Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

সুস্থ থাকুন বছর জুড়ে



বছর জুড়ে সুস্থ থাকাই সবার কাম্য। সামান্য অসাবধানতায় বিভিন্ন জীবানুর আক্রমনে হয়ে যেতে পারে অসুখ-বিসুখ। তাই জীবনামুক্ত জীবনের জন্য চাই কিছু নিয়মানুবর্তিতা। বছরের এই সময়টা একটু স্পর্শকাতরই বলা যায়। একদিকে প্রচন্ড গরম, অন্যদিকে বৃষ্টি। গরম আর ঠান্ডার কারণে রোগ জীবানু বাসা বাঁধে সহজেই। ফলে এমন আবহাওয়ায় নানান অসুখ লেগেই থাকে। অথচ কিছু নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকা সম্ভব।

জীবানুমুক্ত থাকতে গোসল
প্রতিবার গোসল শরীরের ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। ঘামের দূর্গন্ধ ও জীবানু দূর করতে সাবানের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। গোসলে বিশেষ ধরনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। প্রয়োজনে জার্ম ফ্রি সাবান ব্যবহার করা উচিৎ। এসব সাবানে যেমন পাওয়া যাবে জীবানুমুক্ত গোসল তেমনি মিলবে আলাদা যত্ন।

সুস্বাস্থ্যের জন্য হাত ধোয়া
নিজেকে ও পরিবারকে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতিগুলোর অন্যতম হলো হাত ধোয়া। ব্যক্তিগত এই অভ্যাস পরিস্কার-পরিচ্ছনতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। প্রতিবার হাত ধোয়ায় আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়রিয়া, কৃমিরোগ সহ আরো অনেক জীবানু দ্বারা সংক্রমনের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

হাত ধোয়ার সময় গুলি
বারে বারে হাত ধোয়ার মাধ্যমে নিজেকে প্রিয়জনকে সুস্থ রাখতে, খাবার তৈরির আগে, খাবার তৈরির সময়ে এবং খাবার তৈরির পরে হাত ধোয়া উচিৎ। খাবার খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়া উচিৎ। বমি বা ডায়রিয়া আক্রান্ত এমন কাউকে বাড়িতে সেবা করার আগে ও পরে হাত ধুয়ে নিবেন। টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত ধোয়া উচিৎ। শিশুর ডায়াপার বদলের পরে হাত ধোয়া জরুরি। নাক ঝাড়া, কাঁশি এবং হাঁচির পরে হাত ধোবেন। যে কোন প্রাণীর স্পর্শে আসার পর হাত ধোয়া আবশ্যক। আবর্জনা স্পর্শ করার পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নিবেন ।

জানা দরকার
হাত ধোয়া রোগ প্রতিরোধে একটি কার্যকর পদ্ধতি। আমরা যখন বিভিন্ন কাজ করি, এটা ধরি ওঠা ধরি তখন অসংখ্য জীবানু আমাদের হাতে লেগে যায়। এক মিলিমিটার লোম কূপের গোড়ায় প্রায় ৫০ হাজার জীবানু থাকতে পারে। আর একটা আংটির নিচে ইউরোপ মহাদেশের লোক সংখ্যার সমান জীবানু বাসা বাঁধতে পারে। এসব জীবানু চোখে দেখা যায় না। অপরিস্কার হাতে চোখ, নাক, মুখে স্পর্শ করলেই আমরা সেসব জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হই।

আসুন হাত ধুই
সঠিক ভাবে হাত ধোয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে অনেকাংশেই জীবানুর সংক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রথমে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে নিতে হবে। সাবান দিয়ে ভালো ভাবে দুই হাতে ফেনা তুলতে হবে। সাবানের ফেনা ব্যবহার করে দুই হাতের উভয় দিক, আঙুলের ফাঁক গুলো, নখের নিচে এবং কিনারে, বুড়ো আঙুলের গোড়া, দুই হাতের তালু ঘষে, হাতের কবজি পর্যন্ত ১৫ মিনিট ধরে হাত ধোয়া উচিৎ। এরপর পানি দিয়ে হাত পরিস্কার করে পরিস্কার টাওয়েল বা গামছা দিয়ে হাত শুকিয়ে নেয়া উচিৎ। খাওয়ার আগে হাত মোছার দরকার নেই।

হাত ধোয়ায় সাবান
বড় সাবানের তুলনায় ছোট সাবান ভালো। ঘন ঘন বদল করার সুবিধা থাকে। মনে রাখতে হবে সাবানদানীটা যেন পানি ধরে না রাখে। তরল সাবান ব্যবহার করা যায়। তবে খরচ একটু বেশি।

শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য যা করবেন
খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অ্যান্টিসেপটিক হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়াতে হবে। কোথায় ঘুরতে নিয়ে গেলে শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে রাখুন। ফাস্ট ফুডকে না বলুন। বাইরের জুস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে নিরুৎসাহিত করুন।