Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

কাছের মানুষের অনুরোধ ফেলতে পারি না

প্রায় এক বছর পর আবারও অভিনয় করেছেন লাক্স তারকা ফারিয়া শাহরিন। এখন থেকে মাঝে মধ্যে তাকে অভিনয়ে পাওয়া যাবে বলে জানালেন। কথা হলো ফারিয়ার সঙ্গে-
আনন্দ আলো: অভিনয় থেকে দূরে কেন ছিলেন?
ফারিয়া: আমি মালয়েশিয়ায় পড়াশুনা করছি। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশনে মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য পড়ালেখা করছি। দুই বছরের কোর্স। তাই ওখানে থাকতে হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে ছুটিতে দেশে আসব। তখন নাটকে কাজ করব। এবার দুই মাসের ছুটিতে আসার পর যেমনটি করলাম।
আনন্দ আলো: এবার কী কাজ করলেন?
ফারিয়া: নাটকের নাম ‘বাখরখানি প্রেম’। ইফফাত জাহানের গল্প ভাবনায় নাটকটি পরিচালন করেছেন জীবন শাহাদাত। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ। আরও অভিনয় করেছেন কচি খন্দকার, গোলাম সারোয়ার, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। গত বছর নাটকে আর কাজ করবো না বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু কাছের মানুষদের অনুরোধ ফেলা যায় না। সেজন্যই এই নাটকে কাজ করা। দীর্ঘদিন পর নাটকে অভিনয় করে বেশ ভালো লাগছে। গল্পটিও বেশ চমৎকার। দর্শক এখানে ভিন্ন স্বাদের গল্প পাবেন। আবার এই মাসেই আমি মালয়েশিয়ায় চলে যাচ্ছি। দুই মাসের ছুটিতে এসেছিলাম।
আনন্দ আলো: নতুন কোনো চলচ্চিত্রে কী কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে?
ফারিয়া: ‘আকাশ কত দূরে’- এর পর কোনো ছবিতে কাজ করিনি। তবে কিছু ছবি নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আমি পড়াশুনা শেষ করে আবার অভিনয়ে ব্যস্ত হবো।

নাটক হাতি বনাম পিঁপড়া

ইনেৱখাব দিনার ও ঈশানা একই গ্রামের বাসিন্দা। দু’জনই একে অপরকে পছন্দ করেন। অন্যদিকে ঈশানার বান্ধবী জারা নামের একটি মেয়েও ইনেৱখাব দিনারকে মনে মনে পছন্দ করে। একই গ্রামে বাস করেন হাতির মতো দেখতে সুমন পাটোয়ারী। নিজের এই হাতি মার্কা শরীর দিয়ে গ্রামের যাকেই কাছে পান তাকেই ধরে চীপ দেন। সুমন পাটোয়ারীও ঈশানাকে ভালোবাসেন। কিন্তু ঈশানার বাবা তা কোনোভাবেই মেনে নিতে নারাজ। কিন্তু পাটোয়ারী ঈশানার বাবাকে চাপ দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিয়ের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ইনেৱখাব দিনার ও ঈশানার বাবা বুদ্ধি করে এলাকায় কুসিৱ খেলার আয়োজন করেন। ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। এমনি গল্পের নাটক ‘হাতি বনাম পিঁপড়া’। মোহাম্মদ শামীমের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন রাশেদ শামীম। এতে আরো অভিনয় করেছেন সফিক খান দিলুসহ অনেকে। নাটকটি খুব শিগগিরই চ্যানেল আইতে প্রচার হবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে।

অভিনেত্রী থেকে ব্যবসায়ী অহনা

অভিনেত্রী থেকে পুরোদসৱুর ব্যবসায়ী বনে গেলেন অহনা। বেশকিছুদিন ধরে অভিনয়ের পাশাপাশি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার একটি বিউটি পার্লার চালু করেছেন অহনা। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরার ১৩ নাম্বার সেক্টরের গরীবে নেওয়াজ রোডে অহনা তার বিউটি পার্লার ‘অহমি’র যাত্রা শুরু করেন। ‘অহমি’র কর্ণধার দুজন। প্রধান কর্ণধার অহনা নিজে। আরেকজন হচ্ছেন তারই খালাতো বোন লিজা মিতু। অহনার নামের ‘অহ’ এবং মিতুর নামের ‘মি’ নিয়ে অহনা তার বিউটি পার্লারের নাম রেখেছেন ‘অহমি’। হঠাৎ ব্যবসার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অহনা বলেন, ‘সত্যি বলতে কী প্রতি মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নেই। তাই ভাবলাম নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে সেটা আমার নিজের জন্য, পরিবারের জন্য সর্বোপরি সবার জন্যই অনেক ভালো হয়। পাশাপাশি আমার খালাতো বোন মিতুরও অনেকদিন যাবৎ আগ্রহ আমরা দুজন মিলে যেন একটি বিউটি পার্লার দেই। এসব নানাবিধ কারণেই বিউটি পার্লারটি দেয়া।