Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

যেভাবে যার সাথে আছি সেটাই সত্যি! : জাকিয়া বারী মম

তাকে নিয়ে আলোচনা কিংবা সমালোচনা কম শোনা যাচ্ছে না। ছোটপর্দা, বড়পর্দা সবখানেই দাপটের সাথে অভিনয় করছেন নিয়মিত। ভালো কাজের আলোচনার পাশাপাশি আছে কিঞ্চিৎ সমালোচনাও। সেটার পেছনে অবশ্য প্রেম-ভালোবাসা এবং ঘর-সংসারের বিষয়ই জড়িত। পাঠক, শোবিজের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম জাকিয়া বারী মম। ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার হয়ে তিনি শোবিজে পা রাখেন। একে একে ভিন্নধর্মী কিছু কাজ দিয়ে মম অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দর্শক নন্দিত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য ও নাট্যতত্ব বিভাগের এই মেধাবী শিক্ষার্থী। সম্প্রতি উত্তরার একটি শুটিং হাউজে বসে মম নিজের ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন অকপটে। তারই চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো। লিখেছেন- সৈয়দ ইকবাল।

আনন্দ আলো: আপনার কাজের চাইতে ব্যক্তি জীবন নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বেশ আলোচনা শোনা যাচ্ছে…

মম: হুম, হতে পারে। কিছু মানুষ আছে যারা আসলে সার্বক্ষণিক অন্যের বিষয় নিয়ে মেতে থাকতে পছন্দ করেন। অন্যদের মুখরোচক আলোচনা নিয়ে তারা আলোচনা করে আনন্দও পায়। মিডিয়ার ব্যাপারে আমার অভজারভেশনে একটা বিষয় উঠে এসেছে- তাহলো এখানে যতটুকু না ঘটে, তার চাইতে বেশিকিছু মানুষের মুখে মুখে রটে যায়। এখানে মানুষ মুখে অনেক নীতি কথা বললেও বাস্তবে তা নয়। এই যে আমি মনদিয়ে অভিনয় করছি- এটা নিয়ে কিন্তু একেবারেই আলোচনা হচ্ছে না। কোন নাটকে কেমন অভিনয় করলাম, খারাপ কি ভালো- সেটা নিয়ে আলোচনা হওয়ার বিষয় আছে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। হচ্ছে আমি কার সাথে প্রেম করি, স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি…। বিষয়টা কিন্তু আমার বাসার দরজার ভেতরের আলোচনা। আমার ব্যক্তিজীবন কেমন যাবে সেটা একান্তই আমার সিদ্ধান্ত। কোনো জায়গায় মনের দিক থেকে যদি সেটিসফাই না থাকি, তাহলে সেখানে থাকার তো কোনো মানে হয় না। এ কথাতোও সত্য এক হাতে কখনোই তালি বাজে না। আর প্রকৃতি কিন্তু শূন্যস্থান পছন্দও করে না।

আনন্দ আলো: আরেকটু ক্লিয়ার করা যায়? তারমানে আপনি এবং নির্মাতা শিহাব শাহীনকে নিয়ে যে সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছে সেটা কী সত্যি? তাহলে এজাজ মুন্নার সাথে আপনার এখন সম্পর্কটা কেমন?

