Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

কী চমৎকার হাতিরঝিল!

মোহাম্মদ তারেক

ইট, পাথর ও কংক্রিটের এই ব্যস্ত শহরে মানুষের জীবনযাত্রাটাও কেমন যেন একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে। ছোট একটু বাসা, এক চিলতে ছাদ, ছোট একটা ঝুল বারান্দা- এ যেন এক অলীক কল্পনা মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য। অন্যদিকে বিশ্রাম ও অবকাশ  যাপনের জন্য নিরাপদ কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা তো চিন্তাই করা দায়। আমাদের এই ঘনবসতি পূর্ণ ঢাকা শহরে সেই জায়গাটাই বা কোথায়? চারিদিকে বড় বড় বিল্ডিং, অ্যাপার্টমেন্ট, এখানে সেখানে শপিংমল, শব্দ দূষণ, বায়ূ দূষণের মধ্যে কোথায় যাব? হ্যাঁ, যাবার একটা জায়গা তৈরি হয়েছে। নগরবাসীর বিনোদনের জন্য এ এক অনন্য নাম হাতিরঝিল। ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি নগরবাসীর জন্য অনিন্দ্য সুন্দর এই বিশাল স্থাপনা উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। ঢাকা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এই মনোরম স্থানটির চারপাশের এলাকাগুলো হলো তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, নিকেতন, মগবাজার। তার মানে আপনি ঢাকা শহরের যেই প্রান্তেরই বাসিন্দা হন না কেন, আপনার জন্য হাতিরঝিল আসাটা একদম-ই সহজ। হাতিরঝিল যে শুধু এর আশপাশের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধা করে দিয়েছে তা নয়, রাজধানী ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও আমুল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। মূলত পূর্ব ও পশ্চিম ঢাকাকে এক করে ঢাকা শহরের রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম কমানোর উদ্দেশে তৈরি করা এ স্থাপনায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে রক্ষা করার দিকে জোর দেয়া হয়। পরবর্তীতে এটি নগরবাসীর বিনোদনে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে। ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরে উঁচু উঁচু দেয়ালের ভিড়ে স্বস্তির শ্বাস নেয়াটা যেখানে দুষ্কর সেখানে খোলা হাওয়া মনোরম পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ সত্যিই এক বিরাট পাওয়া।

হাতিরঝিলকে দেখতে যেন মনে হয়, ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতো। পুরো শহর থেকে আলাদা জ্যামহীন, পরিচ্ছন্ন ফুটপাত, আধুনিক ব্রিজ, লেকের চারধার ঘিরে প্রশস্ত হাঁটার রাস্তা আমাদের যেন ভুলিয়ে দেয় যানজটের বিরক্তিকর সেই ঢাকাকে। যেই ঢাকা আমরা প্রতিদিন দেখে অভ্যস্ত। ধনকের মতো আঁকা বাঁকা বিশাল লেককে কেন্দ্র করে ১৬ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে এই স্থাপনায়। যেখানে চারটা বড় ও চারটা ছোট ব্রিজ এবং পথচারীদের জন্য রয়েছে অসংখ্য বসবার বেঞ্চ। হাতিরঝিল পুরোটাই যেন সবুজ দিয়ে ঘেরা। ব্রিজগুলোর গায়ের সবুজ গুলœু চার পাশের গাছ, লেক আর প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ বাতাস, পুরো প্রজেক্টের নয়নাভিরাম দৃশ্যÑ সব মিলিয়ে হাতিরঝিল আপনাকে এবং আপনার প্রিয়জনদের দেবে নির্মল আনন্দ।

