Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আমি দর্শককে হতাশ করতে চাই না-পপি

চিত্রনায়িকা পপি চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির এখন একজন নেতা। সম্প্রতি ‘সোনাবন্ধু’ নামে তার একটি নতুন চলচ্চিত্র সেন্সর সাটিফিকেট পেয়েছে। সাম্প্রতিক কর্মকাÐ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন আনন্দ আলোর সঙ্গে। লিখেছেন সবুজ পারভেজ

আনন্দ আলো: কেমন আছেন?

পপি: আপনাদের সকলের দোয়া ও ভালোবাসায় বেশ ভালো আছি।

আনন্দ আলো: কিছুদিন আগের পপি আর আজকের পপির মধ্যে অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কিছু বলুন?

পপি: মানুষ ইচ্ছা করলে অনেক কিছুই করতে পারে। চেষ্টার ঊর্ধ্বে কিন্তু কোনো কিছুই নয়। তাই হয়তো নিজের ইমেজকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আর আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি নায়িকারই তার ফিটনেস ধরে রাখাটা জরুরি। যেমনটা বলিউড ও হলিউডের দিকে তাকালে দেখতে পারবেন।

আনন্দ আলো: তাই বলে দুই দশক ধরে একই ভাবে আছেন। সোন্দর্য্য ধরে রাখার রহস্য কি?

পপি: রহস্য কিছুই না। শুধু নিয়মের মধ্যে থাকলেই সম্ভব। আমি যদি নিজেরই যতœ নিতে না পারি তাহলে দর্শকদেরকে কীভাবে একটি ভালো চলচ্চিত্র উপহার দেব বলেন? একটি চলচ্চিত্র বানাতে গেলেও কিন্তু অনেক যতেœর প্রয়োজন।

আনন্দ আলো: অনেক দিন হলো আপনার কোনো চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে দেখা যায় না। এটার কারণ? কাজ কি কমিয়ে দিয়েছেন?

পপি: শুরু থেকেই আমি একটু কোয়ালিটি মেইনটেইন করে কাজ করেছি। এখন যেসব অফার পাই তাতে অভিনয় করতে মন চায় না। বর্তমানে যেসব কোয়ালিটি লেস কাজ হচ্ছে এগুলোতে জড়িয়ে নিজের অতীত নষ্ট হোক সেটা কাম্য নয়। আমি কখনোই চাই না পপির দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে হতাশা প্রকাশ করুক। এককথায় আমাকে যেমন আমার দর্শক এখনো ভালোবাসেন, আমিও তাদেরকে তেমনি ভালোবাসি। তারা যেন প্রতারিত না হন সেদিকে তো আমাকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। আনন্দ আলো: সাম্প্রতিক কাজের কথা বলুন?

পপি: এইতো কয়েকদিন আগেও ‘সোনাবন্ধু’র কাজ শেষ করলাম। কিছুদিনের মধ্যে ‘রাজপথে আছি’ নামের আরো একটি চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করবো।

আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রে আপনাকে নিয়মিত না দেখা গেলেও টিভি পর্দায় মাঝে মধ্যেই দেখা যায়। তাহলে কি ছোট পর্দায় নিয়মিত হচ্ছেন?

Popyপপি: না না এমন কিছুই নয়। ছোট পর্দা বা বড় পর্দা বলে আমি কিছুই কখনো বুঝিনি। এখনো বোঝার চেষ্টা করি না। আমি বুঝি অভিনয়। আমি একজন অভিনেত্রী আমার যেখানে অভিনয় করার স্থান থাকবে আমি সেখানেই অভিনয় করবো। আমার মনে হয় সবারই এটাই করা উচিত।

আনন্দ আলো: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চলচ্চিত্রের জন্য কি করতে চান?

পপি: এতদিন যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের হাতে হয়তো অনেক কিছুই ছিল যেটা তারা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমার চোখে শিল্পী বা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে তাদের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ ধরা পড়েনি। তাই এবার নিজেকে জড়িয়েছি নির্বাচনে। আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের দোয়ায় জয়ীও হয়েছি। এখন শিল্পীদের উন্নয়ন ও চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখতে চাই। আমার দ্বারা আমার যারা সহকর্মী আছেন তাদের এবং এই শিল্পের ন্যূনতম উন্নয়নও যদি হয় তাতেও আমার শান্তি লাগবে। কারণ এই চলচ্চিত্রই আজ আমাকে পপি বানিয়েছে। এই চলচ্চিত্রের জন্যই আজ আমি দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি।

আনন্দ আলো: যৌথ প্রযোজনার ছবিতে আপনার অনেক সহশিল্পীদেরকেও অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। আপনার কাছে এমন কোনো অফার আছে কি? যেখানে অভিনয় করবেন?

পপি: অফার আছে বললে হয়তো একটু কমই বলা হবে। অনেক লোভনীয় অফারও আসে মাঝেমধ্যেই। কিন্ত পপি সারাজীবন পপিই। নিজেকে বা নিজের দেশকে ছোট করে সামান্য মুনাফা অর্জন করতে চাইনি কখনো, এখনো চাই না। তবে যদি কখনো যৌথ নিয়মনীতিসহ সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলেই হবে। সেই সঙ্গে অভিনয় করার স্থানও থাকতে হবে অবশ্যই। এমন কোনো কিছু পেলে অবশ্যই দর্শক আমাকে দেখতে পারেন।