25110075মম: এটা আসলে ‘ট্রাই এঙ্গেল লাভ স্টোরি’ (হাসতে হাসতে)। এটা নিয়ে অনেক পত্রিকা অনেক কিছু লিখেছে, দেখা গেছে, আমার সাথে কথা না বলেই তারা তাদের মতো লিখছেন। কিছুদিন আগেও একটি দৈনিক পত্রিকায় মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক সুন্দর করে বিষয়টি নিয়ে আমার একটা ইন্টারভিউ পর্যন্ত ছাপিয়ে দিলো। অথচ, আমার সাথে এই বিষয় নিয়ে পত্রিকাটির কথাই হয়নি। বিষয়টা নিয়ে আমি প্রথম বারের মতো আনন্দ আলো’র সাথেই কথা বলছি। আসলে জীবনটা খুবই কমপ্লিকেটেড। জীবনে সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজাজ মুন্নার সাথে আমার যে সময়টায় পরিচয়- প্রেম-ভালোবাসা এবং সংসার হয়েছিল, সেই সময়টা তখন হয়তো পারফেক্ট ছিলো। কিন্তু একসাথে থাকার পর সময়টার ব্যাখ্যা একসময় অন্যভাবে আমার সামনে এসে ধরা দেয়। এখন সেই সময়টা কী ঠিক ছিলো, কী ভুল ছিলো, শুদ্ধ ছিলো, নাকি অশুদ্ধ ছিলো- সেইদিকে যাব না। তবে সময়ই সব বলে দেয় এবং বলে দিবে। এজাজ মুন্না আমার অবশ্যই শত্র“ না। তিনি আমার বন্ধু। আমার ছেলের বাবা তিনি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আমার জীবনে। জীবনটা আমার এতোটাই ব্যক্তিগত যে, দরজার বাইরের কেউ জানেনই না তার সাথে আমার কী হয়েছে। সেই মানুষটা জানে আর আমিই জানি- আমাদের মধ্যে কি হয়েছে। এটা নিয়ে আমি এর চেয়ে বেশি কথা বলতে নারাজ। আমার মনে হয়- এতে আমাদের নিজেদের মধ্যে সম্মানটা বজায় থাকবে। আমরা একে অন্যকে এই সম্মানটা করতে চাই।  এবার আসি শিহাব শাহীনের বিষয়ে। শিহাব শাহীন আমার ভালো বন্ধু ছিলেন। প্রকৃতি কখনোই শূন্যস্থান পছন্দ করে না। এই ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে। শূণ্যস্থান কোনো না কোনোভাবে পূরণ হয়েই যায়। এখন সেটা শুদ্ধ কী ভুল- তা সময়ই বলে দিবে। শিহাব শাহীন অবশ্যই একজন ভালো মানুষ, গুণী নির্মাতা। নির্মাতা হিসেবে আমি তাকে স্যালুট করি। তিনি আসলে একজন ম্যাজিশিয়ান। স্ক্রীনে তিনি যে ম্যাজিক সৃষ্টি করতে পারেন, তা দেখে হাজার হাজার মেয়ে তার প্রেমে পড়তে পারে। ব্যক্তিজীবনে একা এই মানুষটি ভবিষ্যতে কোনদিকে যাচ্ছেন তা সময়ই বলে দিবে। আমি আমার মতো কাজ নিয়ে আছি। আমার ছেলে আমার সাথে আছে। এই তো আমার জীবন। সবার মতো আমার জীবন পেইন্টিং-এর মতো আঁকা নাও হতে পারে। তবে আমি আমার জীবনটাকে একটা পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবিই বলবো। আমরা অনেক সময় বলি না- ইস! আমার জীবনটা যদি এমন তো, এমনটি কেনো হলো, আরো ভালো হতে পারতো ইত্যাদি ইত্যাদি…। কিন্তু আমি বলবো- সব ঘটনাই আসলে আমাদেরকে গন্তব্যের দিকে নিয়ে যায়। আমরা যতোই নিজেদের মতো করে জীবনটা ভাবি না কেন- আসলে গন্তব্য বলে একটা কথা আছে। আমি হয়তো সেদিকেই যাচ্ছি।

আনন্দ আলো: এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। এই যে অভিনয় করেই যাচ্ছেন, ছুঁটে চলেছেন অবিরত ক্লান্ত লাগে না?

মম: এটা তো বিশাল প্রশ্ন। উত্তর নানানভাবেই হতে পারে। আমি যদি ডিপ্লোমেসি করি, তাহলে বলবো- না ক্লান্ত হই না। আর যদি ডিপ্লোমেসি না করি তাহলে বলতে হবে- হ্যাঁ, ক্লান্ত হই। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে ক্লান্তিটা প্রতিদিনই নতুন করে আসে এবং প্রতিদিনই নতুন করে কেটে যায়। প্রতিদিন আমি নতুন নতুন চরিত্রের মাধ্যমে নতুন একজন মমকে আবিস্কার করি। তখন দেখা যায়, কাজ করে যে ক্লান্তিটা থাকে তা হারিয়ে যায়। চরিত্রের সন্ধানে যেতে যেতে ক্লান্তির ছাপটা চলে যায়। বলা যায় প্রতিদিন নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করা মানে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জটা আমি খুব উপভোগ করি। উপভোগ করতে না পারলে হয়তো ক্লান্তি চলে আসতো। আমরা যে লজিস্টিক সাপোর্ট পেয়ে অভিনয় করে থাকি তা সত্যিই অনেক কষ্টের বিষয়। আমার এই কথা শুনলে অনেক প্রোডিউসার এবং ডিরেক্টর বলবেন ‘আর্টিস্টরা তো খুব ভালো আছে, তাহলে মম কেনো এমন কথা বলছে?’ আমি আমার পয়েন্ট অব ভিউ থেকে কথাটা বলছি। কারন আমি প্রতিদিন নতুন করে যে মমকে আবিস্কার করার জন্য চরিত্র নিয়ে ভেবে থাকি, কখনোই তার জন্য লজিস্টিক সাপোর্টটা পাই না। এটা ইন্ডাস্ট্রি কেনো দিতে পারছে না আমি জানি না। এখানে অনেক টাকাই লগ্নি হচ্ছে, প্রচুর নাটক নির্মাণ হচ্ছে এবং তা প্রচারও হচ্ছে। তারপরও বলা হয় আমাদের নাটক দর্শক দেখেন না। নাটক দর্শক না দেখলে তা বানানো হচ্ছে কেন। বিষয়গুলো আসলে  স্ববিরোধী।

