Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আমি পরিচালক নির্ভর নায়ক নই-শাকিব খান

জাকীর হাসান

ষাট দশকে উর্দু ছবির একচ্ছত্র আধিপত্য চুরমার করে এদেশে বাংলা ছবিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন কয়েকজন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন নায়করাজ রাজ্জাক। তিনি সেই সময় শুধু তাঁর অভিনয়, নাচ আর ব্যক্তিত্ব দিয়েই দর্শকদের মোহবিষ্ট করেছিলেন ঠিক তা নয় তরুণ-তরুণীদের মাঝে প্রভাব বিসৱার করেছিলেন তাঁর ফ্যাশন, প্যাশন, আর ব্যক্তিগত ইমেজের মাধ্যমে। যেমন সেই সময় রাজ্জাকের চুলের স্টাইল, বড় কলারের শার্ট, টাইট প্যান্ট আর অক্সর্ফোড সু ছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের স্বপ্নের ফ্যাশন।

আজ প্রায় ছয় দশক পর সেই নায়করাজের পথেই হাঁটছেন বর্তমান সময়ের সেনসেশন শাকিব খান। আমাদের দেশের সিনেমা যখন দশর্কদের অনীহায় মুখ থুবরে পড়ছে সেই সময় শাকিব খান তার অভিনয়, ফ্যাশন আর ব্যক্তিগত ক্যারিশমায় দর্শকদের সিনেমা হলে টেনে আনছেন। এবারের রোজার ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত ছবির মাধ্যমে সেটা প্রামনিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি গুলো ব্যবসা সফল হলো। এবার যে চারটি ছবি ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার তিনটি শাকিব খান অভিনীত বিগ বাজেটের মানসম্পন্ন ছবি।

ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত শাকিব খান অভিনীত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘শিকারী’ তরুণ দর্শকদেরকে আলোড়িত করেছে। ছবিতে শাকিব খানের চুলের স্টাইল, ড্রেস আপ ছবিটি মুক্তির আগেই তরুণ দর্শকদের মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ার কল্যানে ছড়িয়ে পড়ে। প্রিয় নায়কের এই চুলের স্টাইল নিজের মধ্যে ধারন করার জন্য সেলুন গুলোতে লাইন পড়ে যায় এবং তার মতো ড্রেসও খুঁজতে থাকেন তরুণরা ফ্যাশন হাউজ গুলোতে। নায়করাজ রাজ্জাকের পর সালমান শাহ্‌ এবং সর্বশেষ শাকিব খানকে আইকন হিসেবে তরুণ দর্শকদের মাঝে প্রভাব বিসৱার করার প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে।

একথা সত্য যে শাকিব খান যতদিন ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন ততদিন একচ্ছত্র প্রাধান্য বিসৱার করে চলেছেন। তার অভিনয়ে আসার এই দীর্ঘ সময়ে প্রতিদ্বন্দি হয়ে আসতে পারেননি কোনো নায়ক। এটা শাকিব খানের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এতদিন তিনি আমাদের দেশের ছবিতে নাম্বার ওয়ান ইমেজে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন বর্তমান সময়ে সেই গন্ডি পেরিয়ে ভারতেও পা বাড়িয়েছেন। যদিও ভারতে এখন পর্যনৱ শাকিব অভিনীত ‘শিকারী’ মুক্তি পায়নি। কিন্তু এই ছবিটির জন্য ভারতীয় দর্শকরা উম্মুখ হয়ে আছে বলে সেখানকার মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিব খান অভিনীত ৩টি ছবি হলো শিকারী, রানা পাগলা দ্য মেন্টাল ও সম্রাট। এর মধ্যে বাংলাদেশের জাজ মাল্টি মিডিয়া ও কলকাতার এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনার ছবি শিকারী সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও দর্শক গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করেছে। ছবিতে বাংলাদেশের শাকিব খান ও কলকাতার শ্রাবনৱী প্রধান দু’টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছবির প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে শাকিব খানের নতুন লুক। ছবির নায়কের পোশাক ও লুকটাই ছবিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। শামিম আহমেদ রনি পরিচালিত রানা পাগলা দ্য মেন্টাল ঈদে সবচেয়ে বেশি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। বিশেষ করে মফস্বল শহরে ছবিটি বেশি দর্শক দেখেছে। মোসৱফা কামাল রাজ পরিচালিত সম্রাট পরীক্ষিত জুটি শাকিব-অপু অভিনীত হওয়ায় এটিও ভালো ব্যবসা করেছে।