এতো গেল দিনের সৌন্দর্যের কথা। এবার আসি হাতিরঝিলের রাতের রূপের বর্ণনায়। ৩০২ একরের হাতিরঝিল রাতে যেন সেজে উঠে এক অপরূপ সাজে। এক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয় এখানে। প্রতিটি ব্রিজের চোখ ধাঁধানো আলোর সৌন্দর্যের বর্ণনা দেয়াটা খুবই কঠিন। চোখে না দেখলে যেন এর সৌন্দর্য বোঝা যাবে না। দিনের চেয়ে রাতে হাতিরঝিল বেশি মুখর হয়ে উঠে দর্শনার্থীদের পদচারণায়। প্রশস্ত ব্রিজে কিংবা ছোট ব্রিজের উপরে অথবা লেকের পাড়ে বেঞ্চগুলোতে যেখানেই বসুন না কেন, পুরো হাতিরঝিল আপনার কাছে মনে হবে স্বর্গীয় কোনো স্থান। শুধু ঘোরাফেরা নয়, সাইক্লিংয়ের জন্যও হাতিরঝিল খুবই ভালো জায়গা। জ্যামমুক্ত এলাকায় আপনি একটু সাইক্লিং করে নিতে পারেন। দিন কিংবা রাত দুই সময়েই হাতিরঝিলের আবেদন অন্যরকম। আপনার প্রাত ভ্রমণ কিংবা সান্ধ্য ভ্রমণের জন্যেও এটি উপযুক্ত স্থান। নিরিবিলি পরিবেশে লেকের পাড় ঘেসে আপনার হাঁটার কাজটি আপনি সেরে নিতে পারেন প্রতিদিন। নিরব, শান্তিপূর্ণ এবং একই সঙ্গে সুন্দর জায়গার বড় অভাব এই ঢাকা শহরে। সেই ক্ষেত্রে হাতিরঝিল একদমই ব্যতিক্রম জায়গা। শুধু ঢাকাই নয়, হাতিরঝিলের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন আসে প্রতিদিন। নগরবাসীর দাবি, এর মতো আরো অনেক জায়গা তৈরি করা উচিত ঢাকা শহরে। যাতে করে নগর জীবন আরও একটু শান্তি ও স্বস্তি পায়।

হাতিরঝিলের কাজ এখনও পুরোপুরিভাবে শেষ হয়নি। পুরো কাজটি তদারকি করছে বাংলাদেশ আর্মি এবং স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন। থিয়েটার, পার্ক, বাগানসহ আরও অনেক প্রজেক্টের কাজ এখনও বাকি আছে। লেকের মগবাজারের দিকটাতে একটি ওয়াটার প্লাটফর্ম করার প্লান আছে কর্তৃপক্ষের। যেখানে উঠে পুরো লেক ঘোরা যাবে। লেকে ওয়ারট্যাক্সি চলাচলের জন্য গুলশান-২ পর্যন্ত রাস্তাটা বর্ধিত করা হবে। লেকের বাড্ডা-পশ্চিম রামপুরার দিকটাতে একটি ইকো সেন্টার হবে যেখানে বিভিন্ন রকমের প্রাণী ও উদ্ভিদের সমারোহ থাকবে। ধারণা করা যায় পুরো পরিকল্পনাগুলো যদি বাস্তবায়িত হয় তবে হাতিরঝিল হয়ে উঠবে রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় এলাকা।

সূরের দোলায় আলোর ফোয়ারা

Waterখোলা আকাশের নিচে মুক্ত হাওয়ার পাশাপাশি হাতিরঝিলে যোগ হয়েছে রঙ বেরঙের আলোর সঙ্গে পানির ফোয়ারা। মিউজিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে থাকে এসব ফোয়ারাগুলো। সঙ্গে চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলকানি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউণ্টেইন। এর ফোয়ারার পানি ১০ মিটার থেকে ৮০ মিটার পর্যন্ত ওপরে উঠতে পারে। মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউণ্টেইন এবং অ্যাম্পিথিয়েটারের বাড়তি বিনোদন উপভোগ করার সুযোগ মিলে বিভিন্ন উৎসবে। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা এবং রাত সাড়ে ৯টা ১৫ মিনিটের জন্য চালু করা হয় এ বর্ণিল ফোয়ারা। ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রীক ও রোমান সভ্যতার আদলে অ্যাম্পিথিয়েটার ও ওয়াটার ফাউণ্টেন নির্মাণ করা হয়েছে। এই অ্যাম্পিথিয়েটারে এক সঙ্গে দুই হাজার দর্শক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। এটি দেখতে পানির ওপর পাপড়ি মেলে থাকা ফুলের মতো। এ উম্মুক্ত থিয়েটারটি রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি নগরবাসীর সাংস্কৃতিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। আর বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বছরব্যাপী ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে ওয়াটার ফাউন্টেন। হাতিরঝিলের আশে পাশের গুলশান, পুলিশ প্লাজা, মেরুল বাড্ডা, মধুবাগ ও মহানগর প্রজেক্ট এলাকা থেকে দেখা যায় ১ হাজার ৯৮০ বর্গমিটারের এ রঙিন ফোয়ারা। হাতিরঝিলের গুলশান আড়ং ও পুলিশ প্লাজার মাঝামাঝি অংশে গোলাকার উম্মুক্ত মঞ্চে অ্যাম্পিথিয়েটার থেকেও তা উপভোগ করতে পারছেন দর্শনার্থীরা।