আনন্দ আলো: প্রতিদিন নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করছেন। কখনো কী অভিনীত চরিত্র আপনার উপর ভর করেছে?

মম: এটা আমার ক্ষেত্রে প্রায়শই হয়। চরিত্রের যুক্তি, চরিত্রের উদ্দেশ্য, চরিত্রের চারপাশের ঘটে যাওয়া বিষয়বস্তু আমাকে যদি আশ্বস্থ না করে তাহলে আমি ঠিকমতো চরিত্রটা পোর্টেট করতে পারি না। আমি বলছি না যা করছি খুব ভালো করছি। আমি যতটুকু বুঝি, ততটুকুও করি না যদি আমি চরিত্রের ব্যাপারে যুক্তি দ্বারা কনভিন্স না হই। একটি চরিত্রের জন্য স্ক্রিপ্টে দেখা যায় দশটি লাইন দেয়া আছে। কিন্তু সেখানে আরো বিশটি লাইন আছে, সেটা স্ক্রিপ্টে  নাই, আমাকেই খুঁজে বের করত হবে যেটাকে আমরা সাবটেক্সট বলি। প্রত্যেকটা চরিত্রের জন্য সাবটেক্সট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই সাবটেক্টটাই আমি খুঁজি। কারন আমার পড়ালেখা অভিনয় ও  নাটক নিয়ে হওয়ার ফলে এই সাবটেক্সটটা মাথার মধ্যে সবসময় ঘুরতে থাকে। ফলে আমি ঐ চরিত্রটা নিয়ে যতোদিন থাকি কিংবা অভিনয় করি ততোদিনই আমার উপর ভর করে। এমনকি সেটা অনেকদিন আমার মধ্যে থেকেও যায়।

আনন্দ আলো: আপনি নিজে নাটক দেখেন?

মম: সময় পেলেই টিভি দেখি। তবে নিজের কাজটা আগে দেখার চেষ্টা করি। নিজের নাটক নিজে যদি না দেখি, তাহলে তো ভুল খুঁজে বের করতে পারবো না। আর একজন অভিনয় শিল্পীর নিজের কাজ দেখে সেখান থেকে ভুল বের করে পরবর্তীতে সেটা সুদরিয়ে নেয়াটাই জরুরি বলে মনেকরি। এখানে একটি মজার কথা বলি- আমার নিজের খুব কম কাজই ভালো লাগে। প্রতিটি কাজই দেখে মনে হয়- ইস! এটা তো ঠিক হয়নি, এই ক্লোজটার সময় চোখের চাহনিটা ঠিক করা উচিত ছিলো, হাটাটা ঠিক হয়নি-এমন নানান বিষয় প্রতিটি নাটক দেখলেই মনে হয়। তারপরও আমাদের অনেক কিছু মেনে নিয়েই করতে হয়। এই মেনে নেয়ার মানসিকতার কারনে প্রোডাকশনের কোয়ালিটি খারাপ হচ্ছে। প্রায়শই দেখি একটি শট দিলাম, আর পরিচালক বললেন- ‘ওকে’। কিন্তু আমার মন বলছিলো শটটি পারফেক্ট হয়নি। আরেকবার দিলে ভালো হতো। কিন্তু পরিচালক যখন বলে দিলো ‘ওকে’ তাহলে আমার তো কিছুই করার নেই।

আনন্দ আলো: নতুন কোনো চলচ্চিত্রে কী আপনাকে আর দেখা যাবে?

