Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

কবিতা মৈত্রীর কবিতা শান্তির

আমাদের গর্ব গত উনত্রিশ বছর ধরে বাংলা কবিতার অন্যতম বৃহৎ আয়োজন জাতীয় কবিতা উৎসব দিয়েই শুরু হয় ফেব্র“য়ারি মাস, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র“য়ারি। যা বারবার আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে প্রতিবাদী হতে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্কীকৃত সেই একুশেকে দৃপ্ত শপথে স্মরণ করে এবারের কবিতা উৎসবের শ্লোগান ‘কবিতা মৈত্রীর কবিতা শান্তির’। কবিতা স্বপ্ন, সংগ্রাম, ভালোবাসা, জীবন ও বাস্তবতার ভাষ্যরূপ দেয়। ধর্ম, জাতি, বর্ণ শ্রেণি বা গোষ্ঠী মানুষ ও দেশকে যত বিভক্ত করে তার বিপরীতে কবিতা সবাইকে শান্তি ও কল্যাণ এবং শ্রেয়োবোধে উজ্জীবিত করে। কবিতাই লালন করে সেই মৈত্রীর শপথ এবং শান্তির পথ। কবিতা ভাষাকে পরিশীলিত ও শুদ্ধ করে, এমনকি প্রকৃতিকেও। আমরা বিশ্বাস করি কবিরা সত্য সত্তাকে প্রকাশ করে মেলে ধরে সময় কাল ও পরিবেশে। কবিদের সুন্দর স্বপ্ন সকলের চোখে উদ্ভাসিত হয়ে আমাদের প্রিয় পৃথিবী শান্তিময় ও সমৃদ্ধ হোক। জয় হোক কবিতার, জয় হোক মানবতার। এই ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে গতকাল শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব ২০১৬। জাতীয় কবিতা উৎসব আজ পৌছে গেলে তার পথ-পরিক্রমার ৩০তম বছরে। ১৯৮৭ সালের এই দিনেই শৃঙ্খল মুক্তির জন্য কবিতা শ্লোগানে তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে কবিদের সম্মিলিত একটি প্রতিবাদের ফসলই হলো আজকের এই জাতীয় কবিতা উৎসব। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধি এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পাস্তবক অর্পণ শেষে উৎসব কেন্দ্রে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জাতীয় কবিতা উৎসব ২০১৬। উদ্বোধন করেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শাসমুল হক। এরপরই শুরু হয় একুশের গান এবং তারপরই কবিতা উৎসবের গান-কবিতা মৈত্রীর কবিতা শান্তির। কবি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আমিনুর রহমান সুলতান। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কবি হাবীবুল­াহ সিরাজী। অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন আহবায়ক কবি রবিউল হুসাইন, যুগ্ম আহবায়ক কবি কাজী রোজী, সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত সহ দেশি-বিদেশি অনেক কবি। উৎসবে ভিন্নভাষী কবিদের জন্য অন্য ভাষার কবিতা শিরোনামে একটি আলাদা অধিবেশন পর্ব রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, সুইডেন, নরওয়ে ে াভাকিয়া, মরক্কো, তাইওয়ান, নেপাল সহ ৭টি দেশের ৩০ জনের মতো কবি যোগ দিয়েছেন এবারে উৎসবে।