এবারে ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত ছবির ভালো ব্যবসা করার সুবাদে চলচ্চিত্রে এখন সুবাতাস বইছে। নিমার্তারা নড়ে চড়ে বসছেন। বিশেষ করে শাকিব খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র কর্মীরা। এক সময় মুখ থুবরে পড়া কলকাতার চলচ্চিত্র যেমন জিৎ ও দেবের হাত ধরে আজকের রমরমা অবস্থায় পৌঁছেছে শাকিব খানকে বর্তমান সময়ে সেরকমই ভাবা হচ্ছে।

ঈদের আগে ও পরে শাকিব খানের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক সফলতা ও আগামীর নানা প্রসঙ্গে কথা হয় আনন্দ আলোর। নিচে তারই চম্বুক অংশ।

আনন্দ আলো: বেশ ক’বছর পর এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ৪টি ছবিই ভালো ব্যবসা করেছে। এর মধ্যে আপনার অভিনীত ৩টি। ছবি গুলোতে কি এমন বৈশিষ্ট আছে?

শাকিব খান: ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত ছবি গুলো কমবেশি ভালো ব্যবসা করে। তবে এবারের চিত্র অবশ্যই ভিন্ন। সিনেমা হলে দীর্ঘদিন পর মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করছি। ছবি গুলোতে অবশ্যই আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। গল্প, মেকিং, লোকেশন, দৃশ্যচিত্রায়ন সব কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। আগের সেই প্রথাগত বিষয় গুলো ছবিতে নেই। বিশেষ করে শিকারী ছবির কথা বলতে পারি। ছবিতে আমার লুক একে বারে ভিন্ন। নতুন এই লুক এ প্রজন্মের দর্শকরা খুব পছন্দ করেছে। অনেক তরুণকে দেখেছি আমার মতো হেয়ার কাট করতে।

আনন্দ আলো: এই নতুন লুক কিভাবে কার পরামর্শে ছবিতে অনর্ৱভুক্ত করা হয়।

শাকিব খান: এটা পরিচালকের পরার্মশে করা হয়েছে। তিনি চেয়ে ছিলেন ছবিতে আমাকে নতুন একটি লুক দিবেন যাতে দর্শকরা চমকিত হয়। কারণ প্রতিটি ছবিতে একটা চমক থাকা চাই বিশেষ করে হিরো হিরোইনদের অবয়বে। সেটা করে তিনি সফল হয়েছেন। নতুন এই লুকটি আমারও পছন্দ হয়েছে। আমি যখন দেখি তরুণ দর্শকরা আমার মতো হেয়ার কাট করে ঘুরছে তখন খুব ভালো লাগে।

আনন্দ আলো: এই হেয়ার কাট নিয়ে কোনো দর্শকের মুখোমুখি হয়েছিলেন?

শাকিব খান: ছবি মুক্তির পর কয়েকটি সিনেমা হলে গিয়েছিলাম। আমার আগমনের কথা শুনে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কারো সঙ্গে কথা বলাতো দুরের কথা দাঁড়ানোই কষ্টসাধ্য ছিল। তবে দর্শকদের বেশির ভাগের হেয়ার কাটিং আমার মতো দেখে অসাধারণ লেগেছে। এরকম অভিজ্ঞতা আগে হয়নি।

আনন্দ আলো: শিকারী ছবিতে কলকাতার শ্রাবনৱীর সঙ্গে কেমন বোঝাপড়া ছিল? এবারই তো প্রথম তার সঙ্গে অভিনয় করলেন?