Momo-3-4মম: চলচ্চিত্র নিয়ে বলার মতো কিংবা অভিনয় করার মতো আমি কি যোগ্য? বোধকরি না। আমাদের এখানে চলচ্চিত্রের আলাদা ভাষা সৃষ্টি হয়েছে। আলাদা ইঙ্গিতও আছে। সেটা নিয়ে আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষ কথা না বলাই ভালো। সবাই আসলে সবকিছু দেখে, বুঝে। কিন্তু কেউ কিছু বলে না। বললে দেখা গেছে, তার কাঁধে ঝামেলা আসবে, তাই ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই কিছু বলে না। দারুচিনি দ্বীপের পর দু’টি ছবিতে অভিনয় করেছি। কতটুকু কি পেরেছি সেটা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি যা বোঝার বুঝেছি। আপাতত চলচ্চিত্র নিয়ে আমার এতটুকুই বক্তব্য।

আনন্দ আলো: আপনার নিজস্ব জগৎটা কেমন?

মম: আমি সবসময় একটা ঘোরের মধ্যে থাকি। বৃষ্টি আমাকে খুব কাছে টানে। ভালো লাগে প্রকৃতি। আকাশের বিশালতা, পাহাড়ের উচ্চতা কিংবা সমুদ্রের গভীরতায় আমি হারিয়ে যাই বার বার। বাস্তবতার পাশাপাশি এই একটা ঘোর লাগা জগৎ আছে আমার। সেটা আসলে কাউকে বলে বুঝাতে পারবো না। আমি আমার প্রফেশনটাকে খুব ভালোবাসি। অভিনয় আমার অসম্ভব ভালো লাগার একটি বিষয়। অভিনয়ের মধ্যে আমি আমার অস্তিত্ব অনুভব করি। ক্যামেরা রোলিং-এর সাথে সাথে আমার ভেতরে একটা এনার্জি কাজ করে। আমার এই শক্তিটাই বোধহয় দর্শক পর্যন্ত যায় বলে সেটা তাদের কাছে অভিনয় হয়ে ওঠে এবং তাদের কাছে ভালো লাগে। আমি আসলে এই ঘোরের মধ্যেই থাকতে চাই।

আনন্দ আলো: প্রেম আপনার কাছে কী?

মম: কোনো মানুষের জন্য কিংবা বস্তুর জন্য মনের মধ্যে একপ্রকার শিহরণ হওয়াটা আমার কাছে প্রেম। প্রেমটা যে শুধু মানব-মানবীর মধ্যেই হবে এমনটি কথা নেই। যদি মানুষের ক্ষেত্রেই বলা হয় তাহলে বলবো- যার জন্য শিহরণ হচ্ছে তাকে বলতে পারার মধ্যবর্তী সময়টায় যে অনুভূতি সেটাই আমার কাছে প্রেম। যে মানুষটার জন্য প্রেম তার ছবি প্রতিনিয়ত চোখে ভেসে ওঠা, পরিচিত সেই গন্ধ, পরিচিত শব্দ যখন কোনো মুহূর্তকে খুঁজে পায় সেটাই আমার কাছে প্রেম। প্রেমের তো আসলে নির্দিষ্ট করে কোনো সংজ্ঞা নেই। একেক জনের কাছে একেক রকম সংজ্ঞা। এটা একটা অনুভূতি। যে অনুভূতিটা ক্ষণস্থায়ী হতে পারে, আবার দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। তবে অবশ্যই সেখানে ভালো লাগা থাকতে হবে। প্রেম কখনো জোর করে কিংবা চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়।

আনন্দ আলো: আপনার কাছে বন্ধুত্ব কী? বন্ধুত্ব আসলে টিকে থাকে কিসে?

মম: বন্ধুত্ব হতে হবে খোলা বইয়ের পাতার মতো। যখন ইচ্ছে হবে তখনই যেনো পড়তে পারি। আর বন্ধুত্ব টিকে থাকে পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও মুগ্ধতার উপর। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আস্থা হারিয়ে ফেললে বন্ধুত্ব টিকবে না। কাউকে বিশ্বাস না করতে পারলেও বন্ধুত্ব হবে না। তার প্রতি আমার ভালোলাগা থাকতে হবে। বন্ধুত্ব আসলে মেনটেইন করতে হয় এবং বন্ধুত্বের মধ্যে রেসপনসিবিলিটি থাকতে হয়।

আনন্দ আলো: নিজের কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে কী?

মম: ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি কোনো চিন্তাই করি না। আমি মনে করি বর্তমানটা ঠিকঠাক মতো পরিচর্চা করে চলতে পারলেই ভবিষ্যৎ ভালো হয়ে যায়। এই মুহূর্তের কথাটাই সত্যি, এই মুহূর্তের কাজটাই সত্যি, এই মুহূর্তে যে মানুষটার সাথে আছি, যেমন আছি এটাই সত্যি। এটাই ভালো লাগা।