সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
সময়টাই পিকনিক করার বন্ধু-বান্ধব,স্কুল, কলেজ, অফিসের লোকজন ব্যস্ত হয়ে যায় পিকনিক আয়োজন নিয়ে। পিকনিক স্পট এবং রিসোর্টে অগ্রিম বুকিং না দিলে নির্দিষ্ট দিনে খালি পাওয়া কঠিন । তবে তারও আগে কোথায় কোন স্পটে পিকনিক করলে কী সুবিধা পাওয়া যায়- সেটা জানা জরুরি। আনন্দ আলোর পাঠকদের জন্য কিছু পিকনিক স্পটের তথ্য তুল ধরা হলো। লিখেছেন সৈয়দ ইকবাল
রাজেন্দ্রপুরের ব্র্যাক বিসিডিএম
চারদিকে সবুজ বনরাজি এবং লেকভিউ সমৃদ্ধ গাজীপুরের ঐতিহাসিক ভাওয়াল বনাঞ্চল অধ্যুষিত রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল)-এর ব্র্যাক বিসিডিএম রিসোর্ট সপরিবারে বেড়িয়ে আসা, পিকনিক স্পট, বিয়ের অনুষ্ঠান করা কিংবা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের আউটিং ও মিটিংয়ের জন্য এক আদর্শ স্থান। মোট ১২ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ১৫৬ টি আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ ও অনেকগুলো বহুমাত্রিক সম্মেলন স্থান মিলে রিসোর্টটি সারাবিশ্বে ইতোমধ্যে নজর কেড়েছে। এই রিসোর্টে তিনটি সুবিশাল টাওয়ার ভবনে ছড়িয়ে রয়েছে ১৫৬টি কক্ষ যার মধ্যে ৫৬টি ডিলাক্স টুইন বেড, ৪৮ সুপার ডিলাক্স টুইন বেড, ৪৪ সুপার ডিলাক্স কুইন বেড এবং ৪টি করে জুনিয়র স্যুইটস প্রিমিয়াম স্যুইটস। রয়েছে ৪৮০ আসনবিশিষ্ট লেকভিউ অডিটরিয়াম, ২৫০ আসনের রাজকীয় ব্যাংকোয়েট হল, ৮টি কনফারেন্স ভেন্যু, এক্সিকিউটিভ মিটিং রুমসহ আনন্দদায়ক ভ্রমণের সব ব্যবস্থা।
রিসোর্টটির ভেতরে বিশাল বিশাল উম্মুক্ত স্থানে করতে পারেন বড় আয়োজনের পিকনিক। সেট বানিয়ে সুন্দরভাবে পরিপাাটি প্রোগ্রাম করার জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধাও রয়েছে রিসোর্টটিতে। এছাড়াও রিসোর্টটিতে আরো রয়েছে নানান সুবিধা। চারদিকে কাচের দেয়ালঘেরা পথ পেড়িয়ে দেখা মিলবে আধুনিক স্থাপত্যের নকশায় ছিমছাম কফিশপ, দোতলায় রয়েছে বারবিকিউ আউটলেট, ব্যাংকোয়েট হলের ঠিক ওপরে সুইমিং পুল, আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সাজানো পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক জিম। এখানে আরও রয়েছে যোগ ব্যায়ামের প্রয়োজনীয় উপকরণ, রিসোর্ট এলাকায় ফ্রি সাইক্লিং কিংবা নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি দিয়ে লেকের পানিতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ, খেলাধুলা এবং অন্যান্য রকমারি সুবিধা। একসঙ্গে পাঁচ হাজার লোকের সেবা প্রদানে সক্ষম এটি। এর সুবিশাল পার্কিং এলাকায় পঞ্চাশটি বাস রাখার ব্যবস্থার পাশাপাশি আন্ডারগ্রাউন্ডে ২০০টির বেশি গাড়ি রাখা যাবে। ব্র্যাক বিসিডিএম রাজেন্দ্রপুর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে www.bracservicesltd.com
বিসিডিএম সাভার