শাকিব খান: আপনারা জানেন কলকাতার চলচ্চিত্রে শ্রাবনৱী খুবই জনপ্রিয় একজন নায়িকা। অনেক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। খুবই প্রফেশনাল একজন পারফরমার। ছবিতে চমৎকার বোঝাপড়া ছিল আমাদের। দু’জনেই বাঙ্গালী, বাংলা ভাষাভাষী তাই কোনো অসুবিধা হয়নি। এই ছবিতেই ওর সঙ্গে প্রথম অভিনয় করে ভালো লেগেছে।

আনন্দ আলো: আপনিতো অনেক সময় বলেছেন যৌথ প্রযোজনার ছবি করে আমাদের  লাভ কী? তবে এবার…

শাকিব খান: সেটা এখনও বলছি। আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য যৌথ প্রযোজনার ছবি কতটুকু সুফল বয়ে আনছে সেটা আগে দেখা দরকার। শিকারী আমার প্রথম যৌথ প্রযোজনার ছবি। এছবিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, লোকেশন, গল্প, অভিনয়, শিল্পীদের চরিত্র অনুযায়ী গেট আপ, লুক দেয়া এসব কিছু আমাদের টেকশিয়ান, শিল্পী, কলাকুশলীদের অভিজ্ঞ করেছে। পরবর্তীতে আমরা নিজেদের ছবিতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারব। এই ধরনের যৌথ প্রযোজনার ছবি আমাদের করা পজেটিভ।

আনন্দ আলো: যৌথ প্রযোজনার ছবি করার পর আপনার  উপর নাকি এদেশের প্রযোজকরা ক্ষেপেছেন?

শাকিব খান: এটা নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। তাদেরকে ভালো মন্দ বুঝতে হবে। নিজেদের ভালো মন্দ যদি না বোঝেন তাহলে আমার কী করার আছে? একের পর এক ভারতীয় শিল্পী আমাদের দেশে এসে অভিনয় করলে ক্ষতি নেই, অথচ আমি যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করলেই দোষ? এছবিতে আমাদের দেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লগ্নি আছে। আমি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি। শিকারীর ট্রেলার নিশ্চয় দেখেছেন, সেখানে আমার ডায়ালগ আছে, আমি বাংলাদেশের ছেলে, কলকাতা মাতাতে এসেছি। এটা আমাদের জন্য কি পজেটিভ নয়?

আনন্দ আলো: মালেক আফসারী, বদিউল আলম খোকন, শাহীন সুমন সহ অনেক ব্যসৱ পরিচালক আপনাকে নিয়ে প্রচুর হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। এই পরিচালকরা তখন অন্য নায়ক নিয়ে ছবি করছেন। এভাবে চললে আপনার কি অসুবিধা হবেনা?

শাকিব খান: আমি কখনো পরিচালকদের উপর নির্ভরশীল ছিলাম না এখনও নই। পরিচালকদের উপর নির্ভরশীল হয়ে তারকা হওয়া যায় না। তারকা সৃষ্টি হয় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের ভালোবাসায়। আপনি যে পরিচালকদের কথা বললেন তাদের ছাড়াও আমার অনেক হিট ছবি আছে। কিন্তু আমি ছাড়া এই পরিচালকদের কয়টা হিট ছবি আছে সেটা আগে দেখা দরকার। আমি বরাবরই বলি অভিনয়কে পজিটিভ করে এগিয়ে যেতে চাই। কোনো পরিচালক প্রযোজকের দয়ায় নয়।

আনন্দ আলো: এবারের ঈদ আপনার কাছে অন্যান্য বারের চেয়ে একেবারে ভিন্ন তাইতো?

শাকিব খান: শুধু ভিন্ন নয় একেবারে যাকে বলে ফাটাফাটি। ঈদ এলেই এখনো আনন্দে মনটা অন্যরকম হয়ে যায়। ঈদের ছুটিতে কয়টা দিন পরিবারের সঙ্গে কাটানোর আনন্দ যে কত তা বোঝানো সম্ভব নয়। কারণ ঈদ ছাড়া একটি দিনের জন্য ছুটি মেলেনা আমার। তাই এইদিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকি।

আনন্দ আলো: অনেক আগে থেকেই ঘোষনা দিয়েছিলেন ঈদের দিন বা পরের দিন সিনেমা হলে ঢুঁ মারবেন এবং সাধারন দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা দেখবেন?

