সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা আমার জন্য সর্বোচ্চ প্রাপ্তি -শাহীন সামাদ
সম্প্রতি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক ২০১৬’ প্রাপ্তদের হাতে তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদের মধ্যে রয়েছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা শাহীন সামাদ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে অনবদ্য ভূমিকার পাশাপাশি ৫৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে শুদ্ধ সঙ্গীতের চর্চা এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই শাহীন সামাদকে একুশে পদক দেয়া হয়েছে। শাহীন সামাদ দীর্ঘকাল ধরে জড়িত আছেন ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনের সঙ্গে। বর্তমানে পঞ্চম এবং শেষ বর্ষে শিক্ষকতার দায়ভার তার ওপর। ১৯৫২ সালের ২৭ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিসত্মানের কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন শাহীন সামাদ। তিনি গানের তালিম নিয়েছেন রাম গোপাল, ফজলুল হক মিয়া, সানজিদা খাতুন ও ফুল মোহাম্মদের কাছে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ছায়ানটে গান লেখা শুরু করেন তিনি। এরপর লন্ডনে চলে যান। সেখান থেকে ফিরে বরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞ সুধীন দাশের তত্ত্বাবধানে গান শেখা শুরু করেন তিনি। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। পরে নজরুল সঙ্গীত, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, দেশাত্মবোধকসহ সঙ্গীতের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই শিল্পী হিসেবে নিজেকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। একুশে পদক প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে শাহীন সামাদ বলেন, রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা আমার জন্য সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। আমি গর্বিত। দেশ ও মানুষের জন্য সামনে আরও ভালো ভালো কাজ করে যেতে চাই। আমাকে এ পদকের যোগ্য মনে করার জন্য সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এবার কিছুটা চমক থাকবে -কৃষ্ণকলি
অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকলি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ শিল্পী বর্তমানে প্লেব্যাকে, টিভি লাইভ শো ও নতুন একক অ্যালবামের কাজ নিয়ে ব্যসত্ম রয়েছেন। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।
আনন্দ আলো: আপনার নতুন অ্যালবামের খবর কি?
কৃষ্ণকলি: প্রথমে ইচ্ছা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যালবামটি রিলিজ করব। কিন্তু গলার অবস্থা ভালো না হওয়ায়, আরও কিছু সময় নিতে চাচ্ছি। কারণ শ্রোতারা আমার কাছে ভালো কিছু আশা করে। এই কারণেই একটু সময় নিচ্ছি।
আনন্দ আলো: নতুন অ্যালবামটি সম্পর্কে কিছু বলুন?
কৃষ্ণকলি: এটি আমার চতুর্থ একক অ্যালবাম। এরই মধ্যে ছয়টি গানের কাজ শেষ হয়েছে। এতে আটটি গান থাকবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে ‘রাত্রিদিন’, ‘ভাবনার গভীরে’ ও ‘মাথার উপরে চাঁদ’। আমি নিজেই এর সব ক’টি গান লেখার পাশাপাশি সুর করেছি। সঙ্গীত পরিচালনা করছেন অর্ক সুমন।
আনন্দ আলো: এই অ্যালবামে নতুনত্ব কী আছে?
কৃষ্ণকলি: আমি সব সময় চেষ্টা করে আসছি একটু বিভিন্ন ঘরানার গান দিয়ে অ্যালবাম সাজাতে। আমার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সূর্যে বাঁধি বাসা’ থেকে শুরু করে সব ক’টি অ্যালবামই নিজস্বতার ছোঁয়া রেখেছি। এতেও আগের অ্যালবামগুলো ধারাবাহিকতা থাকবে। তবে সঙ্গীতে কিছুটা চমক পাওয়া যাবে। আশা করছি এর মাধ্যমে শ্রোতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অ্যালবাম উপহার দিতে পারব।
আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের কী খবর?