আশুলিয়া-বিরুলিয়া ব্রিজ পার হয়ে কিছুদূর এগুলেই দেখা মিলবে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা ব্র্যাক-এর আরেকটি রিসোর্ট ‘বিসিডিএম সাভার’। যেখানে প্রবেশ করতেই সুবিশাল পুকুর আপনাকে স্বাগত জানাবে। পুকুরের পাড়েই রয়েছে বিশাল বড় উম্মুক্ত মাঠ। মাঠের পাশেই রয়েছে বুফে খাবার পরিবেশন কিংবা বিয়ের মতো বড় বড় ইভেন্ট করার মতো স্টেজের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা। কেউ চাইলে এই মাঠটিকে পিকনিকের আমেজে সাজিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে জীবনের এই অধ্যায়টুকুকে রাঙাতে পারেন। পুকুরের আরেক প্রান্তে রয়েছে সুবিশাল একটি টাওয়ার। যার মধ্যে রয়েছে ১৭৪টি কক্ষ ও ২০টি কনফারেন্স ভেন্যু। আরেকটি ভবনে রয়েছে বেশকিছু কনফারেন্স ভেন্যুসহ আধুনিক ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা। আরো রয়েছে বারবিকিউসহ কফি শপের ব্যবস্থাও। সাভার বিসিডিএম-এর রুমগুলোর টাইপ হচ্ছে- স্ট্যান্ডার্ড, স্ট্যান্ডার্ড টুইন, ডিলাক্স টুইন, ডিলাক্স কুইন এবং জুনিয়র সুইট। আরো রয়েছে অডিটরিয়াম, বেনকুয়েট হল, কনফারেন্স হল, মিটিং রুম, রুফ টপ বারবিকিউ কর্ণার ও জিমসহ আরো নানান সুবিধা। শুধু পার্টি কিংবা আউটিং-ই না। আপনি জরুরি সভা, মিটিংসহ অফিসিয়াল নানান ধরনের কনফারেন্স এই রিসোর্টটিতে সেরে নিতে পারেন।
আরো জানতে ভিজিট করুন: www.bcdmsavar.com
দি প্যালেস
পাঁচ তারকা হোটেল বলতেই ইট পাথরের শহরের বিশাল অট্টালিকাকে বুঝালেও সিলেটের হবিগঞ্জে দি প্যালেস গড়ে উঠেছে প্রাকৃতিক পরিবেশে এবং প্রকৃতিকে বুকে ধারণ করে। আবাসনের জন্য এখানে রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় পাঁচ তারকাসুবিধা সমেত পাখিডাকা, ছায়াঢাকা ২৩টি ভিলা। স্থাপত্য শৈলীর অনুপম নিদর্শন রয়েছে প্রধান টাওয়ার বহুতল ভবনটির। এটিতে থাকার জন্য আছে ১০৭টি রুম। আর রুমগুলো সাজানো হয়েছে প্রসাদ বলতে যা বুঝায় তার সার্থকতা নিশ্চিত করতে যা প্রয়োজন তার সবদিয়ে। প্যালেসে রয়েছে চারটি বড় সভাকক্ষ, ৪শ’ জনের ব্যাংকুয়েট হল, ছোটদের খেলার জায়গা তিনটা, বিলিয়ার্ড, ফুটবল, বাস্কেটবল, ২টি টেনিস কোর্ট, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস এর সুবিধা, দুটি জিম, রিমোট কন্ট্রোল কার রেসিংয়ের ব্যবস্থা। দুটো সুইমিংপুল (১টি পুরুষ আর একটি মহিলা), একদিক থেকে জলধারা এসে পাহাড়ের গাঁ বেয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে, এটাকে নাকি বলে ইনফিনিটি পুল। এর চতুর্দিকে সবুজ ছন গাছগুলোও সিলেটের ঐতিহ্য। দুটো সিনেপ্লেক্স-এর মধ্যে ১টি থ্রিডি ও অন্যটি টুডি। স্থাপত্যশৈলীর দেখা মেলে দুটি ঝুলন্ত সেতুতে। মসজিদটিতেও রয়েছে নির্মাণশৈলী। দুটো নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকায় নেই কোনো ভোগান্তি। ‘হেলিকপ্টার নামার হেলিপ্যাড আছে তিনটা।
ওয়েবসাইট: www.thepalacelife.com, www.facebook.com/pages/The-Palace-Resort-Spa-Bangladesh/133359703407897
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, গাজীপুর
