সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
মৌসুমী নাগ দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পুত্রসনত্মানের মা হয়েছেন। এজন্য বর্তমানে সনত্মানের দেখভাল ও সংসার নিয়েই ব্যসত্ম সময় পার করছেন। তবে প্রতিনিয়তই তিনি নাটক, ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্রের প্রসত্মাব পাচ্ছেন। কিন্তু সেসব প্রসত্মাব বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, আপাতত তাঁর অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছা নেই। এ প্রসঙ্গে মৌসুমী নাগ বলেন, ‘আগেই সিদ্ধানত্ম নিয়েছিলাম সনত্মান জন্মের পর দুই বছর অভিনয় থেকে দূরে থাকব। বর্তমানে আমার সনত্মানের বয়স ৫ মাস। তার দেখভাল করতে করতেই পুরোটা সময় কেটে যাচ্ছে। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আপাতত ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারছি না। যদিও নিয়মিত কাজের প্রসত্মাব পাচ্ছি। কিন্তু বাধ্য হয়ে সেসব প্রসত্মাব ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে সব জানার পর বিষয়টিকে পরিচালকরা ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন।’ এদিকে, গত বছর মৌসুমী নাগের ‘রানআউট’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি এর আগে গত ঈদে মৌসুমী নাগ অভিনীত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘প্রার্থনা’ শীর্ষক চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেন শাহরিয়ার নাজিম জয়।
চ্যানেল আইয়ের সাথে কাজ করে যেতে চায় আইএফডিসি
কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প উন্নয়নশীল অন্য দেশে ছড়িয়ে দিতে চায় আনত্মর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র আইএফডিসি। চ্যানেল আই কার্যালয়ে এসে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডক্টর জে. স্কট অ্যাঙ্গেল বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি ঈর্ষণীয়, তবে সামনের দিনে চ্যালেঞ্জ হবে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা করা। ইউএসএআইডি’র সহযোগিতায় গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার জনপ্রিয় করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সংস্থাটির। শুরু থেকেই আইএফডিসি’র এই উদ্যোগের সহযোগী ছিলো চ্যানেল আই। হৃদয়ে মাটি ও মানুষের বিভিন্ন পর্বে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ কৃষক পর্যায়ে নতুন প্রযুক্তি বিসত্মারের অংশ হিসেবে তুলে ধরেছেন গুটি ইউরিয়া সারের উপযোগিতা। কাজেই বাংলাদেশ সফরে এসে কৃষির সম্ভাবনা ও সংকট জানতে আইএফডিসির প্রধান নির্বাহী ডক্টর জে স্কট অ্যাঙ্গেল বৈঠক করেন তাঁর সঙ্গে। কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে চ্যানেল আই এবং উন্নয়ন সাংবাদিক শাইখ সিরাজের প্রশংসা করে অ্যাঙ্গেল বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে প্রয়োজন একজন করে শাইখ সিরাজ। মাটির গুণ ধরে রাখা, কৃষি থেকে ধীরে ধীরে কৃষকের বিদায়, অপুষ্টি বাংলাদেশের কৃষির জন্য সামনের দিনে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
নাগরদোলা’তে ঊর্মিলা
চ্যানেল আইতে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘মোহর আলী’। এতে ভিন্ন একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন ঊর্মিলা শ্রাবনত্মী কর। এছাড়াও উর্মিলা কাজ করছেন খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটকে। অভিনয় এবং সমসাময়িক নানা ব্যসত্মতা নিয়ে কথা হলো উর্মিলার সঙ্গে-
আনন্দ আলো: কী নিয়ে ব্যসত্ম?
উর্মিলা: একটানা শুটিং করে কিছুটা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাই কয়েক দিন ধরে বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছি।
আনন্দ আলো: ভালোবাসা দিবসের কোনো নাটকে অভিনয় করেছেন?
উর্মিলা: হ্যাঁ। সম্প্রতি ভালোবাসা দিবসের জন্য ৪টি খণ্ড নাটকে অভিনয় করেছি। এগুলো হচ্ছে রোকন সরদারের প্রিয় সর্বনাশ’, এলাহী বাপ্পির ‘কথা’, রাসেল শিকদারের ‘গিটার’ এবং অমির ‘নো আনসার’। এসব নাটকের প্রতিটিতেই ভালোবাসাকে বিভিন্নভাবে চিত্রায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আনন্দ আলো: ধারাবাহিক নাটকের কী খবর?
উর্মিলা: বর্তমানে আমি বেশকিছু ধারাবাহিকে নিয়মিত অভিনয় করছি। এগুলো হচ্ছে সাখাওয়াৎ মানিকের পরিচালনায় ‘মেঘে ঢাকা শহর’, শহীদুজ্জামান সেলিমের ‘একঝাঁক মৃত জোনাকি’, জাহিদ হাসানের ‘ভেগাবণ্ড’সহ আরো কিছু নাটক। এছাড়াও সম্প্রতি কয়েকটি নতুন ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। অন্যদিকে এখন চ্যানেল আইতে ‘মোহর আলী’ এবং বৈশাখী টিভিতে ‘গনত্মব্য নিরুদ্দেশ’ প্রচার হচ্ছে। আর নাজনীন হাসান চুমকির নির্দেশনা নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘নাগরদোলা’তে অভিনয় করছি।
আনন্দ আলো: ঘর-সংসারের কী খবর?
উর্মিলা: এখন আমি পরোপুরি সংসারী মানুষ। বিয়ের পরে স্বামী সংসার নিয়ে আমি অনেক সুখেই আছি। এই সুখ আজীবন ধরে রাখতে চাই।
আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছা আছে?
উর্মিলা: ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চলচ্চিত্রে কাজ করার স্বপ্ন দেখছি। এ স্বপ্ন আমি বাসত্মবে রূপ দিতে চাই। তবে এ ক্ষেত্রে আমি একটু সময় নিয়ে এগোচ্ছি।