Shakib-Khan-1শাকিব খান: প্রতি ঈদেই সিনেমা হলে ঢুঁ মারি এটা আমার অভ্যাস। ঈদের নামাজ পড়ে সিনেমা হলে হলে যাই। আমি সাধারনত গাজীপুর থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ি পর্যনৱ যত সিনেমা হল আছে সব গুলোতে একবার যাওয়ার চেষ্টা করি।  এবারও অন্যথা হয়নি। রাসৱা ফাঁকা থাকায় ঢাকার প্রায় সব গুলো সিনেমা হলে গিয়েছি। হলে হলে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় দেখে। অনেকদিন পর এমন সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ল। ঢাকার অনেক হলে অগ্রীম টিকিটও বিক্রি হয়েছে। অনেক হলে কালোবাজারী হয়েছে টিকিট। আমি মনে করি আমাদের সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য এই খবর গুলো অত্যনৱ সুখকর।

আনন্দ আলো: এক সঙ্গে তিনটি ছবি মুক্তি পেল। এর আগেও আপনার অভিনীত এর চেয়ে বেশি ছবি ঈদে মুক্তি পেয়েছে। এটা একজন শীর্ষ তারকার জন্য কতটুকু  পজেটিভ?

শাকিব খান: এটা মূলত প্রযোজকদের চাওয়ার কারণে হয়েছে। আমাদের দেশে একটি কালচার আছে তা হলো সব প্রযোজকরা চান ঈদে ছবি মুক্তি দিতে। কারণ ঈদে কম বেশি সব ছবি ব্যবসা করে। যে কারণে আমার অভিনীত  তিনটি ছবি এক সঙ্গে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমি অভিনেতা হিসেবে যদিও চাইনি এক সঙ্গে তিনটি ছবি মুক্তিপাক। তবে তিনটি ছবিই দর্শকরা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখেছে। ছবি গুলোতে আমার চরিত্রও তিন ধরনের, একটির সঙ্গে আরেকটির মিল নেই।

আনন্দ আলো: দর্শকদের এমন আগ্রহ মনে হয় দীর্ঘদিন পর প্রত্যক্ষ করলেন?

শাকিব খান: আপনারা জানেন আমাদের চলচ্চিত্র কেমন খারাপ সময় পার করেছে বিগত বেশ ক’বছর। প্রচুর সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। বছরে তুলনামূলক খুবই কম ছবি মুক্তি পাচ্ছে। কারণ হলে দর্শক সমাগম নেই। সেই চিত্রটা আসেৱ আসেৱ বদলে যেতে শুরু করেছে। দর্শকরা আসলে ভালো ছবি দেখতে চায়। সেটা এবার প্রমান হয়েছে। শুধু ভালো ছবি নির্মাণ করলেই হবে না। সিনেমা হলের পরিবেশও ভালো করতে হবে। তা না হলে আমাদের চেষ্টা বৃথা যাবে।

আনন্দ আলো: নতুন ছবির কাজ শুরু করছেন কবে থেকে?

শাকিব খান: ইতিমধ্যে নতুন একটি ছবি বসগিরির কাজ শুরু করেছি। এছাড়া কালাম কায়সারের পরিচালনায় মা ছবির কাজ এগিয়ে চলছে। রোজার মধ্যে বিশ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বাকী কাজ এরই মধ্যে শেষ হবে। এছবিতে আমার বিপারতিে অীভনয় করছেন অপু বিশ্বাস।

আনন্দ আলো: সম্প্রতি আপনি একটি বিলাস বহুল গাড়ি কিনেছেন। কে উপহার দিল গাড়িটি?

শাকিব খান: গাড়ি উপহার দেয়ার মতো মানুষ আমার নেইরে ভাই। দীর্ঘ দিনের শখ ছিল একটি প্রাডো গাড়ির। এই ঈদে সেই শখ পূরণ করেছি মাত্র। বলতে পারেন এটা আমার ঈদ শপিং। আগের টয়োটা ক্রাউন গাড়ি বিক্রি করে প্রাডো কিনেছি। আমি গাড়ি প্রিয় মানুষ, যদিও ঘন ঘন গাড়ির মডেল পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না আমার।

আনন্দ আলো: এবারের ঈদের একটি অনুষ্ঠানে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা?

শাকিব খান: একুশে টিভির সেই অনুষ্ঠানে আমার প্রিয় ক্রিকেটার, প্রিয় মানুষ সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দারুণ সময় কেটেছে। এমনিতে আগে থেকেই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব আছে। সেদিন বন্ধুর সঙ্গে নানান কথায় আড্ডায় অসাধারন মুহূর্ত গুলো মনে রাখার মতো ছিল।