Busহাতিরঝিলের চারপাশের মানুষের জন্য আছে চক্রাকার বাস সার্ভিস। এসব বাস ঢাকার অন্যান্য সব সাধারণ বাসের থেকে একটু আলাদা ভেতরের আসন বিন্যাসের জন্য। ৩২-৪৬ আসন বিশিষ্ট বাসগুলোর ভিতরটা এমন ভাবে রয়েছে যাতে আসন গ্রহণকারী সবাই মুখোমুখি বসতে পারে। অনেকটা বাইরের দেশের মেট্রোরেলের আসন বিন্যাসের মতো।

হাতিরঝিলে সর্বমোট ১৪টি বাস চালু রয়েছে। এই বাসের সার্ভিস চালু থাকে সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। বাসযাত্রা শুরু হয় কাওরান বাজারের এফডিসি থেকে এবং রামপুরা, বনশ্রী হয়ে শুরুর স্থানেই শেষ হয়। সারাদিন চক্রাকারে চলতে থাকে বাস সার্ভিস। হাতিরঝিলে ৭/৮টি স্টপেজ রয়েছে। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা। হাতিরঝিলের এক মাথা হতে আরেক মাথায় যাওয়ার জন্য আপনার লাগবে মাত্র ২০ টাকা। আর পুরো হাতিরঝিল ঘুরে আসতে লাগবে মাত্র ৩০টাকা। এই চক্রাকার বাস সার্ভিস শুধু বিনোদনের উদ্দেশে আসা মানুষদেরই নয় বরং চাকরিজীবী ও অন্যান্য পেশার মানুষদেরও ভ্রমণ যাত্রা সহজ করে দিয়েছে। সকালে এবং সন্ধ্যার পরে বাসের এসব জন্য উপচে পড়া মানুষের লাইন দেখা যায়।

হাতিরঝিলে নৌকা ভ্রমণ

HAtirjhel-1যান্ত্রিক ঢাকার মাঝে যেন এক অন্য ঢাকা হাতিরঝিল। একপাশে সবুজ, অন্যদিকে হাতিরঝিলের টলটলে পানির বুকে ছুটে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ওয়াটার ট্যাক্সি। এটি যেমন দিচ্ছে মনোরম এক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, তেমনি যানজনহীন গুলশান থেকে কাওরান বাজারের দূরত্ব অতিক্রম করা যাচ্ছে সহজেই। হাতিরঝিলে এখন সর্বমোট ১০টি ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস চালু রয়েছে। দুই ধরনের ওয়াটার ট্যাক্সির যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা ৩০ ও ৪১ জন। নিয়মিত যাত্রীদের সঙ্গে প্রতিদিন বেড়াতে আসে ট্যুরিস্টও। হাতিরঝিল লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস সকাল ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলাচল করে। ওয়াটার ট্যাক্সিতে একসঙ্গে ৪২ জন যাত্রী চড়তে পারেন। এফডিসি টার্মিনাল থেকে গুলশান টার্মিনালে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট। এরচেয়েও ৫ মিনিট কমে ট্যাক্সি পৌঁছে যায় রামপুরা টার্মিনালে। এফডিসি থেকে রামপুরা টার্মিনাল পর্যন্ত ভাড়া ২৫ টাকা ও গুলশান গোদারাঘাট পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা। ওয়াটার ট্যাক্সির ভেতরে একটি মিনি ক্যান্টিন রয়েছে। যাত্রীরা ওখান থেকে বিস্কুট, কেক, কোমল পানীয় ও হালকা খাবার কিনে খেতে পারেন। আপনি যদি সপরিবারে ওয়াটার ট্যাক্সি রিজার্ভ করে পুরো হাতিরঝিল ঘুরতে চান তাহলে ঘণ্টায় খরচ পড়বে ৫ হাজার টাকা। ৪টি টিকিট কাউন্টার রয়েছে। ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিসের পাশাপাশি রয়েছে প্যাডেল বোট সার্ভিস। বোটে সর্বোচ্চ ৪ জন উঠতে পারবেন। ৩০ মিনিটের জন্য ভাড়া লাগবে ১৫০ টাকা আর ১ ঘণ্টার জন্য লাগবে ২৫০ টাকা। হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি চালুর ফলে বাড্ডা, গুলশান, রামপুরা, খিলগাঁওসহ নগরীর পূর্বাংশের মানুষ কাওরান বাজার, মগবাজার, দিলু রোড, ইস্কাটন, বাংলামোটর, তেজগাঁওয়ের যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ সার্ভিস বারিধারা লেক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলে জানালেন কর্তৃপক্ষ।