সরকারি পিকনিক স্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম গাজীপুরের এ ভাওয়াল উদ্যান। গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর থানা জুড়ে অবস্থিত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। খেলাধুলার জন্য রয়েছে বড় একটি মাঠ। তাছাড়া রয়েছে এখানে একটি চিড়িয়াখানা। পৃথিবীর অন্যান্য জাতীয় উদ্যানের আদলে ৬,৪৭৭ হেক্টর জমিতে ১৯৭৩ সালে এ উদ্যান সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের মূল উদ্ভিদ হলো শাল। এছাড়াও নানারকম গাছ-গাছালিতে পরিপূর্ণ এ উদ্যান। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বেশকয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র, ১৩টি কটেজ ও ৬টি রেস্ট হাউস রয়েছে। উদ্যানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৬ টাকা। এছাড়া পিকনিক স্পট ব্যবহার করতে হলে, বন বিভাগের মহাখালী কার্যালয় (০২-৮৮১৪৭০০) থেকে আগাম বুকিং দিয়ে আসতে হবে।
নুহাশ পল্লী
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ি ও শুটিং স্পট। প্রায় ৯০ বিঘা জায়গা নিয়ে এই নন্দন কাননে আছে একটি ছোট আকারের চিড়িয়াখানা, শান বাঁধানো ঘাটসহ একটি বিশাল পুকুর, দৃষ্টিনন্দন কটেজ, ট্রি হাউস বা গাছবাড়িসহ আরো অনেক আয়োজন। নুহাশ পল্লীর ভেতরের বিশেষ আকর্ষণ হলো- এর ঔষধি গাছের বাগান। এত সমৃদ্ধ ঔষধি বাগান এদেশে বিরল। সবমিলিয়ে নুহাশ পল্লী একটি ছবির মতো সাজানো-গোছানো এক প্রান্তর, যেখানে গেলে ভালো লাগবে সবার। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি এই তিনমাস বনভোজনের অনুমতি মেলে নুহাশ পল্লীতে। ভাড়া এবং অন্যান্য বিষয়ের জন্য যোগাযোগ :০১৭১২০৬০৯৭১
রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট গাজীপুর: গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত আরেকটি রিসোর্ট ও বনভোজন কেন্দ্র রাঙ্গামাটি। এখানে আছে বনভোজন কেন্দ্র, লেকে মাছ ধরা ও বেড়ানোর ব্যবস্থা এবং কটেজে অবকাশ যাপনের ব্যবস্থা। যোগাযোগ: ০১৮১১৪১৪০৭৪, www.rangamatiwaterfront.com
আফরিন পার্ক রিসোর্ট গাজীপুর: জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর-ময়মনসিংহ সড়কের পাশেই আফরিন পার্ক রিসোর্ট। নানান গাছ-গাছালিতে ঘেরা এ পার্কে আছে বিশাল শান বাঁধানো পুকুর, লেকে নৌকায় বেড়ানোর ব্যবস্থাসহ অবকাশ যাপনের জন্য রিসোর্ট। যোগাযোগ: ০১৮১৯২৫৩৩৩৯।
পুষ্পদাম পিকনিক স্পট গাজীপুর: ঢাকা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলার বাঘের বাজারে পুষ্পদাম অবস্থিত। এখানে বিশাল পরিসরে রয়েছে দেশি-বিদেশি বাহারি গাছের সমাহার। প্রবেশপথেই রয়েছে বিশাল দেবদারু গাছের সারি। এ পথ পেরিয়ে একটু ভেতরে ঢুকলেই রয়েছে ফুলে ফুলে ঘেরা কয়েকটি কটেজ। এখানে রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ, কৃত্রিম লেক, ঝরনা ও সুইমিংপুল। পর্যাপ্ত রান্নাঘর, টয়লেট ছাড়াও এখানে আছে একই সাথে এক হাজার লোকের খাবারের জায়গা। যোগাযোগ: ০১৮১৯২১৬১৫৭। pushpadumresort.com
ফ্যান্টাসি কিংডম, আশুলিয়া: আশুলিয়ার জামগড়ায় গড়ে উঠেছে বিশ্বের আধুনিক সব রাইড নিয়ে বিনোদনকেন্দ্র ফ্যান্টাসি কিংডম। পাশেই হেরিটেজ পার্কে আছে ঐতিহ্যের পরিপূর্ণ ভান্ডার। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর অনেকগুলোই চোখে পড়বে এখানে। এগুলো মূল স্থাপনার অবিকল আদলেই তৈরি করা হয়েছে হেরিটেজ পার্কে। এ জায়গা দুটিতে বনভোজন করার জন্য রয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। যোগাযোগ : ৭৭০১৯৪৪-৪৯।
