Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ভালো পরিচালক ও প্রযোজক ছাড়া কিছুই হবে না!-শাবনূর

একসময়ের দাপুটে চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন চলচ্চিত্রে নিয়মিত নন। স্বামী, সন্তান আর সংসার নিয়ে যেন আটকে আছেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর পর তার অভিনীত ‘পাগল মানুষ’ নামের একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। নতুন ছবি মুক্তি উপলক্ষে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন শাবনূর। লিখেছেনÑ নাহিয়ান ইমন

প্রশ্ন: কেমন আছেন?

শাবনূর: আমি ভালো নেই। ঠাÐা লেগেছে, শরীর খারাপ। বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না, বাসা থেকে অনেক কষ্টে বের হয়েছি।

প্রশ্ন: ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আপনার অভিনীত ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর আবারো রুপালী পর্দায় আসছেন। কেমন লাগছে?

শাবনূর: দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই ছবির পরিচালক এম এম সরকার বেঁচে নেই। উনি আমার পাশে থাকলে ভালো লাগত। কারণ উনি আমাকে ভীষণ ভালোবাসতেন, মা বলে ডাকতেন। তবে একদিক থেকে ভালো লাগছে এই ভেবে যে, লম্বা সময় পর আবারো আমার ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এটা নিশ্চয় আমার জন্য আনন্দের বিষয়। আমার অনেক দর্শক রয়েছেন, যারা হলে গিয়ে ছবি দেখেন না। তাদেরকে বলছি, আপনারা হলে গিয়ে এই ছবিটি দেখুন।

প্রশ্ন: ‘পাগল মানুষ’ ছবিতে নতুন নায়ক শায়ের খানের সঙ্গে কাজ করে কেমন লেগেছে?

শাবনূর: ছেলেটা ফিল্মে একেবারেই নতুন। আমার সঙ্গে ছবি করবে বলে সেই সময়ে অনেক রিকুয়েস্ট করেছিল। সবদিক থেকে চিন্তা করে দেখেছিলাম যে, ওর সাথে কাজ করা যায়। শেষমেশ ভালোই হয়েছে কাজটি। কাজ করে মনে হয়েছে, সে বেশ পরিশ্রমী। নতুন হিসেবে কিছু ভুল ত্রæটি ছিল। শুধরে নিয়েছি।

প্রশ্ন: ‘পাগল মানুষ’ মুক্তি পেতে এত সময় লাগলো কেন? আপনি ঢাকা-অস্ট্রেলিয়া আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন সে জন্য?

শাবনূর: না না। পরিচালক যখন বেঁচে ছিলেন, তিনি আমার কাছে যখন সময় চেয়েছিলেন আমি দিয়েছিলাম। আসলে উনি মারা যাওয়ার কারণে ছবিটির মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এতগুলো বছর পর আবারো ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটাই বড় কথা। লম্বা সময় নেয়ায় ছবিতে কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আমি আমার কাজটি ঠিকভাবে করেছি।

প্রশ্ন: সিনেমা হলে গিয়ে এই ছবিটি দেখবেন?

শাবনূর: শরীর ভালো থাকলে অবশ্যই হলে গিয়ে ছবিটি দেখব। শুধু আমার ছবি নয়, অন্যান্য নায়ক-নায়িকাদের ছবিও আমি হলে গিয়ে দেখি। আর বড় স্ক্রিনে ছবি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।

প্রশ্ন: শোনা যায়, নতুনভাবে চলচ্চিত্রে ফেরার জন্য আপনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনার এই প্রস্তুতি শেষ হবে কবে?

শাবনূর: এখনই ছবি করার কথা ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক ভোগান্তি সহ্য করেছি। সেজন্য এখন আমার আর কাজে ফেরা হলো না।

প্রশ্ন: পরিচালনা এবং প্রযোজনায় আসবেন বলে শোনা গিয়েছিল…

শাবনূর: ইচ্ছে তো আছেই। শিগগির হচ্ছে না। তবে পরিচালনায় আসার ব্যাপারটি মাথায় রয়েছে। সময় হলে আরো কিছু জানাবো। তবে আরো বছরখানেক সময় লাগবে। এটা আমার অনেক দিনের ইচ্ছে। আর আমার ইচ্ছেগুলো দেরিতে হলেও পূরণ করার চেষ্টা করি। তাছাড়া আমার বাচ্চাটাও অনেক ছোট।

প্রশ্ন: আপনার সমসাময়িক মৌসুমী, পূর্ণিমা, পপির মতো নায়িকারা বড়পর্দা থেকে ছোট পর্দায় কাজ করছেন। আপনার এমন ইচ্ছে আছে কি না…

শাবনূর: ছোটপর্দা অনেক ভালো মিডিয়া। সেখানে কাজে খারাপের কিছু দেখি না। এখনো আমি এমন সিদ্ধান্ত নেইনি। কখনো ছোটপর্দায় কাজ করলে নিজের প্রডাকশন থেকেই করবো। সেটা পরিচালনা, প্রযোজনা করতে পারি। কিন্তু নিজে কাজ করার চিন্তা এখনো করিনি। তাছাড়া কেউ বড় স্থান থেকে ছোট স্থানে আসতে চায় না। আমিও তেমনটাই। তবে এই মাধ্যমে কাজকে খারাপের কিছু দেখি না। এখন আপাতত এই ইচ্ছে নেই। যদিও করি তবে শিল্পী নিয়ে নির্মাণ করবো।

প্রশ্ন: ২০১৮ সালটা চলচ্চিত্রের জন্য কেমন যাবে বলে আপনি মনে করেন?

শাবনূর: ভালো কাজ করলে রেজাল্ট ভালো পাওয়া যাবে। খারাপ করলে ফল খারাপ হবে। সেটা চলচ্চিত্র হোক আর যাই হোক। ভালো টিম ওয়ার্ক থাকলে ভালো ছবি নির্মাণ সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, চলচ্চিত্রের উন্নতির জন্য ভালো পরিচালক ও প্রযোজক দরকার। তারা ভালো হলেই শিল্পীর কাছ থেকে ভালো কাজ আদায় হবে।

প্রশ্ন: নতুন বছরে আপনার পরিকল্পনা?

শাবনূর: আমার মা দেশে নেই। অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন। উনি দেশে ফিরলে বাকি চিন্তা। এর আগে কোনো প্ল্যানিং নেই।