Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

চুলের যত্নে প্রতিদিন

চুল মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই আমাদের সবারই চুলের সঠিক যতœ নেয়া উচিত। চুল আমাদের ত্বকের অংশবিশেষ হিসেবেই রোদের তাপ, বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ ও ধুলা-ময়লার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাথার ত্বককে রক্ষা করে।
এখনকার সময়টা গরম আর বর্ষার। ভ্যাবসা গরম আর থেকে থেকে বৃষ্টিতে ভেজা- সবই যেন চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই তো এই সময়ে চাই চুলের আলাদা যতœ। চুলের যতেœ এই প্যাক, সেই প্যাক আরও কত কী ব্যবহার করছেন! নিয়মিত পরিচর্যা ছাড়া এসব হেয়ার ট্রিটমেন্ট কোনো কাজেই আসবে না। রুক্ষ, তেল তেলে স্বভাব সব মিলিয়ে স্ক্যাল্প এবং চুলের বারোটা বাজা আটকায় কার সাধ্য! উপায় একটাই। সঠিক যতœ এবং সাবধানতা।
শ্যাম্পু করুন সপ্তাহে তিন দিন: এ সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এতে মাথার ত্বক ঘামে, ফলে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। যা চুল ও মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এজন্য অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু প্রতিদিন শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে যায়। এই তেল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে চুল পরিষ্কার করার জন্য তিন দিন শ্যাম্পুই যথেষ্ট।
স্ক্যাল্পের চাই বিশেষ যতœ: চুলে শ্যাম্পু তো করাই হয়, কিন্তু অনেকেই এ সময় ভালোভাবে মাথার ত্বক পরিষ্কার করার বিষয়টি ভুলে যান। চুলের সমস্যার শুরু হয় মাথার ত্বক থেকেই। তাই মাথার ত্বক অর্থাৎ স্ক্যাল্পে পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলে শ্যাম্পু করার সময় স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বক ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
কন্ডিশনার ব্যবহার: চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। তা না হলে মৌসুমি আর্দ্রতায় ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যেতে বাধ্য। তাই শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার বাহ্যিক দূষণ থেকেও চুলকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
অবশ্যই তেল ব্যবহার করুন: চুলের রুক্ষ ভাব এবং প্যাকাশে ভাব দূর করার জন্য নারিকেল তেলের বিকল্প কিছুই নেই। তাই প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন চুলের তেলের ম্যাসাজ করুন। এতে করে চুলে পরিপূর্ণ পুষ্টির পাশাপাশি চুল হবে ঝরঝরা এবং মসৃণ। তাছাড়া চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও নারিকেল তেলের কোনো বিকল্প নেই। তবে বাজারের খোলা তেল ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এই তেল অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়ে থাকে। বোতলজাতের ব্র্যান্ডের কোম্পানির নারিকেল তেল ব্যবহার করা ভালো।
ভেজা চুল বাঁধবেন না: ভেজা চুল কখনই বেঁধে রাখবেন না। এতে খুব টাইট করে বা ভিজে চুল বেঁধে রাখলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়া, খুশকি ও চুলে গন্ধ হওয়ার মতো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্বাভাবিক চুলের যতœ
নিয়মিত চুলের যতœ নিলে চুলের মসৃণতা বজায় থাকে। সপ্তাহে একদিন তেল উষ্ণ গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন ১৫-২০ মিনিট। এরপর গরম পানিতে ভেজানো টাওয়েল ১৫-২০ মিনিট মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এরপর একটি ডিম, ২ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ আমলকীর রস, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল, জবা ফুলের রস/পেস্ট, সামান্য গরম পানি একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ২৫-৩০ মিনিট। এরপর পরিষ্কার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। পরে চায়ের লিকার, লেবুর রস ও আধা চামচ মধু মিশিয়ে পানিসহ এক মগ করুন। সেটি দিয়ে চুল ধয়ে ফেলুন এবং চুল মুছে নিন।
শুষ্ক চুলের যতœ
চুল শুষ্ক হলে একদিন পরপর অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে উষ্ণ গরম করে পুরো চুলে ও স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন ২০-২৫ মিনিট। এরপর গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে স্টিচ নিন। ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং কন্ডিশনার লাগান। শেষে চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যাদের চুল রুক্ষ, শুষ্ক ও লালচে তারা একটি জবাফুল বাটা, ২ চামচ মধু ও এক চামচ আমলকী বাটা, টক দই, ডিমের কুসুম, মেথিগুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো চুলে ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে রাখুন। তারপর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে ৪-৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন হালকাভাবে।
