Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

পবিত্র মনে সবাই দোয়া করে এটাই বড় পাওয়া : নায়করাজ রাজ্জাক

আনন্দ আলো: আপনি জন্মদিন কীভাবে পালন করেন?

নায়করাজ রাজ্জাক: আমার জন্মদিনটা তেমন একটা ঘটা করে পালন করা হয় না। একদম ঘরোয়া পরিবেশে আমার জন্মদিনটা ছেলেরাই পালন করে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শিল্পী সমিতি, কলিগ আর শুভানুধ্যায়ীরা জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানায়। ফুল নিয়ে আসে। এই বয়সে এসেও আমার জন্মদিনটা পালন করা হয়। এটা ভেবে আমার খুবই ভালো লাগে।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

নায়করাজ রাজ্জাক: পার্থক্যতো অবশ্যই আছে। ছোটবেলার জন্মদিন ছিল অনেক মজার। সারা বছর অপেক্ষায় থাকতাম কবে আসবে আমার জন্মদিন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই আমাদের বাসায় আসত। বন্ধুরা সবাই মিলে হৈচৈ করতাম। বাসায় ভালো রান্না-বান্না হতো। প্রচুর গিফট পেতাম। এইসব নিয়ে কেটে যেত জন্মদিনটা। আল্লাহর রহমতে আমার বয়স তো অনেক হয়েছে। এখন ছেলেরাই ঘরোয়াভাবে আমার জন্মদিন আয়োজন করে থাকে। আমার বন্ধুরা আসে। ছেলের বন্ধুরা আসে। নাতি-নাতনিদের নিয়ে হৈচৈ করি এভাবে কেটে যায় দিনটি।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?

নায়করাজ রাজ্জাক: ঘুম থেকে উঠলেই সবার আগে আমার স্ত্রী জন্মদিনে উইশ করে। তারপরে নাতি-নাতনি, ছেলেরা, ছেলেদের বউ, মেয়ে, মেয়ের জামাই একের পর এক সবাই জন্মদিনে উইশ করে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শিল্পী কলাকুশলী আর শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগত?

নায়করাজ রাজ্জাক: ছোটবেলায় প্রচুর গিফট পেতাম। ভালো লাগত। এখন বেশি ভালো লাগে বই উপহার পেতে। কারণ বই আমার প্রিয়। পত্র-পত্রিকা, বিভিন্ন চ্যানেল এবং মিডিয়ায় অনেকেই জন্মদিনে আমাকে শ্রদ্ধা জানায়, শুভেচ্ছা জানায়, ফুল নিয়ে আসে। এই বয়সে এসেও তারা যে আমাকে আনত্মরিকভাবে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। পবিত্র মনে সবাই আমাকে দোয়া করে এটা আমার অনেক বড় পাওয়া। বড় উপহার।