কী কী দেখবেন

HAtirjhel-2তেজগাঁও হয়ে হাতিরঝিলে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে ছবির মতো সুন্দর পরিবেশের হাতিরঝিল। হাতের ডান দিকে সারি সারি ফুলের গাছ, বসার বেঞ্চ, ওভারপাসগুলো আপনাকে স্বাগত জানাবে হাতিরঝিলকে আরেকটু ভালো করে দেখতে। আপনি চাইলে দ্বিতীয় ব্রিজে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারেন হাতিরঝিলের সৌন্দর্য। তবে তৃতীয় ব্রিজ থেকে পশ্চিমে তাকালে চোখে পড়বে প্রথম ব্রিজ, পূর্বে তৃতীয় ব্রিজের দৃশ্যসহ ছোট ছোট ব্রিজগুলোর সৌন্দর্য। তবে তৃতীয় ব্রিজ থেকেই আপনি খুব সহজেই দেখে নিতে পারবেন পুরো হাতিরঝিল। পশ্চিমে দ্বিতীয় ব্রিজ, আর পূর্বে রামপুরার অংশের চতুর্থ ব্রিজটির দৃশ্য। দিনের সময়টা বাদ দিয়ে সন্ধ্যা বা রাতে যদি হাতিরঝিলে তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ব্রিজগুলোর আলোর খেলা আপনাকে দিবে অনাবিল আনন্দ। আর যদি পরিবার সঙ্গে থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আনন্দের মাত্রাটা বেড়ে যাবে দ্বিগুণ। আর সবশেষে রামপুরার ব্রিজটাতো রইলোই। আর যদি একটু উপর থেকে হাতিরঝিলকে দেখতে চান, তবে ছোট ছোট ব্রিজগুলোতে চলে যেতে পারেন। বড় ব্রিজগুলোর ভিড়ই যে শুধু এড়ানো যাবে তাই নয়, ওখানে লেকের বাতাস যেমন আপনার শরীর জুড়াবে, তেমনি এর সৌন্দর্যে জুড়িয়ে যাবে আপনার চোখ আর মন।

কী খাবেন

যেহেতু হাতিরঝিল পুরো প্রজেক্টটাই ওয়ানওয়ে, সুতরাং আপনি তেজগাঁও, গুলশান, রামপুরা বা মগবাজার যেই পাশ দিয়েই প্রবেশ করেন না কেন আপনাকে পুরো হাতিরঝিলই ঘুরতে হবে। এত ঘোরাঘুরিতে না হয় আপনার মন ভরলো কিন্তু ঘুরতে ঘুরতেই যদি ক্ষিদে লেগে যায় তাহলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। পুরো স্থাপনাতেই কিছুক্ষণ পর পর পেয়ে যাবেন বেশ কিছু রেস্তোরাঁ। সেখানে ফুসকা, চটপটি, চিকেন গ্রিল, কাবাব, নান, নুডলস, চিকেন ফ্রাই, চিকেন স্টিক, বীফ চাপ, দই ফুসকা, হট কফি, ফ্লোড কফি, জুস, লাচ্ছিসহ পাবেন আপনার পছন্দের খাবার। হাতিরঝিলের মতো এত সুন্দর জায়গায় এই খাবারগুলো আপনার পছন্দই হবে। তবে এর জন্য আপনাকে হয়তোবা একটু চড়া দাম গুনতে হতে পারে। এই ব্যস্ত জীবনে হয়তো সময় বের করা খুবই মুশকিল। তবুও একটু সময় নিয়ে ঘুরে আসুন না হাতিরঝিলে আপনার প্রিয়জনকে নিয়ে। দেখবেন ভালো লাগবে।

মডেল: অভি, কেয়া, ইরফান, ওড়নি ও জান্নাত কেয়া