মেঘনা ভিলেজ রিসোর্ট: নামের সঙ্গেই যেহেতু ‘ভিলেজ’ যুক্ত অতএব এই রিসোর্ট গ্রামের মতোই সবুজ শ্যামল হবে, এটাই স্বাভাবিক। আসলেও তাই। মেঘনা রিসোর্ট ভিলেজের অবস্থান মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায়। যা মেঘনা ব্রিজ থেকে এক কিলোমিটার দূরে। এখানে অবকাশ যাপনকারীদের জন্য রয়েছে থাকা-খাওয়া এবং বিনোদনের সব ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে এসি-ননএসি উভয় প্রকার কক্ষ। আর এখানকার প্রতিটি ঘর একটু ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা দেখতে অনেকটাই নেপালি কটেজের মতো। এখানে রয়েছে একটি বড় সবুজ মাঠ। যেখানে ইচ্ছে করলেই খেলাধুলায় মেতে ওঠা যায়। রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনসহ প্রচলিত বিভিন্ন খেলার সামগ্রী। megnavillage.webs.com
নন্দন পার্ক গাজীপুর: সাভারের অদূরে চন্দ্রার বাড়ই পাড়ায় রয়েছে নন্দন পার্ক। এখানকার ড্রাই জোন ও ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে মজাদার সব রাইড উপভোগের পাশাপাশি বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে। বনভোজনের জন্য বিভিন্নরকম প্যাকেজও আছে নন্দন পার্কে। যোগাযোগ: ৯৮৯০২৮৩।
হাসনাহেনা গাজীপুর: ঢাকার পাশেই গাজীপুর জেলার পুবাইল কলেজগেটে অবস্থিত একটি বেসরকারি বিনোদন পর্যটন কেন্দ্র ‘হাসনাহেনা’। টঙ্গী থেকে এর দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কিংবা অফিস বা সংগঠনের দিনব্যাপী পিকনিক বা বনভোজনে এখানে আসতে পারেন অনায়াসে। যোগাযোগ: হাসনাহেনা, হাড়িবাড়ীর টেক, পুবাইল কলেজগেট, পুবাইল গাজীপুর। ০১১৯৯৮৭৫৫৭৬, ০১৯১১৪৯৫১২৩, ০১৭১৪০০৩১০৩, ০১৭৩৬৬৭২৪০৮।
নক্ষত্রবাড়ি: জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজবাড়ি এলাকা গড়ে তুলেছেন আধুনিক এক রিসোর্ট। প্রায় ১০ বিঘা জমির উপর তৌকীর আহমেদ গড়ে তুলেছেন ‘নক্ষত্রবাড়ি’। এখানে নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের পাশাপাশি অবকাশ যাপনের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। রিসোর্টে আরো আছে একটি সাজানো গোছানো কনফারেন্স সেন্টার। সারা বছর পিকনিক করার পাশাপাশি সপরিবারে রাত্রি যাপনের জন্য সবধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ এখানে আছে কয়েকটি কটেজ। বিশাল দীঘি, দীঘিতে শান বাঁধানো ঘাট, কৃত্রিম ঝরনা, সুইমিং পুল. দোলনা, শালবন সবই আছে এখানে। nokkhottrobari.com
নীলিমা রিসোর্ট কক্সবাজার: কক্সবাজারে অনেকগুলো ভ্রমণ এবং বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি বেশ ভালো আর কয়েকটি মাঝারি মানের। ভালো কেন্দ্রগুলোর মধ্যে নীলিমা রিসোর্টের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি কক্সবাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। আগন্তুক তথা পর্যটকদের থাকা-খাওয়া এবং বিনোদনের সুবিধার্থে যা যা থাকা দরকার সবই রয়েছে সেখানে।
