Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এখন মেয়েরা আমার জন্মদিন পালন করে -ফেরদৌস

আনন্দ আলো: ৭ জুন আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?

ফেরদৌস : কোনো উৎসব করে আমার জন্মদিন পালন করা হয় না। আমি সব সময় মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, মেয়েদের নিয়ে একদম ঘরোয়া পরিবেশে জন্মদিনটা পালন করে থাকি। ওই দিনটায় আমি কোনো শুটিং রাখি না। পরিবারের সাথে সময় কাটাতে খুবই পছন্দ করি। আমার জন্মদিন নিয়ে আমার কন্যারা খুব এক্সসাইটেড থাকে।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন এবং এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

ফেরদৌস: পার্থক্যতো অবশ্যই আছে। ছোটবেলার জন্মদিন অনেক মজার, আনন্দের ছিল। জন্মদিন নিয়ে আমি নিজেও খুব এক্সসাইটেড থাকতাম। দু-তিন দিন আগে থেকেই নাওয়া-খাওয়া বন্ধ, চোখে ঘুম নেই এরকম একটা অবস্থা হতো। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরা কে কি গিফট দিবে, জন্মদিনে কী পড়ব, বন্ধুরা কখন আসবে, সারাদিনটা কীভাবে উদযাপন করব? এসব নিয়ে একটা জল্পনা কল্পনার মধ্যে থাকতাম। এখনকার জন্মদিনটা হয়ে গেছে অনেকটাই আমার কন্যাদের আনন্দ উৎসব কেন্দ্রিক। বাবার জন্মদিন নিয়ে দুই মেয়েই অলরেডি এক্সসাইটেড। এখন থেকেই ওরা চিনৱা ভাবনা করছে বাবার জন্মদিনটা কীভাবে পালন করবে, কাকে কাকে দাওয়াত করবে, আমাকে কী গিফট দিবে। ওদের এ বিষয়টা আমি খুব এনজয় করি।

আনন্দ আলো: সবার আগে কে আপনাকে জন্মদিনে উইশ করে?

ফেরদৌস: মেয়েরা সবার আগে আমার জন্মদিনে উইশ করে। ওরা আগের দিন রাত ১২.০১ মিনিটে আমার জন্মদিনে উইশ করার জন্য বসে থাকে। আমাকে ফুল দেয়। আমার মা, স্ত্রী, শাশুড়ি উইশ করে। তারপর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীরা উইশ করে শুভেচ্ছা জানায়। আমার শাশুড়ি আমাকে সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করে। দেখা যায় তিনি সবার আগে গিফট, ফুল পাঠিয়ে দেন। আমার কিছু ভক্ত আছে যারা আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমার সাথে আছে, ওরা খুব এনজয় করে। গিফট পাঠিয়ে দেয়, কেক পাঠিয়ে দেয়। ফুল নিয়ে আসে। ফোন করে। আবার কেউ কেউ মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

ফেরদৌস: জন্মদিনে যে কোনো উপহারই পেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমাকে কেউ যদি একটা ফুল কিংবা একটা চকলেট উপহার দেয় সেটাতেই আমি খুব খুশি। আমার জন্মদিনে রেপিং পেপারে মোড়ানো গিফট আসবে। তারপর সেটা খুলে দেখব। এটাও আমার কাছে খুবই আনন্দের।