Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

দুই বাংলায় শিশুদের জন্য একটি ভালো পত্রিকা দরকার-শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

শিশু-কিশোর পাঠকদের জন্য একটি আনন্দ সংবাদ। ঢাকা ও কলকাতা অর্থাৎ দুই বাংলার শিশুসাহিত্য নিয়ে ‘শিশু আনন্দ আলো’ নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ হয়েছে। কলকাতা আনত্মর্জাতিক বইমেলায় পত্রিকাটির উদ্বোধন করেছেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি পত্রিকাটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অভিনেতা, নির্মাতা আফজাল হোসেন, বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রার স্বত্বাধিকারী সানাউল আরেফিন, আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক গীতালি হাসান, কবি শ্যামল কানিত্ম দাশসহ ঢাকা ও কলকাতার কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিকবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

‘শিশু আনন্দ আলো’ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর প্রকাশনা আনন্দ আলোর নতুন উদ্যোগ। ঢাকা ও কলকাতায় একযোগে বছরে ৪টি সংখ্যা প্রকাশ হবে। ঢাকায় বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম ও কলকাতার কবি শ্যামল কানিত্ম দাশ অতিথি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

কলকাতা আনত্মর্জাতিক বইমেলায় শিশু আনন্দ আলোর প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেষে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান। সাক্ষাৎকারটির নির্বাচিত অংশ প্রকাশ করা হলো।

আনন্দ আলো: কেমন আছেন?

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়: এই তো ভালো আছি…

আনন্দ আলো: ঢাকা ও কলকাতায় একযোগে শিশু আনন্দ আলো প্রকাশ হলো। আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়: খুব ভালো লাগছে। পত্রিকাটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকব বলে কথা দিয়েছি। পত্রিকার লেখা নির্বাচনে সহায়তা করাসহ প্রয়োজনীয় কাজে সাধ্যমতো সহায়তা করব। আসলে ফরিদুর রেজা সাগরের অনুরোধেই আমার এ দায়িত্ব নেয়া। সাগরের মা বিশিষ্ট লেখিকা রাবেয়া খাতুনের সাথেও আমার অনেক ভালো সম্পর্ক। আমার ধারণা সাগর পত্রিকাটির সাথে আছে কাজেই ভালো কিছু একটা হবে।

আনন্দ আলো: শিশু সাহিত্যের দিনকাল এখন কেমন বলে মনে হয়?

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়: খুব একটা সুবিধের নয়। বর্তমান সময়ে শিশুদের জন্য একটি ভালো পত্রিকা প্রকাশ করা সত্যি দুরূহ কাজ। অথচ আমরা দুই বাংলায় সবাই অনুভব করছি শিশুদের জন্য একটি ভালো পত্রিকা থাকা দরকার। কলকাতার সন্দেশ টিম টিম করে বের হয়। আনন্দমেলারও প্রায় একই অবস্থা। পরিসর ছোট করে ফেলা হয়েছে। পড়ার মতো এখন আর তেমন বিষয় থাকে না। শুকতারারও অবস্থা ভালো না।

এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। শিশুদের জন্য একটি বিষয়সমৃদ্ধ ঝলমলে পত্রিকা দরকার। আশাকরি শিশু আনন্দ আলো উভয় বাংলায় এক্ষেত্রে সম্ভাবনার আলো ফেলবে।