Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

চলে গেলেন ওমপুরী

তাঁর নাম ওমপুরী। দূর দেশের বাসিন্দা। কিন্তু আমাদেরও কাছের মানুষ ছিলেন। অভিনেতা ওমপুরী ছিলেন আমাদের অনেক প্রিয় অভিনেতা। তাইতো তাঁর মৃত্যু সংবাদে উপমহাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষ শোকাহত। ৬৬ বছর বয়সী এই গুণী অভিনেতা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে খবর বেরুলেও মুম্বাইয়ের পুলিশ নাকি বলেছে তাঁর মৃত্যু মোটেই স্বাভাবিক নয়। ময়নাতদনেৱর রিপোর্টও নাকি তাই বলছে। ময়নাতদনেৱর রিপোর্টে ওমপুরীর মাথার বাম দিকে নাকি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ওমপুরী অভিনেতা হিসেবে কেন এত জনপ্রিয় ছিলেন? উত্তরে একটা কথাই বলা যায়, তিনি ইতিবাচক চরিত্রে যেমন নিজেকে সফল প্রমাণ করেছেন তেমনি নেতিবাচক চরিত্রেও তার অভিনয় নৈপুণ্য বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। কী বাণিজ্যিক, কী শৈল্পিক দুই ধারার সিনেমায়ই অভিনয়ে সমান দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি একটি ছবির শুটিং করেছেন।

গুণী এই অভিনেতার জীবন সংগ্রাম খুব একটা সমৃণ ছিল না। এলাম আর জয় করলাম এমন ভাগ্যও ছিল না তার। জীবনের শুরুতে অনেক কষ্ট করেছেন। অনেকেই হয়তো জানেন প্রিয় অভিনেতা ওমপুরী তার শিশুকালে হোটেলে গ্লাসবয়ের কাজ করতেন। মাত্র ৭ বছর বয়সে ওমপুরী একটি চায়ের দোকানে গ্লাস ধোয়ামোছার কাজে নিযুক্ত হন। তখন তার বাবা ছিলেন কারাগারে। শিশু ওমপুরীর সামান্য আয়ে তাদের সংসার চলতো। তবে এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পড়াশোনা চালিয়ে যান ওম। একটা সময়ে ছাত্র পড়িয়েও আয় রোজগারের পথ খুঁজেছেন। আর্মি হবার স্বপ্ন দেখতেন। তার বয়স যখন বাড়তে থাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারেও ঝোঁক বেশি দেখা দেয়। প্রচুর সিনেমা দেখতেন। কলেজের একটি বার্ষিক নাটকে অভিনয়ের পর একটি সংগঠনের বাণিজ্যিক নাটকে অভিনয়ের প্রসৱাব পান। জড়িয়ে যান তাদের সঙ্গে। মাসিক বেতন পেতেন ১৫০ টাকা। মঞ্চে অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের চেষ্টাও চলতে থাকে। এক সময় সেই সুযোগ পেয়েও যান। মারাঠি ছবি ‘ঘোষিরাম কোতোয়াল’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। এরপর তো চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নক্ষত্র হয়ে ওঠেন তিনি।