Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ভাষা প্রিয় মাতৃভাষা!

নিজের ভাষার পাশাপাশি অন্যের ভাষার প্রতিও যত্নবান হওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার বাংলা একাডেমিতে মাসব্যাপি একুশে বইমেলার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি ভালো বই মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারে। তিনি বলেন, যুগের প্রয়োজনে মাতৃভাষার পাশাপাশি এখন বিদেশী ভাষায়ও অনুবাদ গ্রন্থের অনেক বেশী দরকার। বাংলা একাডেমির মূল আঙিনায় বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আন্তর্জাতিক প্রকাশক সমিতির সভাপতি রিচার্ড ডেনিস পল সারকী, বৃটিশ কবি জো উইন্টার, চেক প্রজাতন্ত্রের গবেষক রিবেক মার্টিন, সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতির পক্ষ্যে অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। জাতীয় সঙ্গীত ও একুশের অমর সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১জন কবি, লেখকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সাথে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের লেখা ‘বঙ্গবন্ধুর বীর গাথা’ বইয়ের ব্রেইল ও অডিও সংস্করণ এবং প্রধানমন্ত্রীর নিজের লেখা ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ বইয়ের ব্রেইল সংস্করনের মোড়ক উম্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহেদা খাতুন। বিটিভি অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

বইয়ের প্রতি ভালোবাসা!

সম্পর্কিত

এ কেমন মুখের ভাষা

মেলা থেকে বলছি…

যাঁরা একুশে পদক পেলেন

বৃটিশ কবি জো উইন্টার বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাগজের লেখা দেখে বক্তৃতা করছিলেন। তিনি কথা বলছিলেন ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে বসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার বক্তৃতা শুনছিলেন। বোধকরি আলোর স্বল্পতার কারনে জো উইন্টার কাগজের লেখা ভালো মতো দেখতে পারছিলেন না। সেটা বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তাঁর সামনে রাখা এলইডি লাইট পাঠিয়ে দিলেন জো উইন্টারের সামনে। এই দৃশ্য দেখে দর্শকসারীর সবাই অভিভ‚ত। সকলে প্রধানমন্ত্রীর ভ‚য়শী প্রশংসা করলেন।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্যবারের চেয়ে এবার দীর্ঘক্ষণ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। নতুন বইয়ের খোঁজ খবর নেন এবং প্রিয় লেখকদের বইও কিনেন। বইয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা দেখে বিদেশী অতিথিরা বেশ অভিভ‚ত হয়েছেন।