Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

শুধু আমি নারে ভাই সবাই স্ত্রীকে ভয় পায়!

-শতাব্দী ওয়াদুদ
আনন্দ আলো: আপনি কোন শতাব্দী
শতাব্দী ওয়াদুদ: আমি একবিংশ শতাব্দী।
আনন্দ আলো: শতাব্দী ওয়াদুদ নামের অর্থ কী?
শতাব্দী ওয়াদুদ: শতাব্দী নামের অর্থ হচ্ছে একশ বছর আর ওয়াদুদ হচ্ছে আরবি শব্দ এর মানে প্রেমময়।
আনন্দ আলো: এত কিছু থাকতে অভিনয়ে এলেন কেন?
শতাব্দী ওয়াদুদ: ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের প্রতি এক ধরনের পাগলামি ছিল। থিয়েটার করতাম। এখনো করি। একটা সময় মনে হলো অভিনয় করে যদি ভাত খাওয়া যায় তাহলে প্রফেশনাল হিসেবে কাজটা নেয়া যায়। তাই সব কাজ বাদ দিয়ে শুধু অভিনয় করছি।
আনন্দ আলো: জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় যে কাজ অর্থাৎ নাটকটি…
শতাব্দী ওয়াদুদ: আফসানা মিমির পরিচালনায় ‘গৃহগল্প’ নাটকটি আমার অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
আনন্দ আলো: শোবিজে নাটকের সঙ্গে ফাটক বলে একটা কথা চালু আছে। এই ফাটক মানে আসলে কী?
শতাব্দী ওয়াদুদ: ফাটক মানে আসলে জড়িয়ে দেয়া প্রতিশব্দ। অনেকেই বলেন, আপনারা তো নাটক ফাটক করেন। কি করেন না করেন? আসলে যারা কথাটা বলেন তারা কিন্তু অনেক কিছুই করতে পারে না বলেই ‘নাটক ফাটক’ বলে থাকে।
আনন্দ আলো: আপনার অভিনীত সিনেমা বা নাটকের কোন সংলাপটি এখনো হৃদয়ে গেঁথে আছে?
শতাব্দী ওয়াদুদ: মঞ্চে ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটকে আয়নাল মাস্টারের মুখে একটা কথা আছে। ‘এই জীবনডা অনেক বড়’ অহনো মনে অয় পাহাড়ের মতো। মনে রাখি, কী করি? দিশা পাই না। এই সংলাপটি এখনো হৃদয়ে গেঁথে আছে।
আনন্দ আলো: অভিনয় ছাড়া আর যা ভালো করতে পারেন?
শতাব্দী ওয়াদুদ: আড্ডা দিতে পারি। ক্রিকেট খেলতে পারি। ক্যারামবোর্ড ভালো খেলতে পারি।
আনন্দ আলো: আপনাকে একদিনের জন্য মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন?
শতাব্দী ওয়াদুদ: আমার ছেলে শ্রেয়ান ওয়াদিকে।
আনন্দ আলো: মঞ্চই হচ্ছে একজন পেশাদার অভিনেতার আসল ক্ষেত্র। কথাটা কতটা সত্যি?
শতাব্দী ওয়াদুদ: একজন দক্ষ অভিনেতা হতে প্রয়োজন নিয়মিত চর্চা। মঞ্চই একজন পেশাদার অভিনেতার আসল ক্ষেত্র। আমি মঞ্চের মানুষ, আমি বলবো কেউ মঞ্চে সঠিক দিক নির্দেশনায় অভিনয় করলে শতকরা ৮০ শতাংশ অভিনেতা তাকে মঞ্চই বানিয়ে দেয়।
আনন্দ আলো: সারারাত গল্প করার মতো বন্ধু…
শতাব্দী ওয়াদুদ: সারারাত গল্প করার মতো আমার অনেক বন্ধু আছে। আজাদ আবুল কালাম পাভেল ভাই, অনিমেষ আইচ, পান্থ শাহরিয়ার, রিজভী, জাহাঙ্গীর, তপন, পিয়াস ও আমার স্ত্রী নাতাশার সঙ্গে সারারাত গল্প করা যায়।
আনন্দ আলো: জীবনের যে সময়টা ফ্রেমে বন্দি করে রাখার মতো…
শতাব্দী ওয়াদুদ: আমার পুত্রের জন্মের সময়টা। তিনটা জেনারেশন সেদিন এক জায়গায় হয়েছিলেন। দুইটা জেনারেশন আনন্দে হাসতাছে। আরেকজন তো দুনিয়াতে সবেমাত্র পা দিয়েছে। ও হাসির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। জীবনের ওই সময়টা ফ্রেমে বন্দি করে রাখার মতো।
আনন্দ আলো: এখনো যার প্রেমে মশগুলÑ
Sotabdi-Wadud-1শতাব্দী ওয়াদুদ: আমার স্ত্রীর প্রেমে এখনো মশগুল।
আনন্দ আলো: মিডিয়ার যে ব্যাপারটা ভালো লাগে না?
শতাব্দী ওয়াদুদ: মানুষের পেছনে কথা বলাÑ এই ব্যাপারটা ভালো লাগে না।
আনন্দ আলো: যে প্রশ্ন শুনতে শুনতে ক্লান্ত…
শতাব্দী ওয়াদুদ: গেরিলা ছবিতে আপনি দুইটা আর্মি অফিসারের চরিত্রে অভিনয় কেন করলেন?
আনন্দ আলো: ক্যামেরার সামনে প্রথম দিন।
শতাব্দী ওয়াদুদ: ১৯৮৮-৮৯ সালে আর্তনাদ থিয়েটারে কাজ করার সময় ‘শঙ্কিত পথযাত্রা’ নাটকের মাধ্যমে আমি ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়াই।
আনন্দ আলো: যে নাটক বা সিনেমা দেখে প্রচÐ হেসেছি…
শতাব্দী ওয়াদুদ: হুমায়ূন আহমেদের ‘বহুব্রীহি’ নাটকটি দেখে প্রচÐ হেসেছি।
আনন্দ আলো: খুব রেগে যান যখন…
শতাব্দী ওয়াদুদ: রাইগা গেলে খুব চিল্লা চিল্লি করি। আমার রাগের ব্যারোমিটার খুব দ্রæত ওঠানামা করে। অল্প সময় রাগটা থাকে।
আনন্দ আলো: যাকে অথবা যাদের দেখে এখনো অভিনয় শিখি…
শতাব্দী ওয়াদুদ: আমাদের দেশের সবার কাছ থেকে কমবেশি অভিনয় শেখার চেষ্টা করি। অভিনয় নেয়ার একটা বিষয় আছে। আমাদের সিনিয়র যারা আছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ গত হয়ে গেছেন। গোলাম মুস্তফা, এটিএম শামসুজ্জামান, আবুল হায়াত, হুমায়ূন ফরীদি, সুর্বণা মুস্তফা, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম এদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত আমি অভিনয় শিখছি।
আনন্দ আলো: শোনা কথা আপনি নাকি স্ত্রীকে ভয় পান?
শতাব্দী ওয়াদুদ: পৃথিবীর প্রতিটি স্বামীই তার স্ত্রীকে ভয় পায় ভাই। শুধু আমি না।
আনন্দ আলো: গোপন কোন কথাটি স্ত্রীর কাছে বলেন না?
শতাব্দী ওয়াদুদ: না ভাই, স্ত্রীর কাছে কোনো কথা গোপন রাখি না। সব বলে দেই।