Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বই আর কলমে আমার খুশী বেশী-রামেন্দু মজুমদার

৯ আগষ্ট বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের জন্মদিন।

কথা হলো গুণী এ মানুষটির সাথে।

আনন্দ আলো: ৯ আগষ্ট আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?

রামেন্দু মজুমদার: কোনো উৎসব করে আমি জন্মদিন পালন করিনা। আমার জন্মদিনটা পরিবারের সদস্যরা একদম ঘরোয়া পরিবেশে পালন করে থাকে। আমার মেয়ে, নাতনি ও স্ত্রী আমাকে জন্মদিনের উইশ করে। খুবই ভালো লাগে। এই দিনটায় আমার থিয়েটারের বন্ধুরাও এক সাথে হয়। রাতের বেলা পরিবারের সদস্যরা মিলে বাইরে কোনো রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করি। এবার আমার বয়স ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। তাই বন্ধু-বান্ধবরা আমাকে নিয়ে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বলে শুনছি। কিন্তু আমি তাদেরকে একদমই না বলে দিয়েছি। কারণ আমি চাই না যে লোকজন আমার সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলবে আর আমি বসে থাকবো। আমি এটা একেবারে পছন্দ করি না। এগুলো আমার মৃত্যুর পরে হোক। বেঁচে থাকতে এ গুলো শোনার মধ্যে সাংঘাতিক একটা অস্বস্থিকর একটা ব্যাপার হবে।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

রামেন্দু মজুমদার: ছোটবেলার জন্মদিনতো বুঝতামই না। জন্মদিনে মা পায়েস রান্না করতেন। বলতেন আজকে তোমার জন্মদিন। পরিবারের সবাই মিলে খুব মজা করে খেতাম। অনেক আনন্দে কাটত দিনটি। সেই সময় জন্মদিনের কোনো অনুভূতি ছিল না। এখনকার সময় বাঁচ্চাদের জন্মদিন নিয়ে যেমন হইচই হয় আমাদের সময় এসবের কোনো ব্যাপার ছিল না।

আনন্দ আলো: সবার আগে কে আপনাকে জন্মদিনে উইশ করে?

রামেন্দু মজুমদার: আমার মেয়ে, নাতনি এবং স্ত্রী সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। তারপর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থিয়েটারের ছেলে মেয়েরা এবং ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। ফোন করে। মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। ভক্তদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেতে অবশ্যই ভালো লাগে। মজার ব্যাপার হলো আমার বড় বোনের জন্মদিনও ৯ আগষ্ট। প্রতিবছরই সে আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। একই সময় আমিও তাকে উইশ করি।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

রামেন্দু মজুমদার: জন্মদিনে যে কোনো উপহারই পেতে আমার ভালো লাগে। তবে বই, কলম উপহার পেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।