Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার দেশ

-হুমায়ূন রশীদ
চেয়ারম্যান, এনার্জি প্যাক লিমিটেড, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
সম্প্রতি দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক অবস্থা বিষয়ে এক অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকারে কথা বলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’এর সদ্য সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, এনার্জি প্যাক লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হুমায়ূন রশীদ। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন রাজু আলীম।
‘আপনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সদ্য বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট। এই সংগঠন থেকে সম্প্রতি আপনারা একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স করেছেন।’ এই কনফারেন্স সম্পর্কে কিছু জানতে চাই- এই প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ূন রশীদ বলেন, ‘ঢাকা চেম্বারের অন্যতম লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। আর এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা আমাদের ধরে রাখতে হলে অনেক কিছুৃ করার আছে। যা আমাদেরকে এখনই অ্যাড্রেস করতে হবে। নিউ ইকনোমিক থিংকিং টুয়েন্টি থার্টি বিয়ন্ড অন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্ণ হবে। তখন বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশের কাতারে চলে আসবে। তখন কিন্তু আমাদের অনেক কিছু প্রয়োজন হবে। এখন থেকে আমরা ওই জিনিসগুলো অ্যাড্রেস করতে চাই। আজকে আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে বিশেষ করে এনার্জি, ইনফ্রাসট্রাকচার, স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস, আইটি- এইসব ক্ষেত্রে ১০/১৫ কিংবা ৪০ বছরের চেঞ্জ আসবে। এর জন্যে আমাদের অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে। এই প্রয়োজনগুলো কি? এই প্রয়োজন কীভাবে সরকারের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে এসডিজি করে অ্যাচিভ করতে পারি এই জন্যে ঢাকা চেম্বার থেকে একটি কনফারেন্স করেছি আমরা খুব সম্প্রতি। যা খুবই সময়োপযোগী ছিল। এখানে আন্তর্জাতিক অনেক গেস্ট, স্পিকার পেয়েছি যেমন, সিঙ্গাপুরের মিস্টার হোম এসেছিলেন, যিনি সিঙ্গাপুর সরকারের উপদেষ্টা। তার বক্তব্য থেকে আমরা জানতে পেরেছি- সিঙ্গাপুর কি কি চ্যালেঞ্জ ফেস করে আজকের পর্যায়ে এসেছে। আমাদের দেশকে সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত করতে হলে আমরা কি কি চ্যালেঞ্জ ফেস করবো কিংবা করতে পারি? এটার একটা দিক নির্দেশনা ছিল। যেখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারব। আর যদি শিখতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে সুন্দর দেশ রেখে যেতে পারব।’
‘বাংলাদেশ বর্তমানে সারাবিশ্বে আলোকিত আলোচিত একটি দেশ। আপনিও একটি আলোকিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আছেন- এনার্জি প্যাক।’ ঢাকা চেম্বারের পলিসি মেকিংয়ে কি ধরনের কাজ করেছেন এ প্রসঙ্গে হুমায়ূন রশীদ বলেন, ‘আমার মনে হয় একজন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী হিসেবে আমি অনেকগুলো দিন অতিক্রান্ত করে ফেলেছি। তাই মনে করি আমার কিছু সামাজিক দায়িত্ব আছে। একটি সুন্দর পৃথিবী, সুন্দর বাংলাদেশ দেখে যেতে চাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমার এই কন্ট্রিবিউশনের সময় এসে গেছে। আমাকে আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে কিছু কাজ করে যেতে হবে। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসার জন্যে যদি সুন্দর পরিবেশ, সুন্দর প্ল্যাটফর্ম রেখে যেতে পারি আগামী প্রজন্ম আরও সমৃদ্ধ হতে পারবে। এই ভাবনা থেকে আমি ঢাকা চেম্বারের সঙ্গে আমি যুক্ত হই এবং পলিসি ইস্যুজ নিয়ে কাজ করি। ভবিষ্যতেও আমি ডিসিসিআই-এর সঙ্গে থাকব। আমাদের জনসংখ্যার মেজরিটি অংশ বয়সে ইয়াংগার জেনারেশন। এদেরকে আমরা কীভাবে শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারি- এটি কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ। চাকরির পেছনে না ঘুরে, তারা নিজেরাই কীভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারবে? সেই রাস্তা যদি আমরা তৈরি করে দিতে পারি, তাহলে দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা করা সম্ভব।’
ইয়াং নারী উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হুমায়ূন রশীদ উত্তরে বলেন, ‘ডিসিসিআই-এর কাছে নারী-পুরুষ বলে কিছু নাই। সবাইকে আমরা এনকারেজ করি। বিশেষ করে ইয়াংগার জেনারেশন- যারা ভবিষ্যতে উঠে আসছে। তাদের চ্যালেঞ্জগুলো যদি ডিসিসিআই থেকে পলিসি আকারে সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে বসে কাজ করতে পারি, প্রাইভেটাইজেশনের ব্যাপারে সরকারের যে উদ্যোগ আছে সেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। ডিসিসিআই-এর বড় একটা রিসার্চ আছে। আমি আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে যেটা দেখি, এনার্জি প্যাকের সঙ্গে যদি ডিসিসিআই-এর সম্পর্ক থাকে তাহলে ভবিষ্যতের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ এনার্জি সিকিউরিটি- সেটা মোকাবিলা করা সহজ হবে। এনার্জি সিকিউরিটি ইজ ইনোভেশন, টেকনোলজিক্যাল ইমপ্রুভমেন্ট, লোকাল ম্যানুফ্রাকচারিং, কর্মসংস্থান- এই বিষয়গুলো আমাদের অ্যাড্রেস করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে আগামীতে লোকজন চাকরি পাবে, চাকরির জন্যে ঘুরবে না। এই দেশে প্রকৌশলী তৈরি হচ্ছে, এদের জন্যে চাকরি বা কর্মসংস্থান দরকার। ভবিষ্যতে এদের জন্যে যাতে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, তার লক্ষ্যেই এনার্জি প্যাক এবং ডিসিসিআই একসঙ্গে কাজ করছে।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিসিসিআই-এর কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন- এই প্রসঙ্গে হুমায়ূন রশীদ-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন-‘আমাদের কনফারেন্সে যোগ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরেকবার প্রমাণ করেছেন, তিনি বিজনেস ফ্রেন্ডলি। তিনি চান প্রাইভেট সেক্টর বাংলাদেশে গ্রো করুক। সরকার ব্যবসা করবে না, দেশে ব্যবসা বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্যে যে পরিবেশ, সুযোগ সুবিধা ও পলিশি দরকার তা সাপোর্ট দেবে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এমডিজি গোলের কথা, তিনি বলেছেন ১০৪০ সালে বাংলাদেশ হায়ার ইনকাম সোসাইটি’তে প্রবেশ করবে। এই লক্ষ্য পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাইভেট সেক্টরকে একাত্ম করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। পলিসিও ইনফ্যাসট্রাকচার এসবের গাইডে প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে যাবে। এই কাজে ডিসিসিবি একসঙ্গে কাজ করবে। পলিসি এডাপ্ট করে সরকারকে রেকমেনডেশন করবে আর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এটাকে কনসিডারেবল দৃষ্টিতে তা দেখবে।’
