সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
মোহাম্মদ তারেক
আনন্দ আলো: আপনি কি খাদেম?
সাজু খাদেম: হ্যাঁ। আমি জনগণের খাদেম। সাজু খাদেম।
আনন্দ আলো: খাদেম নামের অর্থ কী?
সাজু খাদেম: খাদেম অর্থ সেবক। আর সাজু নামটা আসছে সাজ্জাদ থেকে। আদর করে সবাই সাজু ডাকত। সেই থেকে সাজু খাদেম।
আনন্দ আলো: সাজু আর সাজুগুজুর মধ্যে পার্থক্য কী?
সাজু খাদেম: সাজুর সাথে শুধু গুজুটা যোগ হয়েছে। এইটুকুই পার্থক্য।
আনন্দ আলো: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া… এমন কি দেখা হয় নাই?
সাজু খাদেম: বাংলাদেশের অনেক কিছুই দেখা হয়নি। উত্তরবঙ্গের রাজধানী রাজশাহী এখনো দেখা হয়নি।
আনন্দ আলো: লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে… আপনি কি কথাটা মানেন?
সাজু খাদেম: ব্যাপারটা আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। আক্ষরিক অর্থে কতটা সত্য আমি জানি না মানিও না।
আনন্দ আলো: অভিনেতা মানে কি?
সাজু খাদেম: মানুষ।
আনন্দ আলো: শোনা যায় আপনি অনেকের গলা নকল করে কথা বলেন। এটা কি আপনার দোষ না গুণ?
সাজু খাদেম: কারোর কাছে দোষ, কারোর কাছে গুণ।
আনন্দ আলো: গলা নকল করার বিশেষ একটি স্মৃতির কথা জানতে চাই।
সাজু খাদেম: এটি কোনোভাবে বলা যাবে না। ভয়ঙ্কর স্মৃতি।
আনন্দ আলো: কখন মানুষ নিজে নিজেকে আঘাত করে?
সাজু খাদেম: যখন গায়ে মশা বসে।
আনন্দ আলো: লাইট পোস্টের কাজ রাতে জ্বলা কিন্তু এরা দিনে জ্বলে কেন?
সাজু খাদেম: দিনে জ্বলে জ্বলে প্র্যাকটিস করে নেয়।
আনন্দ আলো: লটারিতে ১ কোটি টাকা পেলেন। তখন কী করবেন?
সাজু খাদেম: কোনো ইন্টারভিউ দেব না। কাউকে কেয়ারও করবো না।
আনন্দ আলো: আপনাকে একদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হলো। প্রথমে কোন্ কাজটি করবেন?
সাজু খাদেম: প্রথমেই আমি যে কাজটা করবো সেটা হচ্ছে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এক করবো।
আনন্দ আলো: একদিন হঠাৎ দেখলেন আপনি ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে গেলেন। তখন কী করবেন?
সাজু খাদেম: পৃথিবীর সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ছেলেটাকে খুঁজবো।
আনন্দ আলো: শোবিজে নাটকের সঙ্গে ফাটক বলেও একটি কথা চালু আছে। এই ফাটক মানে আসলে কী?
সাজু খাদেম: এটা আসলে যারা বলেন তারা বোধহয় জানেন না। নাটক নাটকই। ফাটক শব্দটি আমি পছন্দ করি না। কেউ বললে আমি এটাকে প্রটেস্ট করি।
আনন্দ আলো: আপনার পাঁচটি গুণের কথা বলুন।
সাজু খাদেম: আমি ভালো ছবি আঁকতে পারি। ভালো অভিনয় করতে জানি। চার্জ না গেলে। মোবাইল কখনো বন্ধ রাখি না। সবার ফোন আমি ধরি। মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে চাই না। সব সময় মানুষকে হাসানোর চেষ্টা করি।
আনন্দ আলো: আপনার পাঁচটি দোষের কথা বলুন।
সাজু খাদেম: আমি রেগে গেলে রাগটা ভয়ঙ্কর হয়ে যায়। আমি একটু বেশি ইমোশনাল। যদি কাউকে অপছন্দ হয় তার সব কিছুই আমার অপছন্দের হয়। সকালবেলায় ঘুমাতে পছন্দ করি এটা আমার একটা খারাপ গুণ। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি এটাও একটা খারাপ গুণ।
আনন্দ আলো: ব্যক্তি সাজু খাদেম কেমন মানুষ? ব্যাখ্যা করে বলুন?
সাজু খাদেম: ব্যক্তি হিসেবে সাজু খাদেম এভারেজ একটা মানুষ।
আনন্দ আলো: অভিনেতা হিসেবে কেমন?
সাজু খাদেম: অভিনেতা হিসেবেও এভারেজ একটা মানুষ।
আনন্দ আলো: জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা।
সাজু খাদেম: যখন আমি আমার বাবার মৃত্যুর সংবাদটি শুনি।
আনন্দ আলো: জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দেয় যে কাজ অর্থাৎ নাটকটি।
সাজু খাদেম: ভোলার ডায়েরি নাটকে ভোলা চরিত্রটি আমার অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
আনন্দ আলো: এত কাজ থাকতে অভিনয়ে এলেন কেন?
সাজু খাদেম: মানুষ জন্মগতভাবে অভিনেতাতো। অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করলে অভিনেতা হওয়া যায়। এটা একটা সহজ কাজ।
আনন্দ আলো: বাস্তবে হিজড়া হয়ে গেলেন। তখন কী করবেন?
সাজু খাদেম: সেটাই স্বাভাবিক। হিজড়াতো আসলে মানুষ। আমি যদি হিজড়া হয়ে যাই তাহলে আমি হিজড়াই।
আনন্দ আলো: ধরা যাক কোনো গ্রামে আপনি শুটিং করতে গেলেন। ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশন বলার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে একটি সিংহ হাজির হয়ে গেল তখন আপনি কী করবেন?
সাজু খাদেম: আমি বলবো এই তুমি না বনের রাজা। তুমি ন্যাংটু পুটু কেন?
আনন্দ আলো: বেশির ভাগ নাটকে আপনাকে কমেডি চরিত্রে দেখা যায় কেন?
সাজু খাদেম: সবাই মনে করেন আমি এই কাজটি ভালো পারি।
আনন্দ আলো: আপনার অভিনয় দেখে অনেকে বিনোদন পান। আপনার বিনোদন কীসে?
সাজু খাদেম: আমি সবাইকে দেখে বিনোদন পাই।
আনন্দ আলো: গোপন কোন্ কথাটি স্ত্রীর কাছে বলেন না?
সাজু খাদেম: সেটা আপনাকে বলবো কেন?
আনন্দ আলো: যে প্রশ্ন শুনতে শুনতে আপনি ক্লান্ত?
সাজু খাদেম: আপনি এত হাসান কেন।
আনন্দ আলো: ঢাকা শহর আছে খোলা শহর নেই কেন?
সাজু খাদেম: আছেতো। খুলনা।
আনন্দ আলো: কৌতুক আর যৌতুকের মধ্যে পার্থক্য কী?
সাজু খাদেম: কৌতুক দেয়া যায় না, যৌতুক দেয়া যায়।
আনন্দ আলো: মিডিয়ার যে বিষয়টা ভালো লাগে না।
সাজু খাদেম: ফেইক অ্যাটুচুড।
আনন্দ আলো: এ জীবনে কি পাননি?
সাজু খাদেম: এ জীবনে অনেক কিছু পাইনি, আবার অনেক কিছু পেয়েছিও।