনে কার মতো হতে চেয়েছিলেন, আর কার মতো হয়েছেন?
পড়শী: পড়শীর মতো হতে চেয়েছিলাম, এবং পড়শীর মতো হয়েছি।
আনন্দ আলো: প্রথম অ্যালবাম…
পড়শী: ২০১০ সালের শেষের দিকে আমার প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল। নিজের নামেই অ্যালবামের নাম ছিল ‘পড়শী’। ১০টি গান দিয়ে সাজানো হয় অ্যালবামটি। এতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বাপ্পা মজুমদার, আরফিন রুমি, মাহমুদ সানি, অদিত ও সন্ধি।
আনন্দ আলো: রাস্তা দিয়ে হাঁটি যখন বোকার মতো চেয়ে থাকো। বলছি শোনো, সাহস নিয়ে সামনে এসে আমায় ডাকো’ এমন কথার গানটি গেয়ে রাস্তায় কাকে ডাকছেন?
পড়শী: সাধারণত দেখা যায় গানে ছেলেরা প্রপোজ করে মেয়েদের। এই গানে দেখানো হয়েছে মেয়েরাও ছেলেদের প্রপোজ করতে পারে। কাউকে ভালো লাগলে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার আগের যে অনুভ‚তি, সেটা নিয়েই এ গান। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন জুয়েল মোর্শেদ। ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক।
আনন্দ আলো: গান আগে না ভিডিও?
পড়শী: ভালো গানের সঙ্গে একটি ভালো মানের ভিডিও হলে সেই গানটি দ্রæত মানুষের কাছে পৌঁছায়। তা ছাড়া এই ভিডিও দেখার কারণে ব্যবসায়িক ভাবেও লাভবান হয় সবাই। তাই গানের ভিডিওটা খুব গুরুত্বপুর্ণ।
আনন্দ আলো: পড়শীর গানে মডেল পড়শী নিজেই…
পড়শী: গানের ভিডিওতে পারফরম করা মানে অভিনয় করাই। অভিনয়টা বেশ কষ্টের মনে হয় আমার কাছে। গানের ভিডিওতে মডেলিং করা যায় না, অভিনয়ই করতে হয়। অনেক রকম অভিব্যক্তি দিতে হয়। অভিনয়শিল্পীদের কী কষ্টটাই না করতে হয়।
আনন্দ আলো: গানের মানুষ হয়ে আপনাকে সিনেমায়ও অভিনয় করতে দেখা গেছে?
পড়শী: আমাকে অনেকেই বলেন, তুমি তো সিনেমায় অভিনয় করেছ। কিন্তু যারা ছবিটা দেখেছেন তারা জানেন, ছবিতে আমার কোনো সংলাপ ছিল না। শাকিব খানের সঙ্গে একটা গান করেছি মাত্র।
আনন্দ আলো: সামনে কী কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যাবে?
পড়শী: সেটা গল্প ও চরিত্রের উপর নির্ভর করবে। খুব বেশি মনের মতো না হলে আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করব না। আমি গানের মানুষ, গান নিয়ে থাকতে চাই।
আনন্দ আলো: গান ছাড়া যা ভালো করতে পারেন?
পড়শী: ভালো নাচতে পারি। ভালো রান্না বান্না করতে পারি। পোশাক ডিজাইন করতে পারি। মানুষকে ভালোবাসতে পারি।
আনন্দ আলো: আপনি নাকি ছবি আঁকতেও পটু…
পড়শী: হ্যাঁ। শুধু ছবি আঁকা নয়, স্কেচ করতেও আমি বেশ পটু। সময় পেলেই আঁকার খাতা নিয়ে বসে পড়ি।
আনন্দ আলো: ছবি আঁকা কেউ আপনাকে শিখিয়ে দেননি। তাহলে কীভাবে?
পড়শী: ইউটিউব দেখে ধীরে ধীরে শেখা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে শিখছি। এখন নিজের মতো করে এগুলো করতে পারি।
আনন্দ আলো: আরজেগিরি করতে কেমন লাগে?
পড়শী: খুবই ভালো লাগে। কারণ অনেক ধরনের মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যায়। মজার মজার ঘটনা ঘটে। অনেকেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ফোন করে দুঃখের কথা শোনায়। আমি তাদের বিভিন্ন ভাবে সান্ত¦না দেওয়ার চেষ্টা করি।
আনন্দ আলো: প্রেমপত্র…দিয়েছি বা পেয়েছি?
পড়শী: পেয়েছি অনেক। দেওয়া হয়নি।
আনন্দ আলো: ‘বর্ণমালা’ নিয়ে এখনো কী প্র্যাকটিস করছেন?
পড়শী: আমার গানের দলের নাম ‘বর্ণমালা’। দলের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছি। দেশ-বিদেশে শো করছি নিয়মিত।
আনন্দ আলো: দিনের যে মুহূর্তটি একা থাকতে ইচ্ছে করে…
পড়শী: আমি সবার মাঝে থাকতে পছন্দ করি। একা থাকতে একদম ভালো লাগে না।
আনন্দ আলো: ঘুম, খাওয়া, আড্ডা যে কাজটা বেশি উপভোগ করি…
পড়শী: আড্ডা। সকালের নাশতার টেবিলে পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডা দিতে দারুণ উপভোগ করি।
আনন্দ আলো: মানুষ দুই হাতে তালি বাজায় কেন?
পড়শী: মানুষের যে দুইটা হাত আছে, সেটাতো একটা কাজে লাগাতে হবে।
আনন্দ আলো: জীবনে বড় হতে হলে কী করতে হবে?
পড়শী: দড়ি দিয়ে লাফালাফি করতে হবে।