Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

একই ধরনের অভিনয় বারবার করতে চাই না

নাটক ও চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি ব্যস্ত রয়েছেন চলচ্চিত্রে। বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-

আনন্দ আলো: এখনকার ব্যস্ততা নিয়ে বলবেন-

মিলন: নাটক ও চলচ্চিত্র দুই পর্দাতেই ব্যস্ত রয়েছি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গল্প অবলম্বনে ‘মধ্যবর্তনী’ নামের একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি। রাজু খানের পরিচালনায় এ নাটকটি প্রচারিত হবে দীপ্ত টিভিতে। এছাড়া এনটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে ‘জলরং’, আরটিভিতে ‘অলসপুর’, এটিএন বাংলায় ‘শূন্যতা’।

আনন্দ আলো: আর চলচ্চিত্র?

মিলন: কিছুদিন আগে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। ওয়াজেদ আলী সুমনের নতুন একটি ছবিতে কাজের কথা চলছে। আরিফুর জামান আরিফ পরিচালিত ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিতে আমাকে একেবারেই ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে। যা এর আগে দর্শক আমাকে দেখেনি। এই প্রথম সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। শরৎচন্দ্রের উপন্যাস থেকে নির্মিত নাটক-চলচ্চিত্রগুলো আমার খুব পছন্দ। তার চারটি উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হতে যাচ্ছে। তার সৃষ্টি ‘দেবদাস’ ‘গওহর’ ও ‘শ্রীকান্ত’ বিখ্যাত সব চরিত্র। এর মধ্যে ‘দেবদাস’ কিংবা ‘গহর’ চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে। এ পর্যন্ত আমার অভিনীত ১১ চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে আরও কয়েকটি ছবি। এর মধ্যে ‘সাদাকালো প্রেম’, ‘নাইওর’, ‘আলতা বানু’, ‘টার্গেট’ ও ‘রাত্রীর যাত্রী’।

আনন্দ আলো: চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি কেমন নিচ্ছেন?

মিলন: এটি একটি নিরীক্ষাধর্মী কাজ। আমাদের দেশে এ ধরনের কাজ খুব একটা হয় না। যেহেতু গবেষণামূলক, এ জন্য প্রতিনিয়তই চরিত্র নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। অনেকটা কঠিন হলেও এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্র করতেই আমার ভালো লাগে। একই ধরনের অভিনয় বারবার করতে চাই না। নিজেকে ভাঙতে চাই। অভিনয়ে বৈচিত্র্য না থাকলে মনে হয় কিছুই হয়নি।

নারী দিবসে নারী নির্মাতাদের ৩ নাটক

নারীকে সবসময়ই বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি বা কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। এবার সেসব সংগ্রামী নারীদের গল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আরটিভিতে প্রচার ৩টি নাটক যার শিরোনাম ‘ প্রেরণায় নারীর গল্প’। আর নারীদের গল্পে এ নাটক ৩টি নির্মাণ করবেন ৩ জন নারী নির্মাতা। এ নাটকে চুক্তিবদ্ধ নির্মাতারা হলেন শ্রাবণী ফেরদৌস, মাতিয়া বানু শুকু ও চয়নিকা চৌধুরী। এ উপলক্ষে সম্প্রতি আরটিভি কার্যালয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। আরটিভির পক্ষ থেকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব, মার্কেটিং প্রধান সুদেব চন্দ্র ঘোষ, উপবার্তা প্রধান মামুনুর রহমান খান এবং প্রোগ্রাম এজিএম সৈয়দ সাবাব আলী আরজু। সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, নারী দিবসে নারী নির্মাতাদের নাটক কেন নয়? সেই ভাবনা থেকে আমরা ‘ প্রেরণায় নারীর গল্প’ শিরোনামে গল্প আহŸান করেছি। আর সেখান থেকে ৩ জন নারী নির্মাতাই তৈরি করবে ৩টি নাটক। প্রসঙ্গত, নাটক ৩টি ৮ মার্চ থেকে তিনদিন আরটিভিতে প্রচার করা হবে।

ধারাবাহিক সোনাভান

১৯৯০ সালে বগুড়া থিয়েটার মঞ্চে আনে নাটক ‘সোনাভানের পালা’। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন তৌফিক হাসান ময়না। সাড়া জাগানো সেই গল্পটিকেই ধারাবাহিকে রূপান্তর করে নাম রাখা হয়েছে ‘সোনাভান’। বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত এ নাটকটি এবার দেখা যাচ্ছে এটিএন বাংলার পর্দায়। ধারাবাহিকটি প্রতি রবি ও সোমবার, রাত ১১.৩০মি: প্রচার হবে। থিয়েটারকর্মী ও সংগঠক তৌফিক হাসান ময়নার মূল গল্প ভাবনায় নাটকটির কাহিনী বিন্যাস ও সংলাপ তৈরি করেছেন কাজী সুস্মিন আফসানা, পরিচালনা- এসএম শাহীন ও শহীদ মিঠু। এতে অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, আফরোজা বানু, মীর সাব্বির, ফারহানা মিলি, শারমিন জোহা শশী, অবিদ রেহান, সাঈদ বাবু, আহসানুল হক মিনু, কল্লোল চৌধুরী, মাহমুদা মেহেরুন্নবী মাহিন, বিধান কৃষ্ণ রায়, সিজুল ইসলাম, সবুজ চন্দ্র, মাহবুব সোবহানি, ফারুক হোসেন, আবু সাঈদ সিদ্দিকি, মির্জা আহসানুল হক দুলাল, মুনসুর রহমান তানসেন, শাজাহান আলী বাদশা, রফিকুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, সরণ, সামিউলসহ বগুড়ার বিভিন্ন থিয়েটারের নাট্যকর্মীরা।