দেশে এখন ব্যবসায়ীদের অনেক সংগঠন, এত সংগঠনের ভিড়ে ডিসিসিআই-এর বিশেষত্ব কি?’ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ঢাকা চেম্বারের একটা ইতিহাস আছে। ১৯৫৭ সাল থেকে সংগঠনটি অত্যন্ত অ্যাকটিভভাবে পলিসি রিসার্চ করে। বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপ রক্ষা করা হয় নিয়মিত। এই কালচার ঢাকা চেম্বারের আগেও ছিল, এখনও আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে। কেন থাকবে? ভবিষ্যতে সরকার যাতে আরও আধুনিকভাবে বিজনেস, পলিসি, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন এসব ইস্যুতে কাজ করতে পারে। সেই ব্যাপারে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করি। এটি ডিসিসিবি’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাইভেট সেক্টরের সুপারিশ আরও বেশি করে যাতে সরকারের কাছে তুলে ধরতে পারি। ঢাকা চেম্বার এই ব্যাপারে অত্যন্ত ফোকাস। সংগঠনের দায়িত্বে অতীতে যারা ছিলেন তারা এইসব বিষয় খুব মেথডিক্যালি অ্যাড্রেস করেছেন। আর বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছেন তারা অত্যন্ত এডুকেটেড, শিক্ষিত সমাজ আজ ঢাকা চেম্বারের সঙ্গে জড়িত। রিসার্চের ফলাফল সরকারের কাছে তারা তুলে ধরছেন। ভবিষ্যতে যারা আসবেন তারাও ইক্যুয়ালী এদের মতোই এডুকেটেড হবেন। ২০৩০ সালের জন্যে ঢাকা চেম্বার, প্রাইভেট সেক্টর আর উদ্যোক্তারা রেডি।’
‘ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে এফবিসিসিআই বেশি ফোকাসড। অন্য সংগঠনগুলো এতটা ফোকাসড নয় কেন? এমন প্রশ্নে মৃদু হেসে হুমায়ূন রশীদ বলেন, ‘এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের এপেক্স বডি। সারা দেশের ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা এফবিসিসিআই-এর কাছে অনেক বেশি। ঢাকা চেম্বার রিসার্চ ফোকাসড করে কাজ করে বেশি। সংগঠনগুলো কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি অর্গানাইজড ওয়েতে কাজ করছে। এরা যত বেশি স্ট্রাকচারড হবে, যত বেশি আন্তর্জাতিক জ্ঞান অর্জন করবে, দেশের জন্যে তত বেশি মঙ্গল হবে। ভারতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি রিসার্চ বিভাগ আছে। যাদের কাজই হলো- তারা সরকারকে পলিসি গঠনে সাহায্য করে। এই রিসার্চের জায়গায় বাংলাদেশের এখনো ঘাটতি রয়েছে। এই খানে আমাদের আরও বেশি কাজ করার সুযোগ আছে। তবে বাংলাদেশে আমার মনে হয় ঢাকা চেম্বার, এফবিসিসিআই কিংবা অন্য যে কোনো সংগঠন তারা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে- রিসার্চ ফোকাস করে তাতে সামনে আমাদের জন্যে আরও সুন্দর বাংলাদেশ অপেক্ষা। সংগঠনের উচিত বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে তাদের সদস্যদের আরও সচেতন করা।’
সাক্ষাৎকারের এই অংশে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে হুমায়ূন রশীদ বলেন, ‘ঢাকা চেম্বার ৭টি সেক্টরকে প্রায়োটাইজ করেছে বিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে। এই সেক্টরগুলোর বাংলাদেশের এবং বহির্বিশ্বের বাজারে বিলিয়ন ডলার রপ্তানির অপরচুনিটির সুযোগ আছে। আজকে আন্তর্জাতিক বাজার অনেক বড়। আজ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আমরা অ্যাবসুলুয়েটলি ডিপেন্ডেন্ট হয়ে গেছি। গার্মেন্টস-এর সঙ্গে অনেক রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রি আছে। ধরুন, প্লেনের সিট ওটাও গার্মেন্টস রিলেটেড প্রোডাক্ট ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি হয়। গার্মেন্টস-এর ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্টে আমরা এখনো আসতে পারিনি। এখানে এখনও গ্যাপ রয়ে গেছে। এটি একটি বিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি। লাইট ইন্ডাস্ট্রি অটোমোটিভ সেক্টর- এটিও বিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি। এতে গাড়ি এবং গাড়ির পার্টস বানিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হবে। এতে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। লেদার প্রোডাক্টও এর একটি হিউজ অপরচুনিটি আছে স্থানীয় এবং বিদেশে। বিশ্বের মানুষের বায়িং ক্যাপাসিটি বাড়ছে। শীপ বিল্ডিং ইজ অ্যানাদার সেক্টর। যেখানে বাংলাদেশের স্কিল লেবার অলরেডি ডেভলপড। শীপ বিল্ডিং এ আমরা কাজ করতে পারি। এগ্রিকালচারাল প্রডিউসড- যেমন, মুড়ি হয় আমাদের দেশে। কিন্তু এটি আমাদের দেশে ভ্যালু অ্যাডেড হয় না। কিন্তু চায়নাতে মুড়িকে কুকিজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, বিস্কিট হিসেবে বানিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট করে। এই যে গ্যাপ। এই রকম অনেক ইন্ডাস্ট্রিজ আছে দেশে যা এখনো হিডেন রয়ে গেছে। এই সব গ্রো করতে ঢাকা চেম্বারের কার্যক্রম চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে।’ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি। বর্তমানে দেশে হরতাল, ঝড়, তুফান কিছুই হচ্ছে না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনি সিঙ্গাপুরের প্রসঙ্গ টেনেছেন, বাংলাদেশ তো আর সিঙ্গাপুর হবে না, বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই এগিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক বোধ এখন সব জায়গায় ঢুকে গেছে। ট্যাক্স ফ্রি জোন- বর্তমানে আমদানিতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমে গেছে। প্রাইভেট সেক্টরের এনার্জি প্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা আরও এক্সপান্ড করতে সরকারের পক্ষ থেকে কি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন-’ এমন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীন দেশ ও অর্থনৈতিক মুক্তি ও দেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে নিজের মতামত জানান হুমায়ূন রশীদ- ‘সিঙ্গাপুরের মতো বলতে আমরা বুঝি, তাদের মতো ইকনোমিক অবস্থা, যাতে জীবন মানের উন্নত হয়। আর তা করতে গেলে আমাদের কিছু কিছু রিফর্মেশন দরকার। এই রিফর্মেশনের ভেতরে অনেক ইস্যুজ আছে, যেগুলো আমাদের অ্যাড্রেস করতে হবে। আমাদের বর্তমান প্রধান সমস্যা হলো ইনফ্যাসট্রাকচার। দ্বিতীয় আছে আমাদের জমির স্বল্পতা ফর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি। তৃতীয় আছে- বিদ্যুৎ পাওয়া গ্যাসের সংযোগ পাওয়া। এনভায়রনমেন্ট ক্লিয়ারেন্স পাওয়া এখন অনেক বড় ব্যাপার হয়ে গেছে। এই জিনিসগুলো যদি সরকার এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করে এর সমাধান করতে পারি, তাহলে আমাদের দেশে উৎপাদনশীল খাতে আরও অনেক বেশি বিনিয়োগ আসার সুযোগ হবে। ডিসিসিআই কিন্তু এইসব বিষয়ে কাজ করছে, আমার প্রতিষ্ঠান এবং আমরাও কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ দেখে ইনভেস্টমেন্ট করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি একটা সুন্দর দেশের অপরচুনিটি কিন্তু সাংঘাতিক। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের জাতির জনক যে স্বপ্ন দেখতেন, একটা দেশ স্বাধীন হওয়া যত কঠিন তারচে বেশি কঠিন অর্থনৈতিক মুক্তি। আমরা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমি মনে করি সেইদিন আর বেশি দূরে নয়। আমাদের এই জীবনেই এই মুক্তি দেখে যেতে পারব।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আবাসন মেলা, রিয়েল এস্টেট সেক্টর, বিদ্যুতের ঘাটতি, বিনিয়োগ, সিএনজি গ্যাসও এলপিজি গ্যাস-এর ব্যবহার প্রভৃতি বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দেশসেরা এই উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব বলেন, ‘দেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরের স্ট্যাকচারড গ্রোথ ওইভাবে হয় নাই। যত্রতত্র বিল্ডিং উঠেছে। পরিবেশ খুব একটা ভালো হয় নাই। এর পরে ডাউন প্ল্যান হবে। ৪৫ বছরের জাতি আমরা, এর পরে নগরায়ন হবে, একটা সিটি ডেভলপড হবে। এর জন্যে দরকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন। প্রয়োজন রাস্তা কমিউনিকেশন। আইটি সেক্টরে বাংলাদেশ খুব ভালো করছে। পাওয়ার, গ্যাস, বিকল্প জ্বালানি এলএনজি সবকিছুর প্রবৃদ্ধির সুযোগ আছে এখনো বাংলাদেশে। সবেমাত্র সবকিছুর শুরু। এজন্যেই বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার দেশ। ’