Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগ্রহ সৃষ্টিতে কাজ করছি

রিয়াদ আলী,পরিচালক এফবিসিসিআই, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইন্ট্রাকো গ্রæপ

রিয়াদ আলী বয়সে তরুণ উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব। ইন্ট্রাকো গ্রæপ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে তিনি একাধারে ইন্ট্রাকো সিএনজি লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রিফিলিং স্টেশন লিমিটেড, ইন্ট্রাকো লিমিটেড এগ্রো বিজনেস, ইন্ট্রাকো সিলিন্ডার রি টেস্ট সেন্টার, ইন্ট্রাকো এলপিজি লিমিটেড, ইন্ট্রাকো এলপিজি অটো গাস স্টেশন, ইন্ট্রাকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড, ডেজ হোটেল ঢাকা, প্রজাপতি পার্ক বাংলাদেশ লি, ইন্ট্রাকো কনভেনশন হল, ইন্ট্রাকো ডেভেলপার্স লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রেডি মিক্স লিমিটেড, ইন্ট্রাকো তেল ট্যাঙ্কার জাহাজ, ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড, ইন্ট্রাকো প্রোপার্টিজ লিমিটেড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া হোটেল আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম, সোনালি জীবন বীমা কোম্পানি লিমিটেড, জেনেটিক বিডি লিমিটেড এবং মদিনা ইনডেন্টিং-এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইতালি-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ফেডারেশন এফবিসিসিআই, ইন্দোনেশিয়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন-এর পরিচালক হিসেবেও সফলভাবে কাজ করছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন মাদার তেরেসা স্বর্ণ পুরস্কার ২০১২, মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার, ২০১১ এবং অতিশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক ১৯৯৯। সম্প্রতি এই তরুণ উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজু আলীম।

আনন্দ আলো: আপনি এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেই সঙ্গে ইন্ট্রাকো গ্রæপ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নে মহাসড়কে অবস্থান করছে- আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই?

রিয়াদ আলী: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি জানেন, এফবিসিসিআই  বিজনেসের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ভূমিকা পালন করে আসছে। যেমন- এবার বাজেটেই দেখছেন, আসলে আমরা চেষ্টা করি বিজনেস হাউজগুলোতে সব সেক্টরে টেক্সটাইল, টেলিকমসহ সব ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা চেষ্টা করি কীভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা যায়। এই হিসেবে এবারের বাজেট কিন্তু অনেক চ্যালেঞ্জের। এই ক্ষেত্রে এফবিসিসিআই কিন্তু ভালো ভূমিকা রেখেছে। একটা উদাহরণ দিতে চাই- বাংলাদেশের সোলার ইন্ডাস্ট্রি- ৪০ মিলিয়ন সোলার কনসিসটেন্স বাংলাদেশে কিন্তু আছে। যা বিশে^  একটিমাত্র দেশ বাংলাদেশ যে হাইয়েস্ট সোলার হোম সিস্টেম উই হ্যাভ অ্যাচিভড ইন রুরাল সিটিজ অলসো ইন এপার্টমেন্ট বিল্ডিংস এভরিহোয়ার।

আনন্দ আলো: এনার্জি সেভিংসের ক্ষেত্রে এটি তো অনন্য ভূমিকা রাখে?

রিয়াদ আলী: ঠিক তাই। অসম্ভব ভূমিকা রাখছে। ইভেন আমি আসবো রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেখানেও কি হচ্ছে সোলার নিয়ে। এবারের বাজেটে দেখলাম ৫ শতাংশ ডিউটি রিনিউঅ্যাবেল এনার্জির ক্ষেত্রেও আরোপ করা হয়েছিল। এর ফলে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছিল। এর কারণ সোলার খুব অল্প সংখ্যক মানুষ ইম্পোর্ট করে। এই কারণে অনেক ফাইট করে এই ৫ শতাংশ ডিউটি রিমুভ করে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।

আনন্দ আলো: এখন তো ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণে টেলিকমিউনিকেশন ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। আপনি এই বিষয়ে কি বলতে চান?

রিয়াদ আলী: ইট ইজ ভেরি ভাস্ট ইম্পট্যান্ট। এখন আমাদের হোটেলগুলোতে বিশেষ করে ফাইভ স্টার হোটেলগুলো বা চেইন হোটেলগুলোতে মানুষ- হোয়েন দে কাম ওয়ান আওয়ার অব টু আওয়ার দে ক্যান বুক দেয়ার হোটেল অনলাইন বাই বুকিং ডট কম বাই ট্রাভিগো এ লট অব অপশন্স দেয়ার। ভেরি ইজি। কিন্তু আগে একটা হোটেল বুকিং করতে হলে তিন চারদিন আগে বলতে হতো। কিন্তু এখন হাতের মোবাইল থেকেই এই সব করা যায়।

আনন্দ আলো: কিন্তু এখানে মিস কমিউনিকেশনের অনেক সুযোগ ছিল?

রিয়াদ আলী: হ্যাঁ তা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই ধরনের ঝামেলার সুযোগ নাই। প্লাস হোয়েন ইউ চেক ইন টু দ্যা রুম, ইউ গনা সি- ওয়েলকাম মি. আলী- স্ক্রিনে চলে আসছে। ইটস অল রিলেটেড টু টেলিকমিউনিকেশন।

আনন্দ আলো: কাস্টমার সার্ভিসের ক্ষেত্র টেলিকমিউনিকেশনের জন্যে খুব ইজি হচ্ছে?

রিয়াদ আলী: তা তো অবশ্যই। মোট কথা ব্যবসা, ট্রেডিং, ইন্ডাস্ট্রি কোনো কিছুই টেলিকমিউনিকেশন ছাড়া সম্ভব না।

আনন্দ আলো: এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হিসেবে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

রিয়াদ আলী: ২০১৭ তে আমরা নতুন পরিচালনা বোর্ডে এসেছি। বোর্ড থেকে আমাদের নতুনদের একেকটা ডিপার্টমেন্টের ডাইরেক্টর ইনচার্জ করে দিয়েছে। আই অ্যাম লুকিং আফটার ইন টু দ্যা ডাইরেকটর ইনচার্জ ইন ফরেন অ্যাফেয়ার্স। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগের জন্যে এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এই জন্যে প্রতিমাসে আমরা বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসেডরদের ফেডারেশনে নিয়ে আসি। তাদেরকে আমরা দেখাই বাংলাদেশে অসংখ্য চেম্বার রয়েছে- চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট সব জায়গায় চেম্বার রয়েছে তাদেরকে আমরা বোঝাই। অত্যন্ত বড় আকারে বাংলাদেশের ৮টি শহর বিকশিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ চেম্বার থেকে আমি এসেছি। আমি তাদের প্রতিনিধিত্ব করছি এফবিসিসিআই’তে। সিরাজগঞ্জে যে শাড়ি এবং লুঙ্গি বানায় একজন বিদেশি তা বিশ^াসই করতে পারে না। এর কোয়ালিটি এত ভালো। এই বিষয়গুলো আমরা চেষ্টা করছি এক্সপোজ করতে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা দেখাচ্ছি একেকটা চেম্বারের সঙ্গে কীভাবে কাজ হচ্ছে।