কৃষ্ণকলি: গিয়াস উদ্দিন সেলিমের একটি চলচ্চিত্রের গানের অনেক দিন পর কাজ করলাম। গানটিতে একবার ভয়েজ দিয়েছি। ছবির নাম ‘স্বপ্নজাল’। আমি ওই গানটিতে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি কথা ও সুর করেছি। এর সঙ্গীত করেছেন অর্ণব। এ গানটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। আশা করছি গানটি শ্রোতাদের মুগ্ধ করবে।
আবারও গান লিখলেন সৈয়দ শামসুল হক
চলচ্চিত্রে তার লেখা ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘তুমি আসবে বলে কাছে ডাকবে বলে’, ‘এই যে আকাশ এই যে বাতাস’ গানগুলো পেয়েছিল দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা। দীর্ঘদিন পর আবারও চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। শাহ মোহাম্মদ সংগ্রামের পরিচালনায় ‘বাসর হবে মাটির ঘরে’ ছবিতে থাকছে এ গানটি। গানের সুর ও সঙ্গীত করছেন আলাউদ্দিন আলী। দ্বৈত এ গানটিতে কণ্ঠ দেবেন রুনা লায়লা ও সুবীর নন্দী। আগামী সপ্তাহে হবে গানের রেকর্ডিং। গানটি প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী বলেন, সৈয়দ শামসুল হক কত বড় মাপের লেখক তা সবারই জানা। তার লেখা গান নিয়ে কাজ করার অনুভূতিটাও অন্য রকম। দুর্দানত্ম কথামালার গানটি লিখেছেন তিনি।
সিম্ফনি-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্-এর এন্ট্রি শুরু
সঙ্গীত নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচাইতে বড় আয়োজনের ১১তম আসর বসছে আবারও খুব শীঘ্রই। সঙ্গীতের সকল শাখার সকল শিল্পী আবারও একই মঞ্চে এক হতে যাচ্ছে ‘সিম্ফনি-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্’ অনুষ্ঠানের জমকালো আয়োজনে। দেশীয় সঙ্গীতের উৎকর্ষে আয়োজিত এই অ্যাওয়ার্ডস্-এ এবারে শীর্ষ সহযোগী হিসেবে আছে দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেটের অন্যতম জনপ্রিয় ও শীর্ষ ব্র্যান্ড সিম্ফনি। অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণের জন্য অডিও সিডি ও ক্যাসেট এন্ট্রির শেষ তারিখ ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ইং। বিসত্মারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে- ৮৮৯১১৬০-৬৫ পর্যনত্ম নম্বরে।
তাহসান ও ইমরানের মন কারিগর
প্রথমবারের মতো একসাথে কোনো দ্বৈত অ্যালবাম প্রকাশ করলেন এ সময়ের জনপ্রিয় দুই শিল্পী- তাহসান ও ইমরান। অ্যালবামের নাম মন কারিগর। সিডি চয়েসের ব্যানারে বাজারে এসেছে অ্যালবামটি। এতে দুই শিল্পী তিনটি করে ছয়টি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সব গানের কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমরান। অ্যালবামে তাহসানের গাওয়া গানগুলোর শিরোনাম ‘মন কারিগর’, ‘কেউ না জানুক’ ও ‘ধ্রুবতারা’। ইমরান গেয়েছেন ‘শোনো তুমি’, ‘বলো কবে দেখা হবে’ এবং ‘ভালোবাসি’। অ্যালবামটি প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, গান গাওয়া এবং সুর সঙ্গীত দুই দিক থেকেই ইমরান এখন আলোচিত। তার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাও দারুণ। আমার জন্য যে গানগুলো বানিয়েছে খুব ভালো লেগেছে। আমার বিশ্বাস শ্রোতারাও পছন্দ করবেন।
কুমার বিশ্বজিৎ-এর ‘সারাংশে তুমি’ অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত
বাংলা ঢোলে’র ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ-এর প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম ‘সারাংশে তুমি’। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এ অ্যালবামটির প্রকাশনা উৎসব এবং কুমার বিশ্বজিৎ-এর একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন এ প্রজন্মের সঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও মিডিয়াকর্মীবৃন্দ। ‘সারাংশে তুমি’ অ্যালবামে কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সামিনা চৌধুরী, ন্যানসি ও ওপার বাংলার শুভমিতা। অ্যালবামটিতে গান রয়েছে মোট ৮টি। বাংলালিংক-এ শোনা যাচ্ছে এ গানগুলো। এ ছাড়াও অ্যালবামের গানগুলো পহেলা বৈশাখে প্রকাশ পাবে মিউজিক্যাল ফিল্ম আকারে। নতুন অ্যালবামটি প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, এটি আমার ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এর সব ক’টি গানের সুর আমি নিজে করেছি। আসলে বাংলা ঢোলের উদ্যোগটা বেশ ভালো লেগেছিল বলেই এই অ্যালবামটি করা। এখন শ্রোতারা গান মোবাইলে ডিজিটালি শুনতে পারছেন। পহেলা বৈশাখে এ সব গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ পাবে। সব গান মিলিয়ে একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম হবে। অর্থাৎ সব গান একসঙ্গে পর পর দেখলে একটি গল্প খুঁজে পাওয়া যাবে। এটি বাংলাদেশের প্রথম মিউজিক্যাল ফিল্ম। সেদিক থেকে এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে ভালো লাগছে। যারা অ্যালবামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।
প্রকাশ হলো মাহবুবা রহমানের ‘কালজয়ী গান’
সম্প্রতি ঢাকা ক্লাবে লেজার ভিশনের আয়োজনে প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মাহবুবা রহমানের ‘কালজয়ী গান’ অডিও অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করেন খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, সঙ্গীত শিল্পী খুরশীদ আলমসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন লেজার ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকরা। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন লেজার ভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন রুমানা ইসলাম।