খুশকি
খুশকি কোনো রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। এটি স্ক্যাল্পের শুষ্ক চামড়া। যা সবারই কমবেশি হয়ে থাকে। চুল পড়া এবং খুশকি ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনের হয়ে থাকে। বসন্তে এ সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখুন। মেডিকেটেড শ্যাম্পু, মাইকোনাজোনযুক্ত লোশন, ক্ষেত্রবিশেষে স্টেরয়েড লোশন ব্যবহারে সম্পূর্ণ সেরে যায়। তবে খুশকি নিরাময়ের জন্য ঘরোয়া হারবাল পদ্ধতি অবলম্বন করাই ভালো।
চুলের যতœ ঘরে বসে করুন
চুল কি মাঝে মাঝে গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত? না। চুলে কখনো গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ডগা ফেটে যাবে। নষ্ট হবে চুলের সৌন্দর্য। তবে মাঝে মধ্যে চুলের ডগা ছেঁটে ফেলবেন।
চুলে কি নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়? হ্যাঁ। কেউ কেউ ভাবতে পারেন চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায় কি না। আপনি ইচ্ছে করলে প্রতিদিনই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। তবে শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে জেনে নিন সেটা আপনার জন্য উপযুক্ত কি না।
চুলে সুগন্ধি তেল মাখা কি ঠিক? না। চুলে সুগন্ধি তেল মাখলে তার রাসায়নিক উপাদান চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ঘন চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো কি ভালো? না। চুল আঁচড়ানোর জন্য সরু দাঁতের কিংবা ঘন চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে চুল ছাড়াও মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে কি চুলের ক্ষতি হয়? হ্যাঁ। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ হয় এবং চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। তবে সীমিত পরিমাণ হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত গরম যেন না হয়।
বারবার চুল আঁচড়ানো কি চুলের জন্য ভালো? না। বারবার চুল আঁচড়ালে অর্থাৎ চুলে বেশি চিরুনি চালালে তেলগ্রন্থির কার্যশীলতা বেড়ে গিয়ে মাথার ত্বকে তেল ছড়িয়ে পড়বে। ফলে চুল বেশি তৈলাক্ত হয়ে যাবে। তৈলাক্ত চুল কখনোই সুন্দর দেখায় না। তাছাড়া তৈলাক্ত চুলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া বারবার চুল আঁচড়ালে ত্বকের উপরস্ত আবরণে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে অবাঞ্ছিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে চুল একেবারে রুক্ষ হলে কিছুটা তেল তেলে ভাব আনার প্রয়োজন রয়েছে, তখন তেলগ্রন্থির সক্রিয়তা বাড়ানোর জন্য আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের ফাঁকে ফাঁকে ম্যাসাজ করতে হবে।
লম্বা চুল পেতে করণীয়
একগোছা লম্বা ও রেশমি চুল মানেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি। কিন্তু রুক্ষ আবহাওয়া, যতেœর অভাব এবং আরও নানা কারণে চুল লম্বা ও ঘন হয় না। মনে মনে অনেকেরই আশা থাকে লম্বা চুলের কিন্তু তা স্বপ্নই থেকে যায়। ‘লম্বা চুল কিন্তু খুব সামান্য যতেœই পাওয়া সম্ভব। একটু সচেতনতা এবং সামান্য যতেœর মাধ্যমেই বেশ দ্রæত পেতে পারেন ঘন ও লম্বা চুল’। চলুন জেনে নিই দ্রæত চুল লম্বা করার দারুণ পদ্ধতি-
১০০ মিলি ক্যাস্টর অয়েল, ৫ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল) ও ৩ টেবিল চামচ সিসেমি অয়েল (তিলের তেল) নিন। এবার সব তেল একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন যেন অনুপাতে বেশি-কম না হয়ে যায়। এরপর অল্প অল্প করে চুলের গোঁড়ায় ও পুরো মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন। ৩-৫ মিনিট আঙুলের ডগা দিয়ে পুরো মাথা ম্যাসেজ করে নিন ভালো করে। একটি পলিথিন বা শাওয়ার ক্যাপ মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন ৫ ঘণ্টা। চাইলে পুরো রাত রেখে দিতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন এই মিক্সড তেল। বেশ দ্রæত চুল বাড়বে।
ক্যাস্টর অয়েল চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার করা হয়। এটি চুলের ফলিকল মজবুত করে এবং দ্রæত চুল বাড়তে সহায়তা করে। সেই সাথে কাঠবাদামের তেল মাথার ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে চুলের গোঁড়ার ইনফেকশন জনিত সমস্যা থেকে রেহাই দিয়ে থাকে যার ফলে চুল বিনা বাধায় দ্রæত বাড়তে পারে।
সিসেমি অয়েল মাথার ত্বক স্টিমুলেট করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। সিসেমি অয়েল ম্যাসাজের ফলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুলের নানা সমস্যা দূরে রেখে চুলতে সঠিকভাবে বাড়তে সহায়তা করে থাকে।
চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
রুক্ষ চুল কারোই কাম্য নয়। নানা কারণেই হারাতে পারে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও কোমলতা। রুক্ষ চুল নষ্ট করে আমাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য। তাই নজর রাখতে হবে আপনারই অযতেœর কারণে চুল যেন রুক্ষ না হয়ে যায়।
আপনি কি সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন? চুলের ধরন জেনে তবেই শ্যাম্পু করা দরকার। ভুল শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনার চুল আরও বেশি রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
চুল নরম রাখার জন্য শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা খুব জরুরি। যদি আপনার মনে হয়, কন্ডিশনার আপনার চুলকে প্রচÐ তেলতেলে করে দিচ্ছে, তাহলে শ্যাম্পু করার আগে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
চুল ধোয়ার সময়ে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পু ব্যবহার করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। ঠান্ডা পানি যে শুধুমাত্র ত্বকের জন্যই উপকারী তাই নয়, চুলের জন্যও একইরকম উপকারী।
গোসল করে ভেজা চুল কখনো চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। কারণ গোসল করার পর চুলের গোড়া নরম হয়ে থাকে। তাই তখন একটু টানেই চুল ছিঁড়ে যেতে পারে।
ঝলমলে চুল পেতে চাইলে
ঝলমলে চুল পেতে কে না চায়। তাই ঝলমলে চুল পেতে চাইলে প্রথমেই চুলের জন্য উপযোগী একটি শ্যাম্পু নির্দিষ্ট করে নেবেন, তবে অবশ্যই যেন তা আপনার চুলকে কার্যকর ভাবে পরিষ্কার করে। চুলকে নরম, মসৃন ও ময়েশ্চারাইজ করে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। শ্যাম্পু করার পূর্বে সম্পূর্ণ চুল পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে, এরপর শ্যাম্পু দিতে হবে। ধীরে ধীরে শ্যাম্পু পুরো চুলে এবং মাথার ত্বকে মেখে নিয়ে। এরপর ভালো ভাবে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখবেন শ্যাম্পু যেন চুলে বা মাথার ত্বকে লেগে না থাকে। মাথার ত্বক পরিষ্কারের জন্য আঙ্গুল ব্যবহার করবেন, নখ নয়।
প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর একটি ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার আবশ্যক। কন্ডিশনার চুলকে ভেঙে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। চুলকে জটহীন, নরম, মসৃণ ও আকর্ষনিয় করে তুলতে কন্ডিশনার খুবই জরুরি। আপনার চুলের উপযোগী একটি কন্ডিশনার বেছে নিবেন। কন্ডিশনার না দিলে প্রাকৃতিক উপাদান দিবেন। কিন্তু দিবেন অবশ্যই।
কমপক্ষে তিন দিন পর পর চুল পরিষ্কার করতে হবে, তা না হলে ত্বকে ময়লা জমে খুশকি হতে পারে। চুল অতিরিক্ত ধোয়া ঠিক নয়, এতে মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরিত হয় ও চুল চিটচিটে করে তোলে।
প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করবেন। এর ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে, ত্বকের মৃত কোষ ও খুশকি দূর হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন। সম্ভব হলে নরম দাঁতের চিরুনি।
ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে চুলে একটি স্কার্ফ পেঁচিয়ে নিবেন। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি চুলের স্বাভাবিক রঙ ও উজ্জ্বলতা নষ্ট করে ফেলে। এটি আপনার চুলকে ধুলো ও ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।
চুলের ধরন তৈলাক্ত হলে, শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে খানিকটা লেবুর রস অথবা খানিকটা ভিনেগার মিশিয়ে পুরো চুল ধুয়ে ফেলবেন। চুল ঝলমলে ও উজ্জ্বল দেখাবে।
চুলের মলিনতা ও রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে একদিন চুলে উষ্ণ তেল ম্যাসাজ করবেন। এটি চুল ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে। নারকেল, জলপাই অথবা বাদাম তেল হালকা গরম করে আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথায় চক্রাকারে ম্যাসাজ করে। কয়েক ঘণ্টা অথবা পুরো রাত অপেক্ষা করে, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে সপ্তাহে এক দিন আপনার চুলের উপযোগী একটি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করবেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করবেন। আপনার চুলের সঠিক সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য এটি সর্বোচ্চ উত্তম উপায়।
যাদের সুইমিং পুলে সাঁতারের বা ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে, তারা নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করবেন। এক্ষেত্রে একটি হালকা শ্যাম্পু বেছে নিবেন যেন তা আপনার চুলকে কার্যকর ভাবে পরিষ্কার করে ও ময়েশ্চারাইজ করে। শ্যাম্পু করার পর একটি ভালো মানের হালকা কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।