Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

সবার ভালোবাসাই বড় উপহার-দিনাত জাহান মুন্নী

৩০ আগস্ট জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নীর জন্মদিন। কথা হলো গুণী এ শিল্পীর সঙ্গে।

আনন্দ আলো: ৩০ আগস্ট আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?

দিনাত জাহান মুন্নী: আমার জন্মদিনটা খুব একটা জাকজমকভাবে পালন করা হয় না। একদম ঘরোয়া পরিবেশে আমার বাচ্চারাই পালন করে থাকে। আমার পরিবার, আপনজন যারা আছেন তারা সবাই ২৯ তারিখ রাতের বেলায় আমার বাসায় চলে আসেন। আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার চেষ্টা করেন। ফুল নিয়ে আসে। কেক কাটা হয়। এবারের জন্মদিনটা একটু ভিন্ন হবে। এই দিনটিতে আমি দেশে থাকছি না। ৩০ তারিখ রাতের বেলায় একটি তহবিল সংগ্রহ করার জন্য শো করতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান।

দিনাত জাহান মুন্নী: ছোটবেলায় আমার জন্মদিন পালন করা হত না। আমাদের ফ্যামিলিতে ঘটা করে জন্মদিন পালনের বিষয়টা ছিল না। মসজিদে বা হুজুর ডেকে বাসায় দোয়া পড়া হত। ভালো ভালো রান্নাবান্না করা হত। সেগুলো আমরা খুব মজা করে খেতাম। জন্মদিনে নতুন নতুন জামাকাপড় পেয়েছি বলে মনে পড়ে না। কলেজ ও ইউনিভার্সিটি জীবনে আমার জন্মদিনটা পালন শুরু হয়। আর এখনকার জন্মদিন মেয়েরাই পালন করে থাকে।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?

দিনাত জাহান মুন্নী: পরিবারের সদস্যরা সবার আগে আমার জন্মদিনে উইশ করে। আগের দিন রাত ১২টার সময় আমার হাজবেন্ড, মেয়েরা জন্মদিনে প্রথম উইশ করে। মেয়েরা সব সময় আমাকে সারপ্রাইজ দেয়। কেক কাটা হয়। উপহার দেয়। তারপর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। আবার অনেকে ফোন করে। মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

দিনাত জাহান মুন্নী: নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না কী উপহার ভালো লাগে। জন্মদিনে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো মানুষের যে অগাধ ভালোবাসা, ফেসবুকের পাতায় ভরে যায় শুভ কামনায়। এটা খুব ভালো লাগে। জন্মদিনে স্পেশাল কিছু পাওয়ার আনন্দ নেই। এ জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি। এখন নেই বলতে আর কোনো শব্দ নেই। এ জীবনে অনেক গিফট পেয়েছি। এখনো মানুষের যে ভালোবাসা পাই, শুভেচ্ছা পাই, শুভ কামনাগুলো পাই এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। সবার ভালোবাই বড় উপহার।