Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

লক্ষ্য তার বড় পর্দা

মোহাম্মদ তারেক: সবার মতোই স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করেন তিনি। তাই স্বপ্নের ভেলায় চড়ে ভেসে যেতে চান দূরের পজেটিভ গন্তব্যে। সেই পথে যাচ্ছেনও। নাম নওরীন আফরোজা। সাবলীল অভিনয় শৈলীর মাধ্যমে এ প্রজন্মের  একজন প্রতিশ্র“তিশীল মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করার চেষ্টা করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় নিয়েও ভীষন ব্যস্ত থাকতে চান তিনি। এরই মধ্যে নওরীন অল্প সময়ে কিছু ভালো কাজের মাধ্যমে দর্শকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ব্যক্তি হিসেবে নওরীন একটু মিশুক প্রকৃতির। সহজেই সবার সাথে মিশতে পারেন। মিষ্টি হাসি এবং প্রাণবন্ত আলাপচারিতায় মাতিয়ে রাখেন সবাইকে। কাজে খুব সিরিয়াস এবং সিনসিয়ারিটি মেইনটেন করেন। নওরীনের মধ্যে অভিনয়ের বীজটা ছোটবেলায় রোপন হয়েছিল। স্কুলজীবন থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। জাতীয় পর্যায়ে অভিনয় এবং ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হওয়ার পরই তার উৎসাহ বেড়ে যায় অভিনয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি চিলড্রেন থিয়েটার আর্ট একাডেমীর সদস্য হয়ে নিয়মিত মঞ্চে কাজ শুরু করেন। মঞ্চের কাজের সূত্র ধরেই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান করেন নওরীন।  ছবি আঁকা, নাচ ও অভিনয়ের প্রতিটি মাধ্যমেই পারদর্শী ছিলেন। তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখতেন নাটকে অভিনয় করবেন কিংবা বিজ্ঞাপনের মডেল হবেন। স্বপ্নটা বোধকরি সফল হতে চলেছে। ২০০৭ সালে এটিএন বাংলার শাপলা শালুক অনুষ্ঠানে ‘পুতুলের বিয়ে’ নামের একটি শিশুতোষ নাটকের মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় তার পথচরা শুরু। ডাক পেলেন ‘বাংলার মেলার’ মডেল হওয়ার জন্য। ব্যস শুরু হলো যাত্রা, তারপর নগর দোলা, অঞ্জন, কেক্রাফট সহ বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজের মডেল হয়েছেন তিনি।  অভিনয় জগতে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে কাফি বীর এর পরিচালনায় ‘অতি লোভে তাতি নষ্ট’ ধারাবাহিক নাটকের মধ্য দিয়ে। চ্যানেল আইয়ের এই নাটকটি ছিল নওরীনের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। তখন থেকে একের পর এক নাটকে অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। তার অভিনীতি নাটক গুলো হচ্ছে সাইফুল ইসলাম মান্নুর ধারাবাহিক নাটক ‘চল হারিয়ে যাই’, হিমেল আশরাফের ধারাবাহিক ‘গপ্পো’, শাহিনের ধারাবাহিক ‘হাসিবাড়ি’, ইমরাউল রাকাতের একক নাটক ‘হ্যাপীনেস ইজ’, ‘রাব্বু ভাইয়ের বউ’, টেলিফিল্ম ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’, ফরিদুল হাসানের ‘ধন্যবাদ ভালোবাসা’, ‘অস্তিত্ব অনুভবে’, অঞ্জন আইচের ‘লাল শাড়ি ও তারপর’, 03_1শুভ্র খানের খন্ড নাটক ‘অনাকাঙিক্ষত সত্য’, শাখাওয়াত মানিকের ‘পান্ডলিপির শেষের পাতা কি ছিল’, মেহেদী হাসান জনির ‘আমি এবং আমার ইচ্ছে’ ইত্যাদি।  তার অভিনীত ‘চর হারিয়ে যাই’ ধারাবাহিকটি প্রচার হচ্ছে এনটিভিতে। বেশ অল্প সময়ের মধ্যে অভিনয় জগতে আলোচনায় চলে এসেছেন নওরীন। নাটকের পাশাপাশি বিভিন্ন ম্যাগাজিনের ফটোশ্যূট ও মডেলিং করে যাচ্ছেন নিয়মিত। এরই মধ্যে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেল হয়েছেন। তার অভিনীত বিজ্ঞাপন গুলো হচ্ছে- ‘প্রাণ ফ্রুটফিল চুইংগান’, ‘মধুমতি সিটি’, ‘আরএফএল এর সাতু পেন’, ‘এসএমসির সোমাজেক্ট’ ইত্যাদি।  তার অভিনীত প্রাণপ্রটফিল চুইংগামের বিজ্ঞাপন চিত্রটি বাংলাদেশ এবং ভারতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এছাড়াও এশিয়াটিকের ‘ফেয়ার এন্ড লাভলী’ এবং সানসিল্কের এক্সপার্ট প্রতিদিন ডকু ফিকশনে মডেল হয়েছেন তিনি। জিটিভির প্যারাসূট বেলী হেয়ার স্টাইল এন্ড ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার প্রমোশনেও কাজ করেছেন।  মাঝে বাংলাভিশন এবং এশিয়ান টেলিভিশনে উপস্থাপনা করেছেন। এখনো উপস্থাপনা করছেন তবে খুব কম।  বিজ্ঞাপন, নাটক ও উপস্থাপনা করলেও বড় পর্দায় কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে মূলত তিনি এগিয়ে চলেছেন। নওরীন বলেন, মডেলিং করেছি। নাটকও করছি। তবে আমার মূল লক্ষ্য বড় পর্দা। ভালো গল্পের ছবিতে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।

একনজরে নাম: নওরীন আফরোজা  ডাক নাম: নীলা বাবা: মো: নূরুল ইসলাম  মা: মিসেস ইয়াসমীন ইসলাম  জন্ম: ২৯ মে উচ্চতা ও রাশি: ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, মিথুন পড়াশোনা: গ্র্যাজুয়েশন প্রিয় অভিনেতা, অভিনেত্রী: মৌসুমী, জাহিদ হাসান,  প্রিয় মডেল: মৌ, মোশাররফ করিম। প্রিয় স্পট: মালদ্বীপ, কক্সবাজার প্রিয় রং: কালো, সাদা, গোলাপী প্রিয় পোশাক: শাড়ি প্রিয় খাবার: ভুনা খিচুড়ী  প্রিয় ব্যক্তি: বাবা  প্রথম কাজ: ২০০৭ সালে এটিএন বাংলায় ‘পুতুলের বিয়ে’ শিশুতোষ নাটক।  ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত একজন অভিনেত্রী হতে চাই।