Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

একটা সময় তারিখটা নিজের-মতিন রহমান

১৮ মার্চ বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমানের জন্মদিন। কথা হলোÑগুণী এই পরিচালকের সঙ্গে।
আনন্দ আলো: ১৮ মার্চ আপনার জন্মদিন। এই দিনটা কীভাবে পালন করেন?
মতিন রহমান: জন্মদিন একটা সময় ছিল নিজের। আর এখন এটা ভাগাভাগি হয়ে গেছে। এখন পরিবারের সদস্যরাই একদম ঘরোয়া পরিবেশে আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। এই দিনটিতে আমি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চেষ্টা করি। ছেলে-মেয়েরা শুভেচ্ছা জানায়, কেক কাটা হয়। ফুল নিয়ে আসে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলিগ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা শুভেচ্ছা জানায়। আবার অনেক সময় আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকি তখন আমার কলিগরাই আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এইভাবে কেটে যায় দিনটা।
আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?
মতিন রহমান: ছোটবেলায় আমার জন্মদিন পালন করা হতো না। আমাদের পরিবারে জন্মদিন পালনের বিষয়টা ছিল না। বড় হওয়ার পর একটা সময় ঢাকা শহরে পাড়ি জমালাম। তারপর কর্মক্ষেত্রে নিজের একটা পজিশন হলো। ওই সময় এফডিসিতে পরিচালক বন্ধুরা খুব আনন্দ করে আমার জন্মদিনটা উদযাপন করত। বিয়ের পর প্রথম বছর আমার জন্মদিনটা বেশ জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হয়েছিল। সেদিন জন্মদিনের একটা উৎসব মনে হয়েছিল। আর এখন ছেলে মেয়েরাই আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। তারা আবদার করে বাবাকে নিয়ে বাইরে কোথাও গিয়ে বসবে, আড্ডা দিবে, বাবার কাছ থেকে গল্প শুনবে, ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া করবে। জন্মদিনটা আসলে আমার কাছে মনে হয় পৃথিবী থেকে আরেকটা বছর ঝরে যাওয়া। আমি ওই মুহূর্তে বিষন্ন হয়ে যাই। বিশেষ করে জন্মদিনটা এখন আমি বিষন্ন বোধ করি।
আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?
মতিন রহমান: স্ত্রী, ছেলে-মেয়েরা সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। তারপর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলিগ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা উইশ করে শুভেচ্ছা জানায়। অনেকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। আবার কেউ কেউ মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে।
মতিন রহমান: জন্মদিনে যে কোনো উপহারই পেতে ভালো লাগে। তবে ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে উপহার পেতে ভীষণ ভালো লাগে। জন্মদিনে ফুল, বই এবং মুভির সিডি পেলেও খুব ভালো লাগে।