Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

শিশুর হাতে অনেক বই!

সুবর্ন হক
কী চমৎকার দৃশ্য। শিশুদের হাতে হাতে বই তুলে দিচ্ছেন বাবা-মায়েরা। রঙিন মলাটে ঝলমলে রঙের বই পেয়ে শিশুরা খুব খুশি। কেউ কেউ মেলা মাঠেই জায়গা খুঁজে নিয়ে বই পড়তে শুরু করে দিল। যেন এক নিঃশ্বাসে বই পড়ে শেষ করে দিবে অনেকের এমনই হাবভাব। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বইমেলায় সকালের দিকটা ছিল শিশু প্রহর। সকাল ১১টায় মেলার প্রবেশ পথ খুলতে না খুলতেই অনেকে মেলায় ঢোকার জন্য বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। মেলার গেট খোলার সাথে সাথেই অপেক্ষমান ক্রেতা-দর্শক উপচে পড়া ¯্রােতের মতো মেলার উভয় অংশে ঢুকে পড়েন। তারপর শুরু হয় নতুন বইয়ের খোঁজে এই স্টল থেকে অন্য স্টলে দৌড় ঝাপ। গতকাল মেলায় যারা এসেছিলেন তাদের অনেকেই বই কিনছেন। প্রায় প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়নে উপচে পরা ভীড় ছিল। তাতে কী! ভীড় ঠেলে ভালো বইয়ের খোঁজ করেছে সবাই। প্রতিষ্ঠিত কবি লেখকদের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত তরুণ লেখকদের বইয়ের প্রতি এবার পাঠকদের আগ্রহ বেড়েছে। যাত্রাবাড়ির সালেহা বেগম এসেছিলেন বইমেলায়। তিন ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে এনেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ওপর কিছু বই কিনে দিয়েছেন ছেলে-মেয়েদেরকে। এবার মেলার পরিবেশ দেখে খুব খুশি সালেহা বেগম। বললেন, এবারের বইমেলা খুব সুন্দর। ‘বই ভিক্ষুক’ নামে কয়েকজন তরুণের সাথে দেখা হলো। গাজীপুর থেকে ওরা বইমেলায় এসেছিল। তাদের ইচ্ছে একটি লাইব্রেরী গড়ার। বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে বিনামূল্যে বই সংগ্রহ করার ইচ্ছে তাদের। কিন্তু ভীড়ের চাপে নিজেদের উদ্দেশ্যের কথা প্রকাশ করতে পারছিল না।
কেরানীগঞ্জ থেকে বইমেলায় এসেছিলেন আব্দুর রব শিকদার। তিনি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা বেশ কিছু বই কিনেছেন তিনি। বই গুলো প্রিয় ছাত্রদেরকে উপহার দিবেন বলে জানালেন।