তেপান্তর পিকনিক স্পট ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে রয়েছে তেপান্তর পিকনিক স্পট। পিকনিক স্পটের সঙ্গেই রয়েছে একটি শুটিং স্পট। এখানে পিকনিকের আয়োজন করতে এসে দেখা হতে পারে আপনার পছন্দের কোনো তারকার সঙ্গে। ফোন-৮৩১৩৫২১।
রাসেল পার্ক নারায়ণগঞ্জ: ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রূপগঞ্জে রয়েছে মনোমুগ্ধকর এ পিকনিক স্পট। প্রায় ৩০ বিঘার মতো জায়গা জুড়ে এখানে রয়েছে সবুজের সমারোহ। রাসেল পার্কে রয়েছে তিনটি পিকনিক স্পট। এছাড়াও রাসেল পার্কের ভেতরেই রয়েছে ছোট একটি চিড়িয়াখানা। নানারকম পশুপাখি রয়েছে এ চিড়িয়াখানায়। যোগাযোগ: ০১৭১৫৪৬০৬৪।
ড্রিম হলিডে পার্ক, নরসিংদী: নরসিংদীতে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন কেন্দ্র ড্রিম হলিডে পার্ক। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী ফনিক্স গ্রæপ রাজধানী ঢাকা থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিনোদন কেন্দ্রটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এগারোটি রাইট। এদের মধ্যে ওয়াটার পার্ক, এয়ার বাই সাইকেল, ফাইটার বোট, সোয়ান বোট, হ্যাপী ক্যাসেল, ন্যাকেট ক্যাসেল, রর্কি হর্স, হ্যাপী ¯øাইট ও গ্রাউন সীট উল্লেখযোগ্য।
www.dreamholidayparkbd.com
পদ্মা রিসোর্ট লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ: এখানে আছে ১৬টি ডুপ্লেক্স কটেজ। প্রতিটি কটেজে আছে একটি বড় বেডরুম, দুটি সিঙ্গেল বেডরুম, একটি ড্রইংরুম। শীতে কটেজের চারপাশ রঙ-বেরঙের ফুলে ভরে ওঠে আর বর্ষায় পানির রাজ্য। রিসোর্টের উঠোনে ইজি চেয়ারে রাতের তারা গুনতে পারেন। দিনে পারেন দেশি নৌকায় পদ্মা বেড়াতে। রিসোর্ট রেস্টুরেন্টে টাটকা ইলিশ পাবেন। শাকসবজি, গরু, মুরগি আর হাঁসের মাংসও পাবেন। মৌসুমি ফলফলাদিও মিলবে। ঢাকা থেকে রিসোর্টে দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে রিসোর্টের নিজস্ব স্পিডবোট আছে। যোগাযোগ: ৮৬২৮৮৭৮,০১৭১২-১৭০৩৩০। padmaresort.net
সোনারগাঁও: ঢাকার কাছেই আরেক আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট হলো সোনারগাঁও। এখানকার লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের বিশাল চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। এখানে বনভোজনের পাশাপাশি দেখে আসতে পারেন বাংলার ঐতিহাসিক নানান স্মৃতি। এখানকার লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর, ঐতিহাসিক পানাম নগর, গোয়ালদী মসজিদ, গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের মাজার ছাড়াও আরো অনেক ঐতিহাসিক জায়গা দেখে আসতে পারেন।
গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুর: শেরপুর জেলা শহর থেকে চব্বিশ কিলোমিটার দূরে গারো পাহাড়ের পাদদেশে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমÐিত গজনীতে গড়ে তোলা হয়েছে অবকাশ কেন্দ্র । এটি ঝিনাইগাতি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনীতে অবস্থিত। যাবার পথে রাংটিয়া ছেড়ে কিছু দূর এগোলে দুপাশে গজারি গাছের ছাউনিতে ঢাকা কালো পিচঢালা পথটি সবার মন কাড়বে। এ পথ গিয়ে শেষ হয়েছে একটি হৃদের সামনে। পাহাড়ি ঝরনার জল আটকিয়ে এখানে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম হ্রদ। এর মাঝখানে আছে ছোট্ট একটি দ্বীপ। দ্বীপে যেতে হবে দোদুল্যমান ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে। লেকে নৌ-ভ্রমণের জন্য আছে পা চালিত নৌকাসহ ময়ূরপঙ্খী নাও। এখানে দূর পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাহাড় চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে যেদিকেই দৃষ্টি যাবে সবুজ আর সবুজ।
মাওয়া রিসোর্ট: ঢাকা থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার মাওয়া ১নং ফেরিঘাট হতে সামান্য দক্ষিণে মাওয়া-ভাগ্যকুল রাস্তার কান্দিপাড়া গ্রামে নির্মিত এ রিসোর্ট সেন্টারটি যেন প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যমÐিত একটি অন্য রকম পর্যটন কেন্দ্র।। দীঘিতে রয়েছে দুটি বাঁধানো পাকা ঘাট। দীঘিতে ঘুরে বেড়াতে রয়েছে আধুনিক বোট। দীঘির পার ধরে বাম দিকে এগিয়ে গিয়ে আবার ডানে গেলে হাতের বামে পড়বে একটি ক্যাফেটেরিয়া। পর্যটকদের চাহিদামতো খাবার পাওয়া যায় এ ক্যাফেটেরিয়ায়। পুকুরের পূর্ব প্রান্তে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে সারি সারি বেশ কয়েকটি কটেজ। পর্যটকদের থাকার জন্য মোট ১১টি কটেজ রয়েছে। ৫টি সিঙ্গেল ৪টি ডাবল ও একটি সুইট রয়েছে এখানে। তবে কটেজে যাবার সময় সাদা আর সবুজ রঙের কাঠের পুলটি পর্যটন কেন্দ্রটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পিকনিক ও ছবির শুটিং করার জন্যও এটি হতে পারে একটি অনন্য স্থান। www.mawaresort.com
রয়েল রিসোর্ট ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল: জমিদারবাড়িতে থাকতে চাইলে যেতে পারেন রয়েল রিসোর্টে। এটি আসলে নবাব নওয়াব আলীর প্রাসাদ। এখানে আছে এলিফ্যান্ট গেট, ৭০০ বছরের পুরনো মসজিদ ও রাবার বাগান। দিঘিতে ভাসতে পারবেন, ঘোড়া নিয়ে ছুট দিতে পারেন। নবাব প্যালেস, ভিলা, কটেজ এবং বাংলো- এ চার ধরনে থাকতে পারেন। যোগাযোগ: ৯১৩০৯০০, ০১৯১১৯৫৬৩৫৭, ০১৭৪৯৪১৯৯৪০। www.royalresortholidays.com

নাজিমগড় রিসোর্ট সিলেট: পাঁচ একর জায়গার ওপর নির্মিত রিসোর্টটি সব বয়সীদের জন্যই উপযোগী। পাহাড়ের ঢেউ দেখার দারুণ জায়গা এটি। ১৫টি কটেজ আছে এখানে। রেস্টুরেন্টে অনেক পদের খাবার পাবেন। রিসোর্টে আছে বিশাল এক বাগান, পিকনিক ও ক্যাম্পিং স্পট। ঘুরে আসতে পারবেন নুড়ি পাথরের রাজ্য জাফলংয়ে। সিলেট শহর থেকে রিসোর্ট বাসে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। যোগাযোগ: ০১৭১২০২৭৭২২, ০১৭১২৪৯৫৭৯১। www.nazimgarh.com
যমুনা রিসোর্ট: ঢাকা থেকে ৯৫ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইল থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছেই আধুনিক একটি অবকাশ কেন্দ্র যমুনা রিসোর্ট। রিসোর্টের পশ্চিম পাশে যমুনার তীর ঘেঁষে এখানে আছে সাজানো গোছানো বনভোজন কেন্দ্র। যমুনা রিসোর্টে বনভোজনে যেতে হলে আগে থেকে যোগাযোগ করতে হবে এই নম্বরে: ৮১৪২৯৭১-৩, ০১৭১১৮১৬৮০৭। www.jamunaresortbd.com
শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট: শ্রীমঙ্গল শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এ রিসোর্ট। চা বাগানের মাঝখানে এর অবস্থান। এখানে বাংলোর সংখ্যা ১০টি। বুকিং নিতে হবে কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে। যাঁরা প্রকৃতি ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এটি স্বর্গরাজ্য। সব ধরনের খাবার পাবেন, সঙ্গে পাহাড়ি খাবারও। যোগাযোগ: ০১৭১২৯১৬০০১, ০১৭১২০৭১৫০২।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ: শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের পাশে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে রাধানগর এলাকায় ১৪ একর উঁচু-নিচু টিলাভূমির ওপর এ রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে। এক্সার্শন অ্যান্ড রিসোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড বিলাসবহুল এ পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টটি নির্মাণ হয়েছে। বিশাল জায়গাজুড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা এই রিসোর্টে পাবেন আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা। www.grandsultanresort.com
ফয়েস লেক রিসোর্ট চট্টগ্রাম: ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি স্থান ফয়েস লেক। একটু অবসর পেলেই সেখানে ছুটে যান বিনোদনপ্রেমীরা। তাদের সেবায় ফয়েস লেক কর্তৃপ প্রদান করে থাকে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা। যেমনÑ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, রঙিন ক্যাবল টেলিভিশন, রেস্টুরেন্ট, ক্রেডিট কার্ড সুবিধা, টেলিফোন, এটাচ বাথরুম, রুম সার্ভিস, গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা, কেনাকাটা সুবিধা ইত্যাদি। ফয়েস লেকে সাধারণত বিনোদনের জন্যই যাওয়া হয়। তাই বিনোদনের জন্য যা দরকার তার প্রায় সবই রয়েছে সেখানে। যেমন সেখানে রয়েছে মজার মজার সব রাইড। এ রাইডে ছোট-বড় সবাই চড়তে পারেন। রয়েছে বার্বিকিউ নাইটস, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, লেকে নৌকা ভ্রমণ করার সুযোগ। এছাড়া প্রতিদিন স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় জমকালো সংগীতানুষ্ঠান তো থাকছেই। nilimaresorthotel.webs.com
মারমেইড রিসোর্ট, কক্সবাজার: হিমছড়ি আর ইনানী বিচের মাঝামাঝি প্যাঁচার দ্বীপে এর অবস্থান। রোমাঞ্চপ্রিয়রা কক্সবাজার থেকে সাগর ধরে হেঁটে গেলে ঘণ্টা দুইয়ের মধ্যে পৌঁছে যাবেন। কটেজসংখ্যা ১৯। থ্রি স্টার হোটেলের যাবতীয় সুবিধা আছে রিসোর্টটিতে। দুপুর বা রাতে সি-ফুড, ইউরোপীয়, ক্যারিবীয় ও দেশি ডিশ পাবেন। নাস্তায় পাবেন পরটা, সবজি, ডিম ও চা। যোগাযোগ: ০১৮৪১৪১৬৪৬৪-৯।
আরশিনগর হলিডে রিসোর্ট: ঢাকা থেকে মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের ভাওয়ালে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হলিডে রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট। ভাওয়ালের গ্রাম ও শালবনের মাঝে অসাধারণ প্রাকৃতিক আবহাওয়ায় আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে সাজানো আরশিনগর। যোগাযোগ: ৯৩৪৪৮৮৯, ৯৩